ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

তৃষ্ণার হ্যাটট্রিকে পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েদের গোল বন্যা

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:২৬:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১১৬ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তৃষ্ণাদের গোল বন্যায় উড়ে গেছে পূর্ব তিমুরের গোলবার। একে একে আটটি গোল করেছেন তারা পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে। এএফসি অনুর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে এটি বাংলাদেশের টানা দ্বিতীয় জয়।

প্রথম ম্যাচে ৩-১ গোলে লাওসকে হারানোর পর আজ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে ৮-০ গোলে। এ যেন গোল করার ভিন্ন এক প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন তৃষ্ণা ও সাগরিকারা। এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন তৃষ্ণা। এ ছাড়া সাগরিকা, নবিরুন, শিখা, শান্তি ও মুনকি একটি করে গোল করেন।

দুই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৬ ও গোল ব্যবধান ১০। বাংলাদেশ গ্রুপের শেষ ম্যাচের শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার। ওই ম্যাচে বাস্তবিক অর্থে  পয়েন্ট আদায় করা আফিদাদের জন্য অনেটাই অসম্ভব।  এইচ গ্রুপে দক্ষিণ কোরিয়াকেই ধরে নেয়া হচ্ছে সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন। এখনো পর্যন্ত দাপুটে এবং নান্দনিক ফূটবল খেলে আসছে তারা। এছাড়া এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল হিসেবে ভাবা হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়াকে।

আর তাই আজকের ম্যাচে এমন একটি জয়ের প্রত্যাশা ছিলো সবার। তাতে ভালো গোল ব্যবধান রেখে রানার্সআপ পজিশনে থাকার সুযোগ থাকছে। এতে করে  আট গ্রুপের মধ্যে সেরা তিন রানার্স-আপ হয়ে আগামী বছর মূল পর্বে খেলার সুযোগ থাকছে।

আজকের ম্যাচে আফিদারা দুই অর্ধেই চারটি করে গোল করে। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে তৃষ্ণা প্রথম গোল করেন। ৫৩ মিনিটে তিনি দলের পঞ্চম ও নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। ৮৩ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এ ফরোয়ার্ড। তৃষ্ণার তৃতীয় গোলে অবদান মোসাম্মৎ সাগরিকার। তিনি ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল জালের উদ্দেশে ঠেলে দেন। ফাঁকা পোস্টে প্লেসিংয়ে দুর্দান্ত গোল করেন তৃষ্ণা।

এর আগে ৭২ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় দারুণ গোল করেন সাগরিকা। মধ্য মাঠ থেকে বল পেয়ে ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। গত পরশু লাওসের ম্যাচেও জোড়া গোল করেছিলেন সাগরিকা। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি সময়েও বাংলাদেশ গোল পায়। মুনকি আক্তারের গোলের সঙ্গে সঙ্গে রেফারি ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজান।

ম্যাচের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গোল করেছেন শান্তি মারডি। ৩২ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করেন তিনি। ডান প্রান্ত থেকে তার নেওয়া কর্নার কিক সরাসরি জালে জড়ায়। কর্নার থেকে কোনো ফুটবলারের স্পর্শ ছাড়াই সরাসরি বল জালে জড়ালে সেটা ‘অলিম্পিক গোল’ হিসেবে আখ্যায়িত হয়। শান্তির গোলটি অনেকটা সেই রকমই ছিল।

তার নেওয়া কর্নার কিকে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার ও সতীর্থ ফরোয়ার্ড বক্সে লাফিয়ে উঠলেও কেউই স্পর্শ করতে পারেননি। গোলরক্ষকও বলের ফ্লাইট মিস করেন। বল সবাইকে ফাঁকি দিয়ে সাইড পোস্টের ভেতর দিয়ে জালে প্রবেশ করে। সাফ অ-২০ টুর্নামেন্টে হ্যাটট্রিক করে আলোচনায় এসেছিলেন শান্তি মারডি। এএফসি’র আসরেও আলো ছড়াচ্ছেন এই ফুটবলার।

তিন মিনিট পর একই প্রান্তে বাংলাদেশ আবার কর্ণার পেয়ে আরেকটি গোল করে। এবার গোলের যোগানদাতা শান্তি। তার নেয়া কর্ণারে বক্সের মধ্যে নবিরুন খাতুন হেড করে গোল করেন। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের চারটি গোলের তিনটিই কর্ণার থেকে। ২০ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে স্বপ্না রাণীর কর্ণারে শিখা হেডে বল জালে জড়ান।

বাঁ প্রান্তে স্বপ্না আর ডান প্রান্তের কর্নার কিকগুলো শান্তি নিয়েছেন। বাংলাদেশ এই পরিকল্পনায় প্রথমার্ধে তিন গোল আদায় করে। দ্বিতীয়ার্ধের চারটি গোলই আবার ফিল্ড প্লে থেকে পেয়েছে বাংলাদেশ। উভয় দিকেই সমান দক্ষতা দেখিয়েছেন আফিদারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তৃষ্ণার হ্যাটট্রিকে পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েদের গোল বন্যা

আপডেট সময় : ০৮:২৬:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

তৃষ্ণাদের গোল বন্যায় উড়ে গেছে পূর্ব তিমুরের গোলবার। একে একে আটটি গোল করেছেন তারা পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে। এএফসি অনুর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে এটি বাংলাদেশের টানা দ্বিতীয় জয়।

প্রথম ম্যাচে ৩-১ গোলে লাওসকে হারানোর পর আজ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে ৮-০ গোলে। এ যেন গোল করার ভিন্ন এক প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন তৃষ্ণা ও সাগরিকারা। এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন তৃষ্ণা। এ ছাড়া সাগরিকা, নবিরুন, শিখা, শান্তি ও মুনকি একটি করে গোল করেন।

দুই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৬ ও গোল ব্যবধান ১০। বাংলাদেশ গ্রুপের শেষ ম্যাচের শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার। ওই ম্যাচে বাস্তবিক অর্থে  পয়েন্ট আদায় করা আফিদাদের জন্য অনেটাই অসম্ভব।  এইচ গ্রুপে দক্ষিণ কোরিয়াকেই ধরে নেয়া হচ্ছে সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন। এখনো পর্যন্ত দাপুটে এবং নান্দনিক ফূটবল খেলে আসছে তারা। এছাড়া এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল হিসেবে ভাবা হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়াকে।

আর তাই আজকের ম্যাচে এমন একটি জয়ের প্রত্যাশা ছিলো সবার। তাতে ভালো গোল ব্যবধান রেখে রানার্সআপ পজিশনে থাকার সুযোগ থাকছে। এতে করে  আট গ্রুপের মধ্যে সেরা তিন রানার্স-আপ হয়ে আগামী বছর মূল পর্বে খেলার সুযোগ থাকছে।

আজকের ম্যাচে আফিদারা দুই অর্ধেই চারটি করে গোল করে। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে তৃষ্ণা প্রথম গোল করেন। ৫৩ মিনিটে তিনি দলের পঞ্চম ও নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। ৮৩ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এ ফরোয়ার্ড। তৃষ্ণার তৃতীয় গোলে অবদান মোসাম্মৎ সাগরিকার। তিনি ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল জালের উদ্দেশে ঠেলে দেন। ফাঁকা পোস্টে প্লেসিংয়ে দুর্দান্ত গোল করেন তৃষ্ণা।

এর আগে ৭২ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় দারুণ গোল করেন সাগরিকা। মধ্য মাঠ থেকে বল পেয়ে ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। গত পরশু লাওসের ম্যাচেও জোড়া গোল করেছিলেন সাগরিকা। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি সময়েও বাংলাদেশ গোল পায়। মুনকি আক্তারের গোলের সঙ্গে সঙ্গে রেফারি ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজান।

ম্যাচের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গোল করেছেন শান্তি মারডি। ৩২ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করেন তিনি। ডান প্রান্ত থেকে তার নেওয়া কর্নার কিক সরাসরি জালে জড়ায়। কর্নার থেকে কোনো ফুটবলারের স্পর্শ ছাড়াই সরাসরি বল জালে জড়ালে সেটা ‘অলিম্পিক গোল’ হিসেবে আখ্যায়িত হয়। শান্তির গোলটি অনেকটা সেই রকমই ছিল।

তার নেওয়া কর্নার কিকে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার ও সতীর্থ ফরোয়ার্ড বক্সে লাফিয়ে উঠলেও কেউই স্পর্শ করতে পারেননি। গোলরক্ষকও বলের ফ্লাইট মিস করেন। বল সবাইকে ফাঁকি দিয়ে সাইড পোস্টের ভেতর দিয়ে জালে প্রবেশ করে। সাফ অ-২০ টুর্নামেন্টে হ্যাটট্রিক করে আলোচনায় এসেছিলেন শান্তি মারডি। এএফসি’র আসরেও আলো ছড়াচ্ছেন এই ফুটবলার।

তিন মিনিট পর একই প্রান্তে বাংলাদেশ আবার কর্ণার পেয়ে আরেকটি গোল করে। এবার গোলের যোগানদাতা শান্তি। তার নেয়া কর্ণারে বক্সের মধ্যে নবিরুন খাতুন হেড করে গোল করেন। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের চারটি গোলের তিনটিই কর্ণার থেকে। ২০ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে স্বপ্না রাণীর কর্ণারে শিখা হেডে বল জালে জড়ান।

বাঁ প্রান্তে স্বপ্না আর ডান প্রান্তের কর্নার কিকগুলো শান্তি নিয়েছেন। বাংলাদেশ এই পরিকল্পনায় প্রথমার্ধে তিন গোল আদায় করে। দ্বিতীয়ার্ধের চারটি গোলই আবার ফিল্ড প্লে থেকে পেয়েছে বাংলাদেশ। উভয় দিকেই সমান দক্ষতা দেখিয়েছেন আফিদারা।