দেশে এখন একটাই আলোচনা, কেমন আছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি বর্ষণ। এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এ নিয়ে দিনভর দেশজুড়ে চলছে আলোচনা। সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ঝরছে। হাদির ওপর এমন হামলায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও ক্ষোভ ঝরছে।রাজনৈতিক দলগুলো মনে করছে নির্বাচন বানচাল করার জন্য একটি গোষ্ঠী ওঠে পড়ে নেমেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী মনে করেন, যারা বাংলাদেশে নির্বাচন চায় না, তারা ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক বিতর্ক হবে, কিন্তু ফ‍্যাসিবাদবিরোধী ঐক‍্য যেন বিনষ্ট না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যদি ঐক‍্য থাকে, তবে জাতীয়ভাবে এ-জাতীয় ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব। যারা বাংলাদেশে নির্বাচন চায় না, তারা হাদির ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অর্থবহ করতে প্রতি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বিএনপি উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে হামলার পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেভাবে ব্যবস্থা নেয়নি। নিলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতো না। রাজনৈতিক দল হিসেবে সর্বোচ্চ অঙ্গীকারে বিএনপি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে সহযোগিতা করবে।

তিনি আরও বলেন, কালকে ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে যে ঐক‍্যের ডাক দেয়া হয়েছে, সেখানে যাওয়ার জন‍্য প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। সেখানে যাবে বিএনপি। হাদির পাশাপাশি আরও হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছি না। তবে এ-জাতীয় বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে যদি পতিত ফ‍্যাসিবাদ মনে করে নির্বাচন রুখতে পারবে, সেটা ভুল ধারণা।

এর আগে, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর বক্সকালভার্ট এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে গুরুতর আহত ওসমান হাদিকে উদ্ধার করে বিকেল পৌনে ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। ঢামেকের জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসা শেষে রাত ৯টার দিকে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।