ঢাকা ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ফেঁসে গেছেন জহুরুলসহ দুদকের সাবেক ৬ কমিশনার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:০৩:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ৬৬ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের টার্মিনেশন রেট ও রেভিনিউ শেয়ার বেআইনিভাবে কমিয়ে রাষ্ট্রের ৯ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. জহুরুল হক ও বিটিআরসির সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ৬ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক।

দুদকের ইতিহাসে এই প্রথম সংস্থাটির কমিশনার পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দায়ের হলো। ঘটনার সময় জহুরুল বিটিআরসির কমিশনার ও পরবর্তী সময়ে চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির পরিচালক জালাল উদ্দীন আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। জনসংযোগ কর্মকর্তা মো আকতারুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন– বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, সাবেক চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, সাবেক কমিশনার মো. জহুরুল হক, সাবেক কমিশনার মো. রেজাউল কাদের ও মো. আমিনুল হাসান।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ সরকারের অনুমোদন ছাড়াই পরীক্ষামূলক সময়ের কল রেট কমিয়ে ০.০৩ ডলার থেকে ০.০১৫ ডলার করে এবং সরকারের রেভিনিউ শেয়ার ৫১.৭৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে নামিয়ে আনে। একইসঙ্গে আইজিডব্লিউ অপারেটরের শেয়ার ১৩.২৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ করা হয়। যা সম্পূর্ণ বেআইনি।

যার মাধ্যমে রেভিনিউ শেয়ার কমানোর ক্ষতি ৩৮৩ কোটি ৭৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা, কম রেটে কল আনায় ক্ষতি ২ হাজার ৯৪১ কোটি ৯৯ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা না আনায় ক্ষতি ৫ হাজার ৬৮৫ কোটি ১ লাখ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে রাষ্ট্রের মোট ক্ষতি ৯ হাজার ১০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/৪১৮, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক কমিশনার মো. জহুরুল হকের বিরুদ্ধে পৃথক অনুসন্ধান চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। ২০২১ সালের ১০ মার্চ কমিশনার হিসেবে মো. জহুরুল হক দুর্নীতি দমন কমিশনে যোগদান করেন। ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর পদত্যাগ করেন। ওইদিন দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ও কমিশনার আছিয়া খাতুনও পদত্যাগ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ফেঁসে গেছেন জহুরুলসহ দুদকের সাবেক ৬ কমিশনার

আপডেট সময় : ০৯:০৩:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের টার্মিনেশন রেট ও রেভিনিউ শেয়ার বেআইনিভাবে কমিয়ে রাষ্ট্রের ৯ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. জহুরুল হক ও বিটিআরসির সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ৬ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক।

দুদকের ইতিহাসে এই প্রথম সংস্থাটির কমিশনার পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দায়ের হলো। ঘটনার সময় জহুরুল বিটিআরসির কমিশনার ও পরবর্তী সময়ে চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির পরিচালক জালাল উদ্দীন আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। জনসংযোগ কর্মকর্তা মো আকতারুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন– বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, সাবেক চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, সাবেক কমিশনার মো. জহুরুল হক, সাবেক কমিশনার মো. রেজাউল কাদের ও মো. আমিনুল হাসান।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ সরকারের অনুমোদন ছাড়াই পরীক্ষামূলক সময়ের কল রেট কমিয়ে ০.০৩ ডলার থেকে ০.০১৫ ডলার করে এবং সরকারের রেভিনিউ শেয়ার ৫১.৭৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে নামিয়ে আনে। একইসঙ্গে আইজিডব্লিউ অপারেটরের শেয়ার ১৩.২৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ করা হয়। যা সম্পূর্ণ বেআইনি।

যার মাধ্যমে রেভিনিউ শেয়ার কমানোর ক্ষতি ৩৮৩ কোটি ৭৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা, কম রেটে কল আনায় ক্ষতি ২ হাজার ৯৪১ কোটি ৯৯ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা না আনায় ক্ষতি ৫ হাজার ৬৮৫ কোটি ১ লাখ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে রাষ্ট্রের মোট ক্ষতি ৯ হাজার ১০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/৪১৮, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক কমিশনার মো. জহুরুল হকের বিরুদ্ধে পৃথক অনুসন্ধান চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। ২০২১ সালের ১০ মার্চ কমিশনার হিসেবে মো. জহুরুল হক দুর্নীতি দমন কমিশনে যোগদান করেন। ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর পদত্যাগ করেন। ওইদিন দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ও কমিশনার আছিয়া খাতুনও পদত্যাগ করেন।