বিয়েবার্ষিকীর দিনেই শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ
- আপডেট সময় : ০৯:৪৩:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
- / ৪০ বার পড়া হয়েছে
আজ ১৭ নভেম্বর। ১৯৬৭ সনের ঠিক এই দিনে শেখ হাসিনার বিয়ে হয় বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে। আজ বিয়ের ৫৮তম বিছর। তখন তার পিতা শেখ মুজিব ছিলেন কারাগারে। মা ফজিলাতুন নেছা বিয়ের কাজ সম্পন্ন করান। ঠিক জন্মবার্ষিকীর কেক কাটার দিনে তার বিরুদ্ধে মৃত্যু দন্ডের আদেশ দিয়েছেন মানবতা বিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
শেখ হাসিনা ও এম এ ওয়াজেদ মিয়া দম্পতির সংসারে সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল নামে দুই সন্তান রয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্ম ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর।
এরপর দেশের রাজনীতিতে নানা উত্থান-পতনের ঘটনা ঘটেছে। শেখ হাসিনা এই দেশেরই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পাঁচবার দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম দফায় ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় দফায় ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত, তৃতীয় দফায় ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত, চতুর্থ দফায় ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এবং পঞ্চম দফায় ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেও একই বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তোপের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা।
২০২৪ সালে সংঘটিত ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলন গণঅভ্যত্থানে রূপ নেয়। ওই বছরের জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের হামলা ও গুলি এবং সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীসহ দলটির অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। ফলে কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনে রূপ নেয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থী ও জনতার তোপের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালান শেখ হাসিনা।
এদিন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির অপরাধ প্রমাণিত। দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। একটি অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী) হওয়ায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তিনি যুক্তিতর্কে এ মামলা থেকে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের খালাস আবেদন করেন। রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুনেরও খালাস আবেদন করেন তার আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।





















