ঢাকা ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রাতে বাংলাদেশ-ভারতে ফুটবল লড়াই,জয়ের জন্য মুখিয়ে জামাল ভূঁইয়ারা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩২:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৪০ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মঙ্গলবার রাতেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে শুরু হচ্ছে এএফসি এশিয়া কাপ ফুটবলের বাছাই পর্বের শেষ লড়াই। ম্যাচটিকে ঘিরে চরম উত্তেজনায় ভাসছেন দেশের ফুটবল ভক্তরা। যদিও এই ম্যাচের ফলাফলে কোন সুযোগ নেই দুই দলের পরবর্তী রাউন্ডের উঠার। তবুও নিয়ম রক্ষার ম্যাচটি হয়ে উঠেছে অন্যরকম এক মর্যাদার লড়াইয়ে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটি বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ। আর তাই বছরটা জয় দিয়েই শেষ করার দৃঢ় প্রত্যয় দেখিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। যদিও এর আগে দু’দলের লড়াইয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছিলো বাংলাদেশ ও ভারত। এবার ঘরের মাঠে পূর্ণ পয়েন্ট লাভের প্রত্যাশা করছেন দলটির অধিনায়ক। তার বিশ্বাসের পারদ উপরের দিকে উঠেছে মূলত প্রবাসী ফুটবলার হামজার সঙ্গে আরো কয়েকজনের যুক্ত হওয়ায়।

হামজা ফুটবলারটি যে কি সেটা তিনি বরাবরই প্রমান করে আসছেন। সঙ্গে শামিত সোম, জায়ান, মিচেলদের যুক্ত হওয়ায় শক্তি আগের যে কোন সময়ের চেয়ে কয়েকগুন বেড়েছে বলে ধরেই নেয়া যায়। বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় ঢা্কা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।

দীর্ঘদিন ধরে ভারতে বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ জেতা হয়নি। সেই ২০০৩ সালে অর্থাৎ ১৬ বছর আগে ভারতে পরাজিত করেছিলো বাংলাদেশ। এরপর পাশবর্তী এই দেশটির বিপক্ষে ম্যাচ জেতাটা অধরাই থেকে গেছে। ঘরের মাঠে এবার ক্ষুধা মেটাতে চান জামাল ভুঁইয়ারা।

ম্যাচের আগের দিন তাই সংবাদ সম্মেলনে জামাল জানিয়েছেন নিজের সেই ইচ্ছার কথা। বাংলাদেশ ও ভারতের ম্যাচটিকে তিনি উত্তেজনাকরের তালিকায় রেখে বলেন,  ‘অবশ্যই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ সবসময়ই উত্তেজনাকর। সবাই ম্যাচটিকে নিয়ে দারুন উজ্জীবিত। বছরের শেষ ম্যাচ, তাও আবার ভারতের বিপক্ষে। স্বাভাবিকভাবেই আমরা মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছি।’

তিনি বলেন, ‘এটা অনেক ইমোশনালর ম্যাচ। এরপর দীর্ঘদিন জাতীয় দলের কোন ম্যাচ নেই। সে কারনেই ম্যাচটি সমর্থকদের জন্য, আপনাদের সবার জন্য জিততে চাই। অবশ্যই এজন্য আবেগকে সামাল দিয়ে খেলতে হবে। চাপতো থাকবেই, অধিনায়ক হিসেবে সেই চাপ সামলানোর দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে। একাদশে খেলতে পারবো কিনা সেটা কোচ জানেন এবং দলীয় ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করছে। কিন্তু সুযোগ পেলে নিজেকে মেলে ধরতে চাই।’

ভারত-বাংলাদেশ লড়াই মানেই খেলোয়াড়দের মধ্যে বাড়তি একটি চাপ। জামাল সেটা মেনে নিয়েই বলেছেন, ‘কালকের ম্যাচে অনেক ফ্রি-কিক হবে, হলুদ কার্ড হবে। তবে আমি এটিকে একটি স্বাভাবিক ম্যাচ হিসেবেই দেখবো। আমাদের মস্তিষ্ক ব্যবহার করে খেলতে হবে।’

জামালের চোখে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই এবার ভারতকে হারানোর সুযোগও দেখছেন তিনি, ‘আমরা যে অবস্থায় আছি এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তার উপর একটি কথা বলতে চাই, ভারত এই মুহূর্তে সেরা অবস্থায় নেই। তাই অবশ্যই আমাদের একটা বড় সুযোগ আছে।’

ভারত যদি আক্রমনাত্মক ফুটবল খেলে তবে বাংলাদেশও সেভাবেই কৌশল সাজাবে। যদিও বাংলাদেশের রক্ষনভাগের দূর্বলতা স্বীকার করে জামাল বলেছেন, ‘ডিফেন্সে অবশ্যই আমাদের সমস্যা আছে। তবে ভারত যদি অনেক উপরে উঠে খেলে, তাহলে আমরা সামনে অনেক স্পেস পাবো। আক্রমণে যারা খেলবে ওরা অনেক গতিময় খেলোয়াড়। রাকিব সম্ভবত দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুতগতির স্ট্রাইকার। তাকে যদি ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারি,তাহলে ভারতের রক্ষনভাগে যেই থাকুকনা কেন রাকিব তছনছ করে দিতে পারে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রাতে বাংলাদেশ-ভারতে ফুটবল লড়াই,জয়ের জন্য মুখিয়ে জামাল ভূঁইয়ারা

আপডেট সময় : ১০:৩২:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

মঙ্গলবার রাতেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে শুরু হচ্ছে এএফসি এশিয়া কাপ ফুটবলের বাছাই পর্বের শেষ লড়াই। ম্যাচটিকে ঘিরে চরম উত্তেজনায় ভাসছেন দেশের ফুটবল ভক্তরা। যদিও এই ম্যাচের ফলাফলে কোন সুযোগ নেই দুই দলের পরবর্তী রাউন্ডের উঠার। তবুও নিয়ম রক্ষার ম্যাচটি হয়ে উঠেছে অন্যরকম এক মর্যাদার লড়াইয়ে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটি বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ। আর তাই বছরটা জয় দিয়েই শেষ করার দৃঢ় প্রত্যয় দেখিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। যদিও এর আগে দু’দলের লড়াইয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছিলো বাংলাদেশ ও ভারত। এবার ঘরের মাঠে পূর্ণ পয়েন্ট লাভের প্রত্যাশা করছেন দলটির অধিনায়ক। তার বিশ্বাসের পারদ উপরের দিকে উঠেছে মূলত প্রবাসী ফুটবলার হামজার সঙ্গে আরো কয়েকজনের যুক্ত হওয়ায়।

হামজা ফুটবলারটি যে কি সেটা তিনি বরাবরই প্রমান করে আসছেন। সঙ্গে শামিত সোম, জায়ান, মিচেলদের যুক্ত হওয়ায় শক্তি আগের যে কোন সময়ের চেয়ে কয়েকগুন বেড়েছে বলে ধরেই নেয়া যায়। বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় ঢা্কা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।

দীর্ঘদিন ধরে ভারতে বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ জেতা হয়নি। সেই ২০০৩ সালে অর্থাৎ ১৬ বছর আগে ভারতে পরাজিত করেছিলো বাংলাদেশ। এরপর পাশবর্তী এই দেশটির বিপক্ষে ম্যাচ জেতাটা অধরাই থেকে গেছে। ঘরের মাঠে এবার ক্ষুধা মেটাতে চান জামাল ভুঁইয়ারা।

ম্যাচের আগের দিন তাই সংবাদ সম্মেলনে জামাল জানিয়েছেন নিজের সেই ইচ্ছার কথা। বাংলাদেশ ও ভারতের ম্যাচটিকে তিনি উত্তেজনাকরের তালিকায় রেখে বলেন,  ‘অবশ্যই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ সবসময়ই উত্তেজনাকর। সবাই ম্যাচটিকে নিয়ে দারুন উজ্জীবিত। বছরের শেষ ম্যাচ, তাও আবার ভারতের বিপক্ষে। স্বাভাবিকভাবেই আমরা মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছি।’

তিনি বলেন, ‘এটা অনেক ইমোশনালর ম্যাচ। এরপর দীর্ঘদিন জাতীয় দলের কোন ম্যাচ নেই। সে কারনেই ম্যাচটি সমর্থকদের জন্য, আপনাদের সবার জন্য জিততে চাই। অবশ্যই এজন্য আবেগকে সামাল দিয়ে খেলতে হবে। চাপতো থাকবেই, অধিনায়ক হিসেবে সেই চাপ সামলানোর দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে। একাদশে খেলতে পারবো কিনা সেটা কোচ জানেন এবং দলীয় ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করছে। কিন্তু সুযোগ পেলে নিজেকে মেলে ধরতে চাই।’

ভারত-বাংলাদেশ লড়াই মানেই খেলোয়াড়দের মধ্যে বাড়তি একটি চাপ। জামাল সেটা মেনে নিয়েই বলেছেন, ‘কালকের ম্যাচে অনেক ফ্রি-কিক হবে, হলুদ কার্ড হবে। তবে আমি এটিকে একটি স্বাভাবিক ম্যাচ হিসেবেই দেখবো। আমাদের মস্তিষ্ক ব্যবহার করে খেলতে হবে।’

জামালের চোখে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই এবার ভারতকে হারানোর সুযোগও দেখছেন তিনি, ‘আমরা যে অবস্থায় আছি এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তার উপর একটি কথা বলতে চাই, ভারত এই মুহূর্তে সেরা অবস্থায় নেই। তাই অবশ্যই আমাদের একটা বড় সুযোগ আছে।’

ভারত যদি আক্রমনাত্মক ফুটবল খেলে তবে বাংলাদেশও সেভাবেই কৌশল সাজাবে। যদিও বাংলাদেশের রক্ষনভাগের দূর্বলতা স্বীকার করে জামাল বলেছেন, ‘ডিফেন্সে অবশ্যই আমাদের সমস্যা আছে। তবে ভারত যদি অনেক উপরে উঠে খেলে, তাহলে আমরা সামনে অনেক স্পেস পাবো। আক্রমণে যারা খেলবে ওরা অনেক গতিময় খেলোয়াড়। রাকিব সম্ভবত দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুতগতির স্ট্রাইকার। তাকে যদি ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারি,তাহলে ভারতের রক্ষনভাগে যেই থাকুকনা কেন রাকিব তছনছ করে দিতে পারে।’