ঢাকা ০১:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৩ লাখ ৭০ হাজার সরকারি পদ খালি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৩:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
  • / ২৪৫ বার পড়া হয়েছে

বিএসআরএফ সংলাপ’-এ জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডিডিএম প্রতিবেদক :
সরকারি চাকরিতে অনুমোদিত পদ ১৯ লাখ ১৫১টি। এরমধ্যে শূন্য পদ রয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৭টি।এ তথ্য জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন । মঙ্গলবার (২৮ মে) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ এ অংশ নিয়ে তিনি এ তথ্য জানান। বিএসআরএফ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ’র সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
বিসিএসে নারীরা পেছাচ্ছে-এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে ৮৪ জন সচিবের মধ্যে ১১ জন নারী। অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন ৭৫ জন, যুগ্ম সচিব ১৬৪ জন, উপ-সচিব ৩৯৪ জন।’
তিনি বলেন, ‘সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত ৬৫৮ জন। এছাড়াও ৬৪ জেলার মধ্যে জেলা প্রশাসক হিসেবে ৭ জন নারী এবং ইউএনও হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ১৫১ জন নারী। এসিল্যান্ড হিসেবে ৮৮ জন কর্মরত । একজন বিভাগীয় কমিশনার রয়েছেন নারী।’
মন্ত্রী বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সব সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে ২৯ শতাংশ নারী কাজ করছেন।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘বিগত ১০ বছরে ১ থেকে ৯ গ্রেডের ৩৫১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। এরমধ্যে গুরুদণ্ড পেয়েছেন ৪১ জন, লঘুদণ্ড পেয়েছেন ১৪০ জন। সবমিলিয়ে শাস্তি পেয়েছেন ১৮১ জন। আর ১৭০ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’
পদোন্নতির ক্ষেত্রে নীতিমালা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ আসছে। এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যথাযথ নীতিমালা অনুসরণ করেই পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়। আমাদের এখানে একটা সুশৃঙ্খলা চলে এসেছে।’
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ‘যখন আমরা পদোন্নতি দেই, একটা প্রশ্ন আসে পদের চেয়ে পদোন্নতির সংখ্যা বেশি। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন আমাদের অনেক কিছু খেয়াল করতে হয়। আমাদের খেয়াল রাখতে হয় বেশ কিছু কর্মকর্তা বিদেশে অধ্যয়নরত থাকেন, সরকারের বিভিন্ন স্কলারশিপ রয়েছে সেই স্কলারশিপের অধীনে। বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে কর্মরতদের বিষয় তো রয়েছেই। কিছু সংখ্যক মানুষ অসুস্থ থাকেন। সেটি বাদেই আমাদের কাজ করতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পদে যখন পদোন্নতি দিচ্ছি তখন কিন্তু যে পদ আছে সেই পদের চেয়ে বেশি দিতে হয় যৌক্তিক কারণে। কিছুদিনের বা ছয় মাসের মধ্যেই বেশকিছু কর্মকর্তা পিআরএলে চলে যাচ্ছেন। তারপর বেশকিছু রিজার্ভে রাখতে হয়। কারণ যদি কেউ অসুস্থ হয়ে যায়, সেই জায়গাটি পূরণ করা।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

৩ লাখ ৭০ হাজার সরকারি পদ খালি

আপডেট সময় : ০৪:৫৩:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

ডিডিএম প্রতিবেদক :
সরকারি চাকরিতে অনুমোদিত পদ ১৯ লাখ ১৫১টি। এরমধ্যে শূন্য পদ রয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৭টি।এ তথ্য জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন । মঙ্গলবার (২৮ মে) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ এ অংশ নিয়ে তিনি এ তথ্য জানান। বিএসআরএফ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ’র সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
বিসিএসে নারীরা পেছাচ্ছে-এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে ৮৪ জন সচিবের মধ্যে ১১ জন নারী। অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন ৭৫ জন, যুগ্ম সচিব ১৬৪ জন, উপ-সচিব ৩৯৪ জন।’
তিনি বলেন, ‘সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত ৬৫৮ জন। এছাড়াও ৬৪ জেলার মধ্যে জেলা প্রশাসক হিসেবে ৭ জন নারী এবং ইউএনও হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ১৫১ জন নারী। এসিল্যান্ড হিসেবে ৮৮ জন কর্মরত । একজন বিভাগীয় কমিশনার রয়েছেন নারী।’
মন্ত্রী বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সব সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে ২৯ শতাংশ নারী কাজ করছেন।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘বিগত ১০ বছরে ১ থেকে ৯ গ্রেডের ৩৫১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। এরমধ্যে গুরুদণ্ড পেয়েছেন ৪১ জন, লঘুদণ্ড পেয়েছেন ১৪০ জন। সবমিলিয়ে শাস্তি পেয়েছেন ১৮১ জন। আর ১৭০ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’
পদোন্নতির ক্ষেত্রে নীতিমালা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ আসছে। এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যথাযথ নীতিমালা অনুসরণ করেই পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়। আমাদের এখানে একটা সুশৃঙ্খলা চলে এসেছে।’
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ‘যখন আমরা পদোন্নতি দেই, একটা প্রশ্ন আসে পদের চেয়ে পদোন্নতির সংখ্যা বেশি। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন আমাদের অনেক কিছু খেয়াল করতে হয়। আমাদের খেয়াল রাখতে হয় বেশ কিছু কর্মকর্তা বিদেশে অধ্যয়নরত থাকেন, সরকারের বিভিন্ন স্কলারশিপ রয়েছে সেই স্কলারশিপের অধীনে। বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে কর্মরতদের বিষয় তো রয়েছেই। কিছু সংখ্যক মানুষ অসুস্থ থাকেন। সেটি বাদেই আমাদের কাজ করতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পদে যখন পদোন্নতি দিচ্ছি তখন কিন্তু যে পদ আছে সেই পদের চেয়ে বেশি দিতে হয় যৌক্তিক কারণে। কিছুদিনের বা ছয় মাসের মধ্যেই বেশকিছু কর্মকর্তা পিআরএলে চলে যাচ্ছেন। তারপর বেশকিছু রিজার্ভে রাখতে হয়। কারণ যদি কেউ অসুস্থ হয়ে যায়, সেই জায়গাটি পূরণ করা।’