অবশেষে ভারতকে হারালো বাংলাদেশ, বিজয়ে উচ্ছসিত হামজা
- আপডেট সময় : ১০:৪৩:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
- / ৪০ বার পড়া হয়েছে
ফুটবল হলো গোলের খেলা। যে দল গোল করবে তারাই জিতবে। ভারতের বিপক্ষে অবশেষে সেই গোলের খেলায় জিতল। ঘরের মাঠে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে অবশেষে ভারতের বিপক্ষে ২২ বছর পর জয়ের উল্লাস করলো। হাসি ফুটলো হামজার মুখে। এএফসি এশিয়ান কাপের প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই জয়ের সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ম্যাচ শেষে হামজকে দেখা গিয়েছিলো বিমর্ষ চেহারায়, মুখ থুবড়ে পড়ে থাকতে। সি- গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে এবার লাফিয়ে উঠে উল্লাস প্রকাশ করলেন বাংলাদেশের এই লিস্টার সিটির ফুটবলার। তার উপস্থিতিতে অবশেষে বাংলাদেশ জয় পেলো। ভারতকে পরাজিত করলো ১-০ গোলে।
আজ ম্যাচ জয়ের জন্য ভিন্ন পরিকল্পনা হেঁটেছিলেন হামজারা।খেলার ধরনটা দেখলে মনে হতে পারে বাংলাদেশ খুব একটা ভালো খেলেনি। কিন্তু ম্যাচ জয়ের জন্য তাদের পরিকল্পনাটাই ছিলো এমনটি। দিন শেষে ম্যাচ জিততে হবে,সেটাই করে দেখালেন তারা কিক অফের ঠিক দশ মিনিটের মাথায়। বাম প্রান্ত থেকে রাকিবের দূর্দান্ত উইথ দ্যা বল আক্রমন চালায়, এবং ডান পায়ে চমৎকার প্লেসিং করেন। সুযোগ সন্ধ্যানী মোরসালিন এগিয়ে আসা ভারতীয় গোল কিপারের পায়ের নিচ দিয়ে ঠিক টোকা দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন। যা ছিলো অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত এক গোল।
দশ মিনিটে এগিয়ে যাওয়া গোলটি ধরে রাখতে রক্ষণাত্মক ভূমিকায় চলে যায়। তাতে ভারতীয় দলের আক্রমন স্পষ্ট হয়ে উঠলেও গোল পরিশোধ করতে পারেনি। দলের মূল ভরসা হামজা চৌধুরী এব্ং সামিত শোম উপরে এবং একই সাথে নীচে নেমে খেলে দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ভারতীয় আক্রমনের একটি নিশ্চিত গোল শুন্যবারে হামজা দূর্দান্ত এক হেড দিয়ে দলকে গোল হজম থেকে রক্ষা করেন। আক্রমনের পাশাপাশি তার রক্ষণাত্মক এই ভূমিকা বাংলাদেশের ফুটবলকে বদলে দিয়েছে। এক কথায় আজকের ম্যাচটি ছিলো হামজাময়। কখনো নীচে কখনো উপরে উঠে খেলে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন তার যোগ্যতা।
শিলংয়ে ভারতকে হারাতে পারেনি। ড্র করেছিলো ঐ ম্যাচ। ঘরের মাঠে সেটা আর হতে দেন নি হামজা। ছোট ছোট ভুলগুলো হতে দেন নি। ম্যাচ জয়ের জন্য যা করণীয় মাঠের লড়াইয়ে তার পুরোটাই প্রয়োগ করেছেন।
যদিও ভারত সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে অনেকবার চেষ্টা চালিয়েছে গোলের; কিন্তু হামজাদের ডিফেন্স এবং গোলরক্ষক মিতুল মারমার বাধা ভেদ করে তারা গোল করতে পারেনি। হামজা চৌধুরী গোললাইনে সেভ করেছেন বারবার। দুরপাল্লার শটে তার শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরেও গেছে একবার। রক্ষণে বারবার ত্রানকর্তার ভূমিকায় ছিলেন। আক্রমনে করেছেন সহায়তা।মাঠ ভর্তি দর্শক প্রাণভরে দেখলেন তার সেই খেলা।
তবে এদনি মাঠেও উত্তেজনা ছিল বেশ।যা আগের দিন জামাল ভূঁইয়া পূর্বাভাসও দিয়েছিলেন, হতে পারে হলুদ কাডের ছড়াছড়ি। ম্যাচটি বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের জন্য কোন লাভ বয়ে না আনলেও ছিলো দু’দেশের ভিন্ন এক মর্যাদার লড়াই। সে উত্তেজনা লক্ষ্যণীয় ছিলো মাঠের লড়াইয়ে।
৩৩ মিনিটে একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও হয়েছে। ফিলিপাইনের রেফারি বাংলাদেশের তপু বর্মণ ও ভারতের নারাভি নিখিলকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেছেন।
তার আগে ব্যাথা পেয়ে ২৭ মিনিটে মাঠ ছেড়েছেন তারিক কাজী। পরিবর্তে কোচ মাঠে নামিয়েছেন মোহামেডানের তরুণ ডিফেন্ডার শাকিল আহাদ তপুকে।
উল্লেখ্য, গত দুটি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে জয় ছিল না বাংলাদেশের। এরপর চলমান আসরে চার ম্যাচ গোলশূন্য। অবেশেষ দেখা দিলো জয়ের।এই জয়ের ফলে ভারতকে নীচে ফেলে উপরে থাকলো বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচে বাংলাদেশের ঝুলিতে পাঁচ পয়েন্ট। যা কিনা এএফসি এশিয়ান কাপে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অর্জন।




















