ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘যেখান থেকে কমে তেল পাবে ভারত সেখান থেকেই কিনবে‘

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:০৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৪১ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেটানা পোড়ন সম্পর্ক চলছে ভারতের। বানিজ্যিক যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব চলছে বিশ্বময়। সব দেশের উপর শুল্ক বৃদ্ধি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। বন্ধু প্রতীম দেশ ভারতের ওপর শুল্কের হার বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ভারতীয় পন্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন। যার মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়ের কারণে শাস্তি স্বরূপ ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

মার্কিন প্রশাসনের এমন আচরণে ভারতও নড়েচড়ে ওঠেছে। তারা রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমন কি এই তেল ক্রয়ে রাশিয়ায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিনয় কুমার কড়া মন্তব্য করেছেন, ভারত তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য যেখান থেকে সবচেয়ে ভালো দামে তেল পাবে, সেখান থেকেই তেল কিনবে।
গত রবিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা তাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত। সোমবার (২৫ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়।
বিনয় কুমার বলেন, ভারতের লক্ষ্য দেশের ১৪০ কোটি মানুষের জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরেও ভারত সরকার তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখবে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বহুবার অভিযোগ করেছে যে, ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে কম দামে তেল কিনে মস্কোকে ইউক্রেন যুদ্ধের তহবিল সংগ্রহে সাহায্য করছে।
কিন্তু বিনয় কুমার মার্কিন সরকারের এই অভিযোগ ও শুল্ক আরোপের বিষয়টিকে ‘অযৌক্তিক, অন্যায় এবং অন্যায্য’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছিলেন।

জয়শঙ্কর বলেছিলেন, যারা নিজেদের বাণিজ্য সমর্থক বলে দাবি করে, তারাই অন্যদের উপরে বাণিজ্যের অভিযোগ আনছে। এটা খুবই হাস্যকর। যদি ভারত থেকে শোধিত তেল বা অন্য কোনো পণ্য কিনতে সমস্যা হয়, তাহলে কিনবেন না। কেউ আপনাদের জোর করছে না।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে রাশিয়া থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ ছিলো ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ। যা ২০২১ সালে ছিল ৩ শতাংশ পর্যন্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘যেখান থেকে কমে তেল পাবে ভারত সেখান থেকেই কিনবে‘

আপডেট সময় : ১১:০৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেটানা পোড়ন সম্পর্ক চলছে ভারতের। বানিজ্যিক যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব চলছে বিশ্বময়। সব দেশের উপর শুল্ক বৃদ্ধি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। বন্ধু প্রতীম দেশ ভারতের ওপর শুল্কের হার বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ভারতীয় পন্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন। যার মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়ের কারণে শাস্তি স্বরূপ ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

মার্কিন প্রশাসনের এমন আচরণে ভারতও নড়েচড়ে ওঠেছে। তারা রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমন কি এই তেল ক্রয়ে রাশিয়ায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিনয় কুমার কড়া মন্তব্য করেছেন, ভারত তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য যেখান থেকে সবচেয়ে ভালো দামে তেল পাবে, সেখান থেকেই তেল কিনবে।
গত রবিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা তাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত। সোমবার (২৫ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়।
বিনয় কুমার বলেন, ভারতের লক্ষ্য দেশের ১৪০ কোটি মানুষের জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরেও ভারত সরকার তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখবে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বহুবার অভিযোগ করেছে যে, ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে কম দামে তেল কিনে মস্কোকে ইউক্রেন যুদ্ধের তহবিল সংগ্রহে সাহায্য করছে।
কিন্তু বিনয় কুমার মার্কিন সরকারের এই অভিযোগ ও শুল্ক আরোপের বিষয়টিকে ‘অযৌক্তিক, অন্যায় এবং অন্যায্য’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছিলেন।

জয়শঙ্কর বলেছিলেন, যারা নিজেদের বাণিজ্য সমর্থক বলে দাবি করে, তারাই অন্যদের উপরে বাণিজ্যের অভিযোগ আনছে। এটা খুবই হাস্যকর। যদি ভারত থেকে শোধিত তেল বা অন্য কোনো পণ্য কিনতে সমস্যা হয়, তাহলে কিনবেন না। কেউ আপনাদের জোর করছে না।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে রাশিয়া থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ ছিলো ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ। যা ২০২১ সালে ছিল ৩ শতাংশ পর্যন্ত।