ঢাকা ০৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশ ও জনগনের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে এক থাকার আহবান জানিয়েছেন তারেক রহমান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:১৩:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৮৪ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ জাতীতাবাদী দল (বিএনপি’র) ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আবহবান ‍জানিয়েছেন যেন দেশ ও জনগনের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলো এক থাকে।আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বুধবার (৬ আগস্ট) রাজাধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিজয় র‌্যালির আগে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।

তারেক রহমান বলেন, রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বলতে চাই- বিভিন্ন ইস্যুতে মতভেদ থাকবে। এসব মতভেদ দূর করতে আমাদের আলোচনা চলবে। জাতীয় কোনো ইস্যুতে, গণতন্ত্রের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যাতে মুখ দেখাদেখি বন্ধ না হয়। জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কারণ আমি বিশ্বাস করি ধর্ম, দর্শন, মত যার যার, রাষ্ট্র আমাদের সবার।

তিনি বলেন, ‘আজকের এই বিজয় র‍্যালি দেশের ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির মিছিল। ফ্যাসিস্টমুক্ত দেশে জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার গতকাল জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা ঘোষণা করেছে। জনগণের অভিপ্রায় বাস্তবায়নের  জুলাই সনদ ঘোষণা করে করা হয়েছে।’

সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক সময়টির জন্য দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণকে দীর্ঘ দেড় দশকের বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে।ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলনে আমরা হাজারো সহযোদ্ধাকে হারিয়েছি। আজকের এই মিছিল অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আলোর পথে যাত্রা। তবে এ যাত্রা সহজ নয়। ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ, চরমপন্থা যেন আলোর পথে অন্ধকারের রেখা টেনে দিতে না পারে সে বিষয়ে জনগণকে সদা সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।’

তিনি বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের সামনে অধিকার প্রতিষ্ঠার অপার সম্ভাবনা তৈরির সুযোগ এসেছে।এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যদি দেশের জনগণের রাজনৈতিক শক্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারি, জনগণের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে আর কেউ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ পাবে না।’

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘যিনি যে রাজনৈতিক দলের সদস্য হোন না কেন, আমাদের অবশ্যই মনে রাখা দরকার ফ্যাসিবাদ শাসন আমলে আমরা কেউ নিরাপদ ছিলাম না। আমাদের সন্তানেরা নিরাপদ থাকতে পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘একমাত্র গণতন্ত্র ও আইনের শাসনই জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। সেজন্য আসুন দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকারের সুষ্ঠু প্রয়োগ ও চর্চা করি।’

গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকদের আরও সতর্ক ও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নাগরিকদের কাছে আহ্বান রাখছি, নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, ফ্যাসিবাদের সময় আমরা নিরাপদ ছিলাম না। আমাদের সন্তানরা নিরাপদ ছিল না। আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। পুরো বাংলাদেশকে বর্বর বন্দিশালা বানানো হয়েছিল। গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন না থাকায় এমন হয়েছিল।

বিজয় মিছিল আয়োজন নিয়ে তারেক রহমান বলেন, পতিত ও পলাতক ফ্যাসিস্টের আমলে অন্ধকারের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল। আজকের বিজয় মিছিল অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আলোর পথে যাত্রা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দেশ ও জনগনের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে এক থাকার আহবান জানিয়েছেন তারেক রহমান

আপডেট সময় : ০৮:১৩:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীতাবাদী দল (বিএনপি’র) ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আবহবান ‍জানিয়েছেন যেন দেশ ও জনগনের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলো এক থাকে।আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বুধবার (৬ আগস্ট) রাজাধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিজয় র‌্যালির আগে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।

তারেক রহমান বলেন, রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বলতে চাই- বিভিন্ন ইস্যুতে মতভেদ থাকবে। এসব মতভেদ দূর করতে আমাদের আলোচনা চলবে। জাতীয় কোনো ইস্যুতে, গণতন্ত্রের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যাতে মুখ দেখাদেখি বন্ধ না হয়। জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কারণ আমি বিশ্বাস করি ধর্ম, দর্শন, মত যার যার, রাষ্ট্র আমাদের সবার।

তিনি বলেন, ‘আজকের এই বিজয় র‍্যালি দেশের ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির মিছিল। ফ্যাসিস্টমুক্ত দেশে জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার গতকাল জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা ঘোষণা করেছে। জনগণের অভিপ্রায় বাস্তবায়নের  জুলাই সনদ ঘোষণা করে করা হয়েছে।’

সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক সময়টির জন্য দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণকে দীর্ঘ দেড় দশকের বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে।ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলনে আমরা হাজারো সহযোদ্ধাকে হারিয়েছি। আজকের এই মিছিল অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আলোর পথে যাত্রা। তবে এ যাত্রা সহজ নয়। ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ, চরমপন্থা যেন আলোর পথে অন্ধকারের রেখা টেনে দিতে না পারে সে বিষয়ে জনগণকে সদা সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।’

তিনি বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের সামনে অধিকার প্রতিষ্ঠার অপার সম্ভাবনা তৈরির সুযোগ এসেছে।এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যদি দেশের জনগণের রাজনৈতিক শক্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারি, জনগণের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে আর কেউ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ পাবে না।’

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘যিনি যে রাজনৈতিক দলের সদস্য হোন না কেন, আমাদের অবশ্যই মনে রাখা দরকার ফ্যাসিবাদ শাসন আমলে আমরা কেউ নিরাপদ ছিলাম না। আমাদের সন্তানেরা নিরাপদ থাকতে পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘একমাত্র গণতন্ত্র ও আইনের শাসনই জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। সেজন্য আসুন দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকারের সুষ্ঠু প্রয়োগ ও চর্চা করি।’

গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকদের আরও সতর্ক ও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নাগরিকদের কাছে আহ্বান রাখছি, নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, ফ্যাসিবাদের সময় আমরা নিরাপদ ছিলাম না। আমাদের সন্তানরা নিরাপদ ছিল না। আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। পুরো বাংলাদেশকে বর্বর বন্দিশালা বানানো হয়েছিল। গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন না থাকায় এমন হয়েছিল।

বিজয় মিছিল আয়োজন নিয়ে তারেক রহমান বলেন, পতিত ও পলাতক ফ্যাসিস্টের আমলে অন্ধকারের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল। আজকের বিজয় মিছিল অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আলোর পথে যাত্রা।