নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা হলে কোন কিছুই বন্ধ থাকবে না জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ১২:৪১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ৪২ বার পড়া হয়েছে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল এখন ঘোষনার অপেক্ষায়। বুধ এবং বৃহস্পতিবারের মধ্যেই ঘোষনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচনী তফসিল ঘোষনার পর কি রাষ্ট্রের সব কিছু স্থবির হয়ে পড়বে না তো। যেহেতু তফসিল ঘোষনার আগেই উপদেষ্টাদের অনেকেই পদত্যাগ করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিশেষ কর যারা নির্বাচনে অংশ নিবেন তাদের পদত্যাগ করার সম্ভাবনাই বেশি। তাহলে সেই স্থানগুলোতে পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। কারণ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়টি উঠে এসেছে এখানে।
তবে সকলের ভ্রান্ত ধারনাকে পরিস্কার করে দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড.সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনকে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত করতে পারে এ ধরণের কাজ ছাড়া সরকার সব ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।
তিনি বলেছেন, আমাদের অনেকের ধারণা- নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা হলে সব বন্ধ হয়ে যাবে—এটা হয় না, এটা ভুল ধারণা। নির্বাচনকে প্রত্যক্ষভাবে ইনফ্লুয়েন্স (প্রভাবিত করে), শুধু সেসব কাজ আমরা করতে পারবো না।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। তফসিল হলে রোজার আগে আপনাদের (সরকারের) কেনাকাটা অব্যাহত থাকবে কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা হলেই সব বন্ধ হয়ে যাবে নাকি? তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন মাস যখন ছিল সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নাকি?
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, তফসিল ঘোষনার পর বেতন,প্রজেক্ট, কোন কিছুই বন্ধ থাকবে না। নির্বাচনের সঙ্গে এগুলোর কোন সম্পর্ক নেই। তিনি আরো বলেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনার কোনো কিছু তো নির্বাচনের জন্য বন্ধ থাকবে না। পাঁচটি ব্যাংক এক হবে, ৯টি এনবিএফআই (লিজিং কোম্পানি) এক হবে। ওই কাজগুলো তো বন্ধ থাকবে না।
তবে অধ্যাদেশ জারি সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন,অধ্যাদেশের ব্যাপারে আমরা এখন জানি না, নতুন কোনো অধ্যাদেশের ব্যাপার এখন পর্যন্ত নেই। কারণ, ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট পাস হয়ে গেছে। এনবিএফআই পাস হয়ে গেছে। এনবিআরের তো সব শেষ হয়ে গেছে। এনবিআরে শুধু বাকি ম্যানপাওয়ার, ওটার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।
বৈঠকের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এবার আমার জানা মতে ফসল ভালো হয়েছে। এখন ডিপেন্ড করে বাজারে কিভাবে অন্যরা কী করবে। রোজার আগে আমরা মসুর ডালের ব্যাপারে প্রিপারেশন নিচ্ছি। খেঁজুরের ব্যাপারে কিছুদিন পরে আমরা একটা ব্যবস্থা নেবো।
তিনি বলেন, পাঠ্যপুস্তক যেগুলো বাকি ছিল, একেবারে ক্লাস ওয়ান থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত কয়েকটা আমরা রিটেন্ডার করতে বলেছিলাম। পাঠ্যপুস্তক সবগুলো আমরা অ্যাপ্রুভ করেছি আগেরগুলো। আশাকরি পাঠ্যপুস্তকগুলো এবার আমরা যথাসময়ে পাবো। হয়তো এদিকে-সেদিক একটু হবে। তবে কোনো বেশি ডিলে হবে না, হওয়ার কথা না। আমরা কোয়ালিটিও মেনটেন করছি।
শিক্ষার্থীদের নতুন বই দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনি বলেছেন আমরা যথাসম্ভব জানুয়ারির মধ্যে যেটা টার্গেট করবো। কতগুলো তো হয়ে যাবেই। দুই-একটি শ্রেণির হয়তো, আজকে যেমন কয়েকটা হয়েছে একটু সময় লাগতে পারে। কিন্তু বাকিগুলাই যে আগে দিয়েছি ওটা হয়ে যাবে। নির্বাচনের আগে বই বিতরণ করা প্রসঙ্গে বলেন, যদি প্রিন্ট হয়ে যায় তাহলে দেবো।
নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি বাড়ার বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মূল্যস্ফীতি এমন একটা জিনিস একটা জায়গা থেকে নামিয়ে আনা কঠিন। আমরা ১৪ থেকে নামিয়ে এনেছি। মূল্যস্ফীতি শুধু মনিটারি পলিসি টাইট করে, ইন্টারেস্ট টাইট করে হয় না। সাপ্লাই সাইটটা ভেরি ইমপোরটেন্ট।
তিনি বলেন, আজকে আমরা মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিলাম, কয়দিন পরে দেখবেন মসুর ডালের দাম কমবে। কারণ, ভয় পাবে যে ২০ হাজার টন মসুর ডাল আসবে। এখন এই জন্য তো আমরা চেষ্টা করছি। কিন্তু এখানে ডায়নামিস্ট সবচেয়ে বেশি হলো মার্কেটে যারা রিটেলার, হোলসেলার যারা ইমপোর্ট করে। সয়াবিনের দাম দেখেন না, কয়দিন আগে বাড়িয়ে দিল ওরা।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, পেঁয়াজের দামটা বেড়েছে। কারণ, ওটার সাপ্লাই কমেছে। এখন পাশের দেশ পেঁয়াজ আমদানির জন্য রিকোয়েস্ট করছে।
আপনি কি বলতে চাচ্ছেন খুচরা ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি সরাসরি সেটি বলবো না। মার্কেট ডায়নামিক, মার্কেটের সঙ্গে এফিশিয়েন্টলি এবং স্বচ্ছভাবে কাজ এখনো সম্পূর্ণভাবে করছে না ডেফিনেটলি। তা না হলে কেন হবে।



















