খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও বিএনপি’র রাজনীতি নিয়ে দেশজুড়ে যতো আলোচনা
- আপডেট সময় : ০৯:৫৭:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ৪৮ বার পড়া হয়েছে
এভারকেয়ারে নিবিড় চিকিৎসারত অবস্থায় তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ঠিক এই অবস্থায় তাকে বিদেশে চিকিৎসায় দেয়ার জোর আওয়াজ উঠেছে। এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তার নিরাপত্তা জোরদারের জন্য এসএসএফ নিয়োগ দেয়া হেয়েছিলো। সব মিলে নানা গুঞ্জন দেশজুড়ে। সর্বত্রে বলাবলি হচ্ছে, খালেদা জিয়ো ভেন্টেলেশনে আছেন, কৃত্রিমভাবে বেঁচে আছেন। আবার সিদ্ধান্ত আসছে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানো হবে। আবার মা’য়ের করুণ এই মূহুর্তে কেন তারেক রহমান দেশের ফিরছেন না? এমন সব আলোচনা চলছেন দেশজুড়ে।
সাধারণ মানুষের আশঙ্কা খালেদা জিয়াকে কেন্দ্র করে সরকার থেকে আবার নতুন কোন ফন্দি আঁটা হচ্ছে না তো! তার অসুস্থ্যতাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কিনা আবার পিছিয়ে দেয়া হয়। এমনিতে নতুন এক সন্দেহের তীর বেঁধেছে সর্বত্রে দেশের রাজনীতিতে কিনা মাইনাস জিয়া পরিবার করার নকশা তৈরি হচ্ছে।
সেটা হতে পারে নানা উপায়। কেউ কেউ বলাবলি করছেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে পারলে মা এবং ছেলে দু’জনেরই আর দেশে ফিরা হবে না! ফলে অভিবাবক শুন্য হয়ে পড়া বিএনপি মাঠে মারা যাবে। এগুলো সব পাবলিক পারসেপশান।
কিন্তু আজ পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে তাহচ্ছে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা বিদেশে হবে নাকি দেশে হবে সেটা তার পুত্র বধু ডা. জুবাইদা রহমান এবং মেডিক্যাল টিমের উপর নির্ভর করছে।
আর তাই খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সবুজ সংকেতের উপর নির্ভর করছে সব কিছু। তারা সবুজ সংকেত দিলেই ঢাকায় আসবে কাতারের রয়েল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কাতারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ম্যাডামের মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে কাতারের রয়েল অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশ আসবে। সেইভাবে তারা এখন প্রস্তুত রয়েছে। মেডিকেল বোর্ড যখনই সিদ্ধান্ত জানাবে, তখনই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসবে এবং বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নিয়ে যাবে। সবকিছুই কাতার কর্তৃপক্ষ অ্যারেজমন্টে হচ্ছে।
জার্মানি থেকে অ্যাম্বুলেন্স আসার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্পষ্ট করে তিনি বলেন, জার্মানি থেকে অ্যাম্বুলেন্স আসার বিষয়টি ঠিক আছে। আমরা নই, কাতার কর্তৃপক্ষই জার্মানি থেকে একটি অত্যাধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থ করে দিচ্ছে। অর্থাৎ, বিএনপি চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্য রয়েল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে সবকিছু হচ্ছে। এখানে আমাদের কিছু নেই।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শারীরিক অবস্থা আগের মতোই আছে। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে বেগম খালেদা জিয়াকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে।
একাধিক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসন এখনো ফ্লাই করার সমক্ষমতা অর্জন করেনি। এ জন্য লন্ডন যাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে। তারা জানান, গত দুদিনে মেডিকেল বোর্ড কিছু পরীক্ষা করেছে, তার প্রতিবেদনও তারা পর্যালোচনা করছেন। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দুই দফা মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিনই বোর্ডের সভায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার নিয়মিত প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বেগম খালেদা জিয়া। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিচ্ছেন। এই মেডিকেল বোর্ডে তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানও সদস্য। গতকাল তিনি ঢাকায় এসেছেন তার শাশুড়িকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নিয়ে যেতে।




















