এএফসি নারী এশিয়ান কাপের শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ

- আপডেট সময় : ১২:৪১:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
- / ৪৯ বার পড়া হয়েছে
প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপ ফুটবলের চুড়ান্ত পর্বে উঠেছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। প্রথমবারেই শক্ত গ্রুপে পড়েছেন তারা। সর্বশেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন চীন রয়েছে এই গ্রুপে। এছাড়া একই গ্রুপে রয়েছে শক্তিশালী উত্তর কোরিয়া। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।
মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম ঐতিহাসিক ও মর্যাদাসম্পন্ন আয়োজনস্থল সিডনি টাউন অনুষ্ঠিত হয় নারী এশিয়ান কাপের ড্র। যেখানে কঠিন প্রতিপক্ষই পায় বাংলাদেশ। ‘বি’ গ্রুপে চীন ও উত্তর কোরিয়া ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে উজবেকিস্তানও।
ফিফা র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে মোট ১২টি দলকে আগেই চারটি পটে ভাগ করা হয়েছিল। শক্তির ক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশ ছিল পট ৪ এ। পট ১ এ থাকা স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার শীর্ষ র্যাঙ্কিংধারী জাপানকে এড়িয়ে উত্তর কোরিয়াকে পায় বাংলাদেশ। তবে পট ২ এর সেরা দল চীনকেই পায় তারা।
বিশ্বকাপ ও অলিম্পিকে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে পট ৩ এর দলই মূল ভরসা। সেখানে উজবেকিস্তানকে পায় বাংলাদেশ। গ্রুপের বাকি দুই দলের চেয়ে শক্তির বিচারে কেবল তারাই পিছিয়ে। বর্তমানে ৫১ নম্বর অবস্থানে রয়েছে উজবেকরা। পট ৩-এ তাদের চেয়ে পেছনে ছিল কেবল ইরান।
চলতি মাসের শুরুতেই মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বে গ্রুপ সি-তে শতবাগ জয়ের রেকর্ডে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা ইতিহাস গড়ে মূল পর্বে জায়গা নিশ্চিত করে। পিটার বাটলারের শিষ্যরা স্বাগতিক ও ফেভারিট মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়ে দেয়, পাশাপাশি বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দেয়।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮তম স্থানে থাকা বাংলাদেশ এই আসরে সবচেয়ে নিচের র্যাঙ্কধারী দল। এশিয়ান কাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে এটিই প্রথম যাদের র্যাঙ্কিং শীর্ষ ১০০’র বাইরে। অন্যদিকে গ্রুপের বাকি দলগুলোর অবস্থান যথাক্রমে উত্তর কোরিয়া ৯, চীন ১৭ এবং উজবেকিস্তান ৫১তম স্থানে।
আগামী ২০২৬ সালের ১ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই প্রতিযোগিতাতি অনুষ্ঠিত হবে সিডনি, পার্থ ও গোল্ড কোস্টে। সিডনির হোমবুশের অ্যাকোর স্টেডিয়াম এবং পারামাট্টার কমব্যাংক স্টেডিয়ামে খেলা হবে। পার্থে ব্যবহৃত হবে অপটাস স্টেডিয়াম ও এইচবিএফ পার্ক। গ্রুপ পর্বে গোল্ড কোস্টের রবিনা শহরের সিবাস সুপার স্টেডিয়ামেও ম্যাচ হবে।
এটা শুধু মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বই নয়, এই টুর্নামেন্ট হবে ভবিষ্যতের বিশ্বকাপ এবং অলিম্পিকে খেলার টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রেও এক বড় সুযোগ। এই এশিয়ান কাপই শেষবারের মতো হবে ২০২৭ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপে এশিয়ার চূড়ান্ত বাছাইপর্ব। সেমিফাইনালে পৌঁছানো চার দল সরাসরি বিশ্বকাপে যাবে। কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যাওয়া চার দলকে নিয়ে আরও একটি প্লে-অফ হবে, যেখান থেকে দুটি দল বিশ্বকাপের বাকি দুটি টিকিট পাবে।
প্রথমবারের মতো, এশিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেই দলগুলো লস অ্যাঞ্জেলেস ২০২৮ অলিম্পিকের বাছাইপর্বে খেলার সুযোগ পাবে।
গ্রুপ বিন্যাস
গ্রুপ এ: অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, ইরান
গ্রুপ বি: উত্তর কোরিয়া, চীন, উজবেকিস্তান, বাংলাদেশ
গ্রুপ সি: জাপান, ভিয়েতনাম, চীনা তাইপে, ভারত