সবার চোখ থাকছে হামজার দিকে
- আপডেট সময় : ১০:৫৪:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
- / ৪০ বার পড়া হয়েছে
হামজা চৌধুরী যোগ দিতেই বদলে যায় বাংলাদেশের ফুটবলের চিত্র। খুলে যায় প্রবাসী ফুটবলারদের দরজা। যদিও জামাল ভুঁইয়ার হাত ধরেই প্রবাসী ফুটবলারদের আগমন ঘটে। কিন্তু তাতে ফুটবলে ততোটা সাড়া পড়েনি। লিস্টার সিটি ক্লাবের ডিফেন্সিং মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী আসতেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রবাসী ফুটবলাররা বাংলাদেশের জার্সীতে ফুটবল খেলতে মরিয়া হয়ে উঠে। হামজার উপস্থিতিতে স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার আগ্রহটাও আকাশ ছোঁয়া। উত্তেজনার পারদ যে কোথায় গিয়ে ঠেকেছে সেটা টিকিট বিক্রিতেই পরিস্কার,মাত্র ছয় মিনিটেই শেষ। বাংলাদেশের জার্সিতে হামজা ইতোমধ্যে ছয়টি ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে চারটি গোল করেন এবং একটি করান।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে জামাল হামজাকে ঘিরে বললেন, ‘হামজা বিদেশ থেকে এসেছে আমার মতো। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া খুব ভালো। হামজার যখনই কোনো সমস্যা হয় আমাকে টেক্সট করে বা কল করে। ফুটবল নিয়ে কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে আমি হামজাকে জিগাই (জিজ্ঞেস করি)। সো এই আন্ডারস্ট্যান্ডিং মাঠের বাইরে শুরু হইছে।’
বাংলাদেশের জার্সিতে হামজার প্রথম গোলটা ছিল ভুটানের বিপক্ষে। সেই গোলটা এসেছিল জামালের নেয়া কর্নার কিক থেকে। সর্বশেষ নেপালের বিপক্ষে ম্যাচেও জামালের বাড়ানো বলে গোল করেন হামজা। হামজার চার গোলের মধ্যে বাইসাইকেল কিককে এগিয়ে রাখলেন জামাল, ‘এটা বেশ খুশির হামজার চার গোলের মধ্যে আমার দুটি অ্যাসিস্ট। বাইসাইকেল কিকের গোলটি এক কথায় অসাধারণ।’
আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের বড় সমস্যা ছিল গোলখরা। ম্যাচের পর ম্যাচ খেললেও প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে পারছিল না ফুটবলাররা। তবে হামজার আগমনের পর কেবল ভারত ম্যাচ ছাড়া প্রতি খেলায় গোল পেয়েছে বাংলাদেশ। হামজা মূলত ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হলেও বাংলাদেশ তার কাছ থেকে গোল পাচ্ছে। এটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
সংবাদ সম্মেলনে এই স্প্যানিশ কোচ বললেন সেই কথাই,‘হামজা ছয় ম্যাচে চার গোল করেছে, এটি তার পজিশন নির্বিশেষে খুবই ইতিবাচক। তার ভেতর যে ইমপ্যাক্ট আছে তা অনেক বড়। সে আসার পর থেকে আমরা প্রতি ম্যাচেই গোল করছি। তাকে সামনে বা পেছনে খেলার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে এবং আমরা তাতে মানিয়ে নিচ্ছি, যা দলের জন্য খুবই ইতিবাচক।’























