ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রাজনৈতিক দলের বিচার ট্রাইব্যুনালে হচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১৯৮ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) অধ্যাদেশ ২০২৪ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বুধবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অধ্যাদেশের বিষয়ে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিধান রাখা হয়নি।বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) অধ্যাদেশ ২০২৪ এর খসড়া গৃহীত হয়েছে। তবে, আমরা আইনের যে সংশোধনী করেছিলাম, উপদেষ্টা পরিষদ মনে করেছে যে, এই অধ্যাদেশের আওতায় ট্রাইব্যুনাল যদি মনে করে সংগঠনকে শাস্তি দেওয়া দরকার, তাহলে তারা সুপারিশ করতে পারবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে।’

তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ বলেছে আমরা এই বিচারকে অন্য কোনো বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত করতে চাই না। রাজনৈতিক দল বা কোনো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা প্রশ্ন এলে, এই আইনকে অযথাই প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ তৈরি হবে। আমরা এই সুযোগ দিতে চাই না। এজন্য এ বিধান বাতিল করা হয়েছে।’

‘কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠন নিষিদ্ধ করার দাবি আসে বা প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের অন্যান্য আইন আছে। তাই ট্রাইব্যুনালে এ বিধান থাকছে না বলে রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ থাকল না, এমন কিছু না, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে অন্যান্য প্রচলিত আইনে পরে বিবেচনা করা যাবে,’ বলেন আইন উপদেষ্টা।

গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের আওতাধীন অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের লক্ষে ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন প্রণয়ন করা হয়।

আইন ও বিচার বিভাগ পরে আন্তর্জাতিক অপরাধের সংজ্ঞা যুগোপযোগীকরণ, অপরাধের দায় নির্ধারণ, অডিও ও ভিডিওর মাধ্যমে বিচারকাজ ধারণ ও সম্প্রচার, বিদেশি কাউন্সেলের বিধান, বিচারকালে অভিযুক্তের অধিকার, অন্তবর্তীকালীন আপিল, সাক্ষ্যের গ্রহণযোগ্যতা ও প্রাসঙ্গিকতা সংক্রান্ত বিধান, তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক তল্লাশি ও জব্দ করার বিধান, পর্যবেক্ষক, সাক্ষীর সুরক্ষা, ভিকটিমের অংশগ্রহণ ও সুরক্ষার বিধান সংযোজন করে এর খসড়া তৈরি করে।

বর্তমানে সংসদ না থাকায় এ অবস্থায় গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের আওতাধীন অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার করতে বিদ্যমান আইন যুগোপযোগী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদের নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রাজনৈতিক দলের বিচার ট্রাইব্যুনালে হচ্ছে না

আপডেট সময় : ০৯:৩৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) অধ্যাদেশ ২০২৪ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বুধবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অধ্যাদেশের বিষয়ে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিধান রাখা হয়নি।বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) অধ্যাদেশ ২০২৪ এর খসড়া গৃহীত হয়েছে। তবে, আমরা আইনের যে সংশোধনী করেছিলাম, উপদেষ্টা পরিষদ মনে করেছে যে, এই অধ্যাদেশের আওতায় ট্রাইব্যুনাল যদি মনে করে সংগঠনকে শাস্তি দেওয়া দরকার, তাহলে তারা সুপারিশ করতে পারবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে।’

তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ বলেছে আমরা এই বিচারকে অন্য কোনো বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত করতে চাই না। রাজনৈতিক দল বা কোনো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা প্রশ্ন এলে, এই আইনকে অযথাই প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ তৈরি হবে। আমরা এই সুযোগ দিতে চাই না। এজন্য এ বিধান বাতিল করা হয়েছে।’

‘কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠন নিষিদ্ধ করার দাবি আসে বা প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের অন্যান্য আইন আছে। তাই ট্রাইব্যুনালে এ বিধান থাকছে না বলে রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ থাকল না, এমন কিছু না, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে অন্যান্য প্রচলিত আইনে পরে বিবেচনা করা যাবে,’ বলেন আইন উপদেষ্টা।

গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের আওতাধীন অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের লক্ষে ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন প্রণয়ন করা হয়।

আইন ও বিচার বিভাগ পরে আন্তর্জাতিক অপরাধের সংজ্ঞা যুগোপযোগীকরণ, অপরাধের দায় নির্ধারণ, অডিও ও ভিডিওর মাধ্যমে বিচারকাজ ধারণ ও সম্প্রচার, বিদেশি কাউন্সেলের বিধান, বিচারকালে অভিযুক্তের অধিকার, অন্তবর্তীকালীন আপিল, সাক্ষ্যের গ্রহণযোগ্যতা ও প্রাসঙ্গিকতা সংক্রান্ত বিধান, তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক তল্লাশি ও জব্দ করার বিধান, পর্যবেক্ষক, সাক্ষীর সুরক্ষা, ভিকটিমের অংশগ্রহণ ও সুরক্ষার বিধান সংযোজন করে এর খসড়া তৈরি করে।

বর্তমানে সংসদ না থাকায় এ অবস্থায় গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের আওতাধীন অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার করতে বিদ্যমান আইন যুগোপযোগী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদের নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়।