ঢাকা ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে সন্তুুষ্ট আবু সাঈদ পরিবার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫০:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৪০ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ে সন্তুষ্ট  হয়েছেন আবু সাঈদের পরিবার। তাদের দাবি এই রায় এখন দ্রুত কার্যকর করা।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শহিদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন এ প্রতিক্রিয়া জানান। এ সময় তার পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম, বড় ভাই রমজান আলী, আবু হোসেনসহ অন্য সদস্যরা।

এ সময় আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন জানান, শুধু রায় ঘোষণা করেই যেন শেষ না হয়। দণ্ডপ্রাপ্তদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানাই। তিনি বলেন, আমার ছেলের হত্যাকারীর ফাঁসি কার্যকর চাই।

আবু সাঈদের মা বলেন, ছেলেকে হারিয়ে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা তো কোনোদিন পূরণ হবে না। আর যেন আমার মতো কোনো মায়ের বুক এভাবে খালি না হয়, সেজন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ভাই রমজান আলী বলেন, আমরা এ রায়ে খুশি হয়েছি। তবে রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয় সেজন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।

উল্লেখ্য, বেগম রোকের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ জুলাই বিপ্লবের প্রথম শহিদ। তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে হাসিনার পেটুয়া বাহিনী। এরপরই এই আন্দোলন অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনের প্রতীকী নাম হয়ে উঠেন সাঈদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে সন্তুুষ্ট আবু সাঈদ পরিবার

আপডেট সময় : ০৯:৫০:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ে সন্তুষ্ট  হয়েছেন আবু সাঈদের পরিবার। তাদের দাবি এই রায় এখন দ্রুত কার্যকর করা।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শহিদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন এ প্রতিক্রিয়া জানান। এ সময় তার পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম, বড় ভাই রমজান আলী, আবু হোসেনসহ অন্য সদস্যরা।

এ সময় আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন জানান, শুধু রায় ঘোষণা করেই যেন শেষ না হয়। দণ্ডপ্রাপ্তদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানাই। তিনি বলেন, আমার ছেলের হত্যাকারীর ফাঁসি কার্যকর চাই।

আবু সাঈদের মা বলেন, ছেলেকে হারিয়ে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা তো কোনোদিন পূরণ হবে না। আর যেন আমার মতো কোনো মায়ের বুক এভাবে খালি না হয়, সেজন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ভাই রমজান আলী বলেন, আমরা এ রায়ে খুশি হয়েছি। তবে রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয় সেজন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।

উল্লেখ্য, বেগম রোকের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ জুলাই বিপ্লবের প্রথম শহিদ। তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে হাসিনার পেটুয়া বাহিনী। এরপরই এই আন্দোলন অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনের প্রতীকী নাম হয়ে উঠেন সাঈদ।