সাংবাদিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা আদায়ে দৈনিক ডেসটিনির কার্যালয় ঘেরাও
- আপডেট সময় : ০৯:৩২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ৪৩ বার পড়া হয়েছে
বকেয়া বেতন আদায়ে দৈনিক ডেসিনিটির সাংবাদিক-কর্মচারিরা পত্রিকা অফিসটির পল্টনস্থ কার্যালয় ঘেরাও করেছে। সাংবাদিক-কর্মচিারিরা পরিস্কার জানিয়ে দেন,‘বেতন-ভাতা পরিশোধ করার জন্য কোনো ধরনের টাল-বাহানা সহ্য করা হবে না। অবিলম্বে আমাদের সমুদয় বকেয়া বেতন-ভাতা না দিলে প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব। দৈনিক ডেসটিনি প্রকাশক এবং সম্পাদক মো. রফিকুল আমীন যেখানে থাকবেন; সেখানেই আপনাকে অবরোধ করে বকেয়া টাকা আদায় করা হবে।’
আজ ১০ ডিসেম্বর বেলা ১২টায় সাহারা টাওয়ারস্থ দৈনিক ডেসটিনির কার্যালয়ে পত্রিকার সাবেক সাংবাদিক ও কর্মচারীদের আহুত অবস্থান এবং ঘেরাও কর্মসূচি পালনকালে বক্তারা এ কথা বলেন।
উল্লেখ্য, ‘দৈনিক ডেসটিনি’ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মো. রফিকুল আমীনের কাছে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিভিন্ন মেয়াদে বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। দীর্ঘ ১৩ বছর অতিক্রম হলেও রফিকুল আমীন বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করছেন না।
এই কর্মসূচির সঙ্গে একত্বতা ঘোষণা করে আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম। তিনি বলেছেন, ‘সাংবাদিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা আদায়ের যেকোনো আন্দোলনের সঙ্গে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন পাশে থাকবে। প্রয়োজনে লক্ষ্য পূরণ করতে আন্দোলন গড়ে তুলতে ইউনিয়ন সর্বতোভাবে সহযোগিতা করবে।’ সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন [বিএফইউজে] নির্বাহী পরিষদের সদস্য শাহীন হাসনাত বলেন, ‘আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য সব ধরনের সহায়তা প্রদানের করবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন।’
অবস্থানকালে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের াবী-াওয়া আদায় করতে। কিন্তু যদি এটা মানা না হয়, তা হলে টাকা কিভাবে আদায় করা যায় সেই বাঁকা পথের কথাও আমাদের জানা আছে। অত্যন্ত ুঃখজনক হলেও সত্যি যে বারবার কথা দিয়েও আমারে পাওনা এখনো পরিশোধ করা হয়নি। রফিকুল আমীন জেলে থাকা অবস্থায় আমাদের সাময়িক পাওনা পরিশোধের জন্য তার পক্ষ থেকে তিনটি চেক প্রদান করা হয়েছিল। এর মধ্যে মাত্র একটি চেকের টাকা পাওয়া গেলেও অন্য দুটি চেকের টাকা পাওয়া যায়নি। বারবার টাকা পরিশোধ করার কথা বলা হলেও তিনি এ ব্যাপারে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেননি।’
উল্লেখ্য, প্রায় ১২ বছর পর ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ জেল থেকে মুক্তি পান মো. রফিকুল আমীন। কিন্তু দীর্ঘ অতিবাহিত হলেও তিনি ডেসটিনির সাবেক সাংবাকি-কর্মচারীদের কোনো খোঁজ-খবর নেন নি। অথচ এই সময়কারে তিনি ডেসটিনি পত্রিকা ঢেলে সাজানো উদ্যোগ নিয়েছেন। ২৭ জুলাই ২০২৫ সাবেক সাংবাদিক-কর্মচারীরা তার সঙ্গে বৈশাখী টেলিভিশনে দেখা করে বকেয়া বেতন-ভাতার াবী করে। ওই বৈঠকে তিনি অবিলম্বে বকেয়া বেতন-ভাতা প্রান করার আশ^াস দিয়েছিলেন। কিন্তু বকেয়া পরিশোধের ব্যাপারে কোনো কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়া হলে গত ১২ নভেম্বর একটি চিঠির মাধ্যমে পাওনা বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য আলটিমেটাম দেওয়া হয়। চিঠি পাওয়ার পরও তিনি পাওনা পরিশোধের কোনো ধরনের উদ্যোগ নেননি।
এমতাবস্থায়, গতকাল ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ বুধবার বেলা ১২টায় সময় সাবেক ১০২ জন সাংবাদিক ও কর্মচারীবৃন্দ বকেয়া বেতন-ভাতা আদায়ের জন্য দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান গ্রহণ করে। এ অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেনÑ আরিফ সোহেল, আমিনুল ইসলাম লিটন, খন্দকার মোস্তাক আহম্মেদ, মো. তাজুল ইসলাম, মো. ইমদাদুল ইসলাম, রাসেল আহমেদ, হালিমা খাতুন, আহসান হাবিব রাজা, সারোয়ার আলম ও ইমাম মেহেদী প্রমূখ। বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণার জন্য আগামী ১৪ ডিসেম্বর মূল নেতৃবৃন্দ বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকের পর পরবর্তী আন্দোলনের গতিপথ ঠিক করা হবে।
























