পাকিস্তানকে আজ হারালেই বাংলাওয়াশ,থাকছে অনেক অর্জন

- আপডেট সময় : ০১:৩৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
- / ৪৭ বার পড়া হয়েছে
ঘরের মাঠে পাকিস্তিতানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজের আজ তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ। পাকিস্তানকে আজ হারাতে পারলেই হবে বাংলাওয়াশ। গত সাড়ে নয় বছরে যেখানে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ই পায়নি সেখানে ঘরের মাঠে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে নিয়েছেন টাইগাররা। তাদের সামনে এবার হোয়াইট ওয়াশ করার সুবর্ণ সুযোগ। পারবে কি বাংলাদেশ টানা তিন ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব দেখাতে! অবশ্য বাংলাওয়াশ এর আগে বাংলাদেশ তিনটি দেশের বিপক্ষে অর্জন করেছিলো। আয়ারল্যান্ড,ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইট ওয়াশ করেছিলো।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। ম্যাচের ভেন্যু হোম অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটের অনায়াস জয় পেয়েছিল লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে শেষ ওভারে গড়ানো রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পাকিস্তানকে ৮ রানে হারায় স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের সামনে যেসব অর্জনের হাতছানি:
* টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ টানা পাঁচটি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। ২০২৩ সালের মার্চে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে টানা তিনটি ও আয়ারল্যান্ডকে টানা দুটি ম্যাচে হারিয়েছিল তারা।
শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে পারলে সেই কীর্তি ছুঁয়ে ফেলবে টাইগাররা। সবশেষ চারটি টি-টোয়েন্টিতেই জিতেছে দলটি। পাকিস্তানকে টানা দুবার হারানোর আগে শ্রীলঙ্কার মাটিতে টানা দুটি জয় পেয়েছিল তারা।
* এই সংস্করণে তিন বা এর চেয়ে বেশি ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করেছে তিনবার। ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে, ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ও গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে জিতেছিল তারা। প্রতিবারই সিরিজের ফল ছিল ৩-০।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এবার জিতলে চতুর্থবারের মতো তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ নেবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এছাড়া, দুই ম্যাচের সিরিজে তিনবার এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে তাদের— জিম্বাবুয়ে, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
* বাংলাদেশের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৫০ উইকেটের মাইলফলকের দুয়ারে রিশাদ হোসেন। এই লেগ স্পিনার জাতীয় দলের হয়ে ৪০ ম্যাচে ২২.৬২ গড় ও ৮.০৮ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৪৮ উইকেট।
তালিকার শীর্ষে থাকা সাকিব আল হাসানের উইকেট ১৪৯টি। তার ঠিক পেছনে থাকা মোস্তাফিজুর রহমান শিকার করেছেন ১৩৯ উইকেট। সেরা পাঁচের বাকিরা হলেন— তাসকিন আহমেদ (৮৫), শরিফুল ইসলাম (৫৭) ও শেখ মেহেদী হাসান (৫৬)।
* ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে চলতি বছর বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত খেলেছে ১১ ম্যাচ। দলটির ব্যাটাররা হাঁকিয়েছেন মোট ৯৭টি ছয়। অর্থাৎ ছক্কার সেঞ্চুরি পূরণ করতে আর মাত্র তিনটি ওভার বাউন্ডারি দরকার তাদের।
এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন। তানজিদ ১০ ম্যাচে মেরেছেন ২১টি ছক্কা। সমান ম্যাচে পারভেজের ছক্কা ২০টি।