হলফনামায় মিথ্যা তথ্যে ভোটের পরেও বাতিল হয়ে যাবে এমপি পদ

- আপডেট সময় : ০৮:৫৫:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
- / ৬৫ বার পড়া হয়েছে
নির্বাচনে দিতে হয় হলফনামা। একজন সংসদ সদস্য প্রার্থীকে দিতে হয় নিজের স্থাবর-অস্থাবরসহ সকল হিসাবের বিবরণী। কিন্তু বিগত সময় দেখা যায় সংসদ সদস্য প্রার্থীরা হলফনামায় নানা মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকেন। সত্যকে অসত্য আর অসত্যকে সত্য বানিয়ে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হয়। এবার থেকে সে অসত্য তথ্যের উপর কড়া নজর দারি করা হচ্ছে। আনা হয়েছে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা। মিথ্যা তথ্য দিয়ে এমপি পদ পেলেও পরবর্তীতে সে পদ বাতিল করে দিতে পারবে নির্বাচন কমিশন।
আজ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কারের একগুচ্ছ সুপারিশ চূড়ান্ত করতে মুলতবি বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে ইসি আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ জানান,হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে নির্বাচনের পরও তদন্ত করে নির্বাচন কমিশন এমপি পদ বাতিল করতে পারবে।
সোমবার (১১ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে থাকছে না ইভিএম। ‘না’ ভোটের বিধানও ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া ইসি চাইলে ৩০০ আসনের ফল বাতিল করতে পারবে।
ইসি আরপিও সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে জানিয়ে সানাউল্লাহ বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন চাইলে ৩০০ আসনের ফলাফল বাতিল করতে পারবে। না ভোটের বিধান আনা হয়েছে। যেখানে একজন প্রার্থী থাকবে। বিনা ভোটে কেউ নির্বাচিত হতে পারবে না। ফলাফলে সমান ভোট পেলে লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ হবে না, পুনরায় ভোট হবে। জোটগতভাবে নির্বাচন করলে দলগুলোকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করবে। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে নির্বাচনের পরও তদন্ত করে এমপি পদ বাতিল করতে পারবে কমিশন।