ঢাকা ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আইরিশদের বিপক্ষে ইনিংস জয়ের পথে বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৫:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৫৮ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস জয়ের পথ অনেকটা পরিস্কার। ক্রিকেটের যদু,তবে, বাদ দিলে সাদা চোখে পরিস্কার টেস্টের নাটাইল পুরোটাই বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে। আজ তৃতীয় দিনে ৩০১ রানের লিড নিয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের উপর টাইগার বোলারদের যে আধিপত্য তাতে সাধারণ ক্রিকেট ভক্তদের কাছেও ম্যাচের অগ্রিম রেজাল্ট চলে আসাই স্বাভাবিক। প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রানে থেমে যাওয়া আইরিশ বোলাররা পারেনি বাংলাদেশের স্কোরকে আটকে দিতে। দুই শতকে ভর করে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ৫৮৭ রানে প্রথম ইনিংসের ঘোষনা দেয়। এরপর অতিথি দলের ব্যাটারদের চেপে ধরেন বোলার নাহিদ রানা, হাসান মুরাদ ও তাইজুলেরা। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই আইরিশদের ৮৬ রান তুলে নেন তারা ৫ উইকেট। ম্যাচে ফিরতে এখনো ২১৫ রানের বিশাল দূর্গ টপকাতে হবে। ম্যাচে ফিরতে হলে এখন সফরকারীরা অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প পথ খোলা নেই।

তবে বাংলাদেশের সামনে ইনিংস ব্যবধানে ম্যাচ জয়ের হিসাব অনেকটা পরিস্কার থাকলেও দিনশেষে আক্ষেপ থেকেই যাচ্ছে দুই ব্যাটারের। মাহমুদুল হাসান জয়ের দ্বিশতক পূরণ না হওয়া ও মমিনুলের শতক না হওয়া। ১৬০ রানে খেলতে নেমে মাহমুদুল ইসলাম জয় মাত্র ১৭ রান যোগ করতে বিদায় নেন। আর মুমিনুল মাত্র ২ রান যোগ করে মাঠ ছাড়েন।

তবে এদিন অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত খেলে ফেলেছেন ঝলমলে একটি শতকের ইনিংস। মাত্র ১১৪ বলে তিনি ১০০ রান করেন। শততম টেস্টে খেলতে নেমে মুশফিক মাত্র ২৩ রানে বিদায় নেন।  লিটন দাসের ৬০ রান যোগ হতেই বাংলাদেশ তরতর করে পাঁচশত রানের উপরে উঠে যায়।

এদিকে বাংলাদেশের দেয়া বিশাল চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে গিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আইরিশরা।  ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে তারা। চাদ কারমাইকেলকে (৫) বোল্ড করেন নাহিদ রানা। পল স্টার্লিং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলছিলেন। তার ৪৩ রানের ইনিংসটি কাটা পড়ে নাজমুল হোসেন শান্তর করা রানআউটে।

এরপর হ্যারি টেক্টরকে (১৮) এলবিডব্লিউ করেন তাইজুল ইসলাম। হাসান মুরাদের বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে সাদমান ইসলামের দুর্দান্ত ক্যাচ হন কুর্তিস ক্যাম্ফার (৫)। ঝাঁপিয়ে পড়ে বাজপাখির মতো বলটি তালুবন্দি করেন সাদমান।

হাসান মুরাদের দ্বিতীয় শিকার হন লরকান টাকার (৯)। বল পায়ে লাগলে আম্পায়ার শুরুতে আউট দেননি। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। দেখা যায় বল আঘাত করতো লেগ স্টাম্পে। সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন আম্পায়ার। ৮৫ রানে ৫ উইকেট হারায় আইরিশরা।

তৃতীয় দিন চা-বিরতির পর মাত্র ৩ ওভার ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে বোর্ডে যোগ হয় ১২ রান, হারায় ১ উইকেট। ১৬ রান করে হাসান মুরাদ ফিরলে ফাইফার পূর্ণ করেন ম্যাথু হাম্প্রেস। ৮ উইকেটে ৫৮৭ রানে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ঘোষণা করলে লিড দাঁড়ায় ৩০১ রান।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিন ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে আরও ২৪৯ রান যুক্ত করে ইনিংস ঘোষণা করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭১ রান করেছেন মাহমুদুল হাসান জয়। ডাবল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও তৃতীয় দিন মাত্র ২ রান যোগ করেই ফেরেন সাজঘরে। একইভাবে আগেরদিনের ৮০ রান নিয়ে মাঠে নামা মুমিনুল হক ২ রান যোগ করে ৮২ করেই আউট হন। ৩৪৬ রানে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

৯৯তম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিক করেছেন মাত্র ২৩ রান। ওয়ানডে মেজাজে খেলে ৬৬ বলে ৬০ রান করা লিটন দাসও আউট হন বড় শট খেলে। দারুণ ক্যাচ নেন টেক্টর। মুমিনুল, মুশফিক ও লিটন সবাইকে সাজঘরের পথ দেখান ফাইফার পূর্ণ করা হাম্প্রেস।

৫২৩ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তুলে নেন ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরি। তবে ১০০ রান করেই থামেন ম্যাকব্রাইনের বলে।
দলীয় ৫৪৫ রানে শান্তর বিদায়ের পর ৫৬১ রানে ১৭ করে আউট হন মিরাজও হাম্প্রেসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তার বলেই। চা-বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা ২৮৯ রান লিড নিয়ে। দলের বোর্ডে তখন রান ৭ উইকেটে ৫৭৫।

বিরতির পর মুরাদকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার পূর্ণ করেন হাম্প্রেস। বোর্ডে আর ১২ রান তথা ৩০১ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনে ৮০ রান করে আউট হয়েছিলেন সাদমান ইসলাম।
আইরিশদের হয় হাম্প্রেসের ৫ উইকেট ছাড়া, ব্যারি ম্যাকার্থি নেন ২ উইকেট। একটি উইকেট পেয়েছেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আইরিশদের বিপক্ষে ইনিংস জয়ের পথে বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০৭:০৫:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস জয়ের পথ অনেকটা পরিস্কার। ক্রিকেটের যদু,তবে, বাদ দিলে সাদা চোখে পরিস্কার টেস্টের নাটাইল পুরোটাই বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে। আজ তৃতীয় দিনে ৩০১ রানের লিড নিয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের উপর টাইগার বোলারদের যে আধিপত্য তাতে সাধারণ ক্রিকেট ভক্তদের কাছেও ম্যাচের অগ্রিম রেজাল্ট চলে আসাই স্বাভাবিক। প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রানে থেমে যাওয়া আইরিশ বোলাররা পারেনি বাংলাদেশের স্কোরকে আটকে দিতে। দুই শতকে ভর করে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ৫৮৭ রানে প্রথম ইনিংসের ঘোষনা দেয়। এরপর অতিথি দলের ব্যাটারদের চেপে ধরেন বোলার নাহিদ রানা, হাসান মুরাদ ও তাইজুলেরা। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই আইরিশদের ৮৬ রান তুলে নেন তারা ৫ উইকেট। ম্যাচে ফিরতে এখনো ২১৫ রানের বিশাল দূর্গ টপকাতে হবে। ম্যাচে ফিরতে হলে এখন সফরকারীরা অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প পথ খোলা নেই।

তবে বাংলাদেশের সামনে ইনিংস ব্যবধানে ম্যাচ জয়ের হিসাব অনেকটা পরিস্কার থাকলেও দিনশেষে আক্ষেপ থেকেই যাচ্ছে দুই ব্যাটারের। মাহমুদুল হাসান জয়ের দ্বিশতক পূরণ না হওয়া ও মমিনুলের শতক না হওয়া। ১৬০ রানে খেলতে নেমে মাহমুদুল ইসলাম জয় মাত্র ১৭ রান যোগ করতে বিদায় নেন। আর মুমিনুল মাত্র ২ রান যোগ করে মাঠ ছাড়েন।

তবে এদিন অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত খেলে ফেলেছেন ঝলমলে একটি শতকের ইনিংস। মাত্র ১১৪ বলে তিনি ১০০ রান করেন। শততম টেস্টে খেলতে নেমে মুশফিক মাত্র ২৩ রানে বিদায় নেন।  লিটন দাসের ৬০ রান যোগ হতেই বাংলাদেশ তরতর করে পাঁচশত রানের উপরে উঠে যায়।

এদিকে বাংলাদেশের দেয়া বিশাল চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে গিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আইরিশরা।  ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে তারা। চাদ কারমাইকেলকে (৫) বোল্ড করেন নাহিদ রানা। পল স্টার্লিং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলছিলেন। তার ৪৩ রানের ইনিংসটি কাটা পড়ে নাজমুল হোসেন শান্তর করা রানআউটে।

এরপর হ্যারি টেক্টরকে (১৮) এলবিডব্লিউ করেন তাইজুল ইসলাম। হাসান মুরাদের বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে সাদমান ইসলামের দুর্দান্ত ক্যাচ হন কুর্তিস ক্যাম্ফার (৫)। ঝাঁপিয়ে পড়ে বাজপাখির মতো বলটি তালুবন্দি করেন সাদমান।

হাসান মুরাদের দ্বিতীয় শিকার হন লরকান টাকার (৯)। বল পায়ে লাগলে আম্পায়ার শুরুতে আউট দেননি। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। দেখা যায় বল আঘাত করতো লেগ স্টাম্পে। সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন আম্পায়ার। ৮৫ রানে ৫ উইকেট হারায় আইরিশরা।

তৃতীয় দিন চা-বিরতির পর মাত্র ৩ ওভার ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে বোর্ডে যোগ হয় ১২ রান, হারায় ১ উইকেট। ১৬ রান করে হাসান মুরাদ ফিরলে ফাইফার পূর্ণ করেন ম্যাথু হাম্প্রেস। ৮ উইকেটে ৫৮৭ রানে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ঘোষণা করলে লিড দাঁড়ায় ৩০১ রান।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিন ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে আরও ২৪৯ রান যুক্ত করে ইনিংস ঘোষণা করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭১ রান করেছেন মাহমুদুল হাসান জয়। ডাবল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও তৃতীয় দিন মাত্র ২ রান যোগ করেই ফেরেন সাজঘরে। একইভাবে আগেরদিনের ৮০ রান নিয়ে মাঠে নামা মুমিনুল হক ২ রান যোগ করে ৮২ করেই আউট হন। ৩৪৬ রানে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

৯৯তম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিক করেছেন মাত্র ২৩ রান। ওয়ানডে মেজাজে খেলে ৬৬ বলে ৬০ রান করা লিটন দাসও আউট হন বড় শট খেলে। দারুণ ক্যাচ নেন টেক্টর। মুমিনুল, মুশফিক ও লিটন সবাইকে সাজঘরের পথ দেখান ফাইফার পূর্ণ করা হাম্প্রেস।

৫২৩ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তুলে নেন ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরি। তবে ১০০ রান করেই থামেন ম্যাকব্রাইনের বলে।
দলীয় ৫৪৫ রানে শান্তর বিদায়ের পর ৫৬১ রানে ১৭ করে আউট হন মিরাজও হাম্প্রেসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তার বলেই। চা-বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা ২৮৯ রান লিড নিয়ে। দলের বোর্ডে তখন রান ৭ উইকেটে ৫৭৫।

বিরতির পর মুরাদকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার পূর্ণ করেন হাম্প্রেস। বোর্ডে আর ১২ রান তথা ৩০১ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনে ৮০ রান করে আউট হয়েছিলেন সাদমান ইসলাম।
আইরিশদের হয় হাম্প্রেসের ৫ উইকেট ছাড়া, ব্যারি ম্যাকার্থি নেন ২ উইকেট। একটি উইকেট পেয়েছেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন।