জাতীয় দলের ক্যাম্পে খেলোয়াড় ছাড়ার ব্যাপারে বসুন্ধরার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বাফুফে

- আপডেট সময় : ১০:০৫:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
- / ৪৪ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় দলের সিংহভাগ খেলোয়াড়ই বসুন্ধরা কিংসের। তাদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে দলে ভিড়িয়েছে ক্লাবটি। সম্প্রতি এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে-অফে সিরিয়ার ক্লাব আল-কারামাহকে ১-০ গোলে হারিয়ে মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। আগামী ২৫ অক্টোবর এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের মূল পর্ব শুরু হবে। ড্রয়ের মাধ্যমে গ্রুপ ও প্রতিপক্ষ নির্ধারণ হবে কিংসের।
সেই খেলা শুরু হতে এখনো অনেকদিন বাকি। তার আগে জাতীয় দলের অনেকগুলো খেলা রয়েছে। বিশেষ করে এশিয়ান কাপ ফুটবলের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে সিংগাপুরের কাছে হারের পর বাংলাদেশের সামনে রয়েছে হংকং এর বিপক্ষে লড়াই। সে লড়াইয়ে আগে আগামী ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর নেপালের বিপক্ষে দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ রয়েছে। যা কিনা হংকংয়ের বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কিন্তু এই প্রস্তুতি ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে গিয়েই বড় ধরণের ধাক্কার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের জাতীয় দল ম্যানেজমেন্ট কমিটি।
দলের ১০জন খেলোয়াড়ই হচ্ছেন বসুন্ধরা কিংসে। তারা ইঞ্জুরির আশঙ্কায় দল থেকে খেলোয়াড়দের ছাড়ছে না। প্রসঙ্গতই বড় ধরণের প্রশ্ন জেগে ওঠেছে জাতীয় দল সবার আগে নাকি ক্লাব। যেখানে বিশ্বের বড় বড় ক্লাবগুলোর খেলোয়াড়রা তাদের জাতীয় দলের ঢাকে সাড়া দিয়ে ছুটে চলে যান সেখানে বসুন্ধরা কেন ছাড়ছে না? ফুটবলমোদীদের মনে প্রশ্ন জেগেছে, জাতীয় দলের চেয়ে ক্লাব দল অনেক বেশি ক্ষমতাধর? অথচ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহসভাপতিও জাতীয় দল ম্যানেজমেন্ট কমিটর ডেপুটি চেয়ারম্যানও ক্লাবটির একজন কর্ণধার ইমরুল হাসান।
নতুন এই সংকটে বাফুফে অনেকটািই বিপাকে। যে কারণে আজ রোববার জাতীয় দল ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান তাবিথ আউয়ালের সভাপতিত্বে একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান। রোববার বাফুফে কার্যালয়ে ন্যাশনাল টিমস কমিটির জরুরি সভা বসে। বৈঠক হয় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্রস্তুতি ক্যাম্পের জন্য বসুন্ধরার খেলোয়াড় ছাড়তে অস্বীকৃতি জানানোর বিষয়টি নিয়ে।
সভায় তাবিথ ছাড়া এনটিসির আরও চারজন সদস্য— আমিরুল ইসলাম বাবু, সত্যজিৎ দাস রুপু, ইকবাল হোসেন ও ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ সভায় সরাসরি উপস্থিত ছিলেন। আরেক সদস্য শাহাদাত হোসেন যুক্ত হন অনলাইনে। কিন্তু চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ইমরুলের সঙ্গে।
সভার পর বাফুফের নির্বাহী সদস্য ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান বাবু সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, খেলোয়াড় ছাড়তে বসুন্ধরার প্রতি চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হবে, ‘আমাদের সহকর্মী ইমরুল ভাইকে আমরা ফোনে পাইনি। আমরা বসুন্ধরাকে দেশের ফুটবলের স্বার্থে আজ রাতে কিংবা আগামীকাল সকালে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছাড়ার জন্য অনুরোধ করব।’
বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার আশায় আছে বাফুফে। চিঠির উত্তর কী আসে সেটার ওপর নির্ভর করে তিন-চার দিনের মধ্যে ন্যাশনাল টিমস কমিটির আরেকটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে।