জিরো ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল আইনত দণ্ডনীয়, অসত্য তথ্য প্রদানে ৫ বছর কারাদন্ডের সম্ভাবনা

- আপডেট সময় : ১২:৪১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
- / ৬৮ বার পড়া হয়েছে
ট্যাক্স রিটার্নে আরও কঠোর হচ্ছে এনবিআর। এখন থেকে কোন অবস্থায় জিরো ট্যাক্স রিটার্ন করলে অসত্য তথ্য প্রদানে হতে পারে ৫ বছরের কারাদন্ড। তাই প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় সঠিকভাবে প্রদর্শন করার জন্য এনবিআর থেকে সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছে।
এনবিআর থেকে সতর্ক করা হয়েছে জিরো ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করা আইনত দণ্ডনীয়। আয়কর আইন অনুযায়ী রিটার্নে মিথ্যা বা অসত্য তথ্য প্রদান করলে করদাতাকে কারাদণ্ডের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। রোববার (১০ আগস্ট) এক সংবাদ বিবৃতিতে এ বিষয়ে করদাতাদের সতর্ক করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআর বলছে, আয়কর আইন, ২০২৩ অনুসারে ‘জিরো রিটার্ন’ নামে কোনো প্রকার রিটার্ন দাখিলের বিধান নেই। আয়কর আইন অনুসারে একজন করদাতাকে তার আয় প্রদর্শন করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘জিরো রিটার্ন’ দাখিল বিষয়ক কতিপয় ভ্রান্ত ধারণাপ্রসূত পোস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নজরে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এসব পোস্টে রিটার্ন পূরণের সবকয়টি ঘর “শূন্য” হিসেবে পূরণ করে রিটার্ন দাখিল করা যায় মর্মে ভ্রান্ত ধারণা প্রচার করা হচ্ছে। এসব ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে কোনো কোনো করদাতা তাদের আয়কর রিটার্নে আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের বিষয়ে অসত্য ঘোষণা প্রদান করে আসছেন বলে জানা যায়।
করদাতাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আয়কর আইন, ২০২৩ অনুসারে ‘জিরো রিটার্ন’ নামে কোনো প্রকার রিটার্ন দাখিলের বিধান নেই। আয়কর আইন অনুসারে একজন করদাতাকে তার প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় অবশ্যই সঠিকভাবে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করতে হবে। এর কোনো একটি শূন্য অথবা সবগুলো তথ্য শূন্য হিসেবে প্রদর্শন করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। করদাতা কর্তৃক দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নে তার আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় সম্পর্কিত সঠিক তথ্য প্রদর্শন না করে মিথ্যা বা অসত্য তথ্য প্রদান করলে আয়কর আইন, ২০২৩-এর ধারা ৩১২ ও ৩১৩ অনুসারে করদাতাকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড প্রদানের বিধান রয়েছে।
এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ ঢাকা পোস্টকে বলেন, একজন করদাতার আয়, ব্যয়, সম্পদ বা দায় সংক্রান্ত বিষয়ে রিটার্নে সঠিক ঘোষণা প্রদান করা একজন করদাতার পবিত্র নাগরিক ও আইনি দায়িত্ব। করদাতার প্রকৃত আয়ের পরিমাণ আইনানুযায়ী করযোগ্য না হলে তাকে কোনো কর পরিশোধ করতে হবে না। তবে, কর প্রদেয় না হলেও সঠিক তথ্য-উপাত্ত প্রদর্শন না করে শূন্য আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় দেখিয়ে শুন্য বা জিরো রিটার্ন দাখিল করার কোনো সুযোগ আয়কর আইনে নেই।
এনবিআর আশা করে, সব করদাতা দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আয়কর রিটার্নে প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় প্রদর্শন করে দেশের উন্নয়নে গর্বিত অংশীদার হবেন। একই সঙ্গে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত প্রতারণামূলক জিরো রিটার্নের ফাঁদে পা না দিয়ে নিজেকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে সুরক্ষিত রাখবেন।