সমাবেশ শুরুর আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল

- আপডেট সময় : ১১:১৮:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
- / ৮৩ বার পড়া হয়েছে
ঢাকার চারিদিক দিয়ে ঢাকা মুখী মানুষের আগমন একদিন আগে থেকেই। তবে আজ সকালে দেখা গেলো সেই আগমনের সংখ্যা বেড়ে গেছে কয়েকগুন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ দল বেধে হেটে ছুটছেন সমাবেশ স্থলে। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সভাস্থলের মঞ্চগুলো তখনো খালি। কিন্তু তার আগেই সকাল দশটা বাাজতেই মঞ্চের চারিপাশ ঘিরে মানুষের ঢলে টইটুম্বুর পুরো সােহরাওয়ার্দী উদ্যান।
সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে উপছে পড়েছে লাখ লাখ মানুষের ঢল। সমাবেশ শুরুর ৬ ঘণ্টা আগেই দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে প্রায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে হাজার হাজার জামায়াতের নেতাকর্মী অবস্থান করছে।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে করে আসা নেতাকর্মীরা রাজধানীতে এসে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করছেন। নেতাকর্মীদের অনেকের হাতে তাদের দলীয় প্রতীক দাাঁড়িপাল্লা শোভা পাচ্ছে। দাঁড়িপাল্লা ও দলীয় মনোগ্রাম সম্বলিত টি-শার্ট,পাঞ্জাবি পরে এসেছে হাজার নেতাকর্মী। শনিবার (১৯ জুলাই) ফজরের পর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে আসা এক মায়াতকর্মী বলেন, শুধু আমাদের উপজেলা থেকে ৪০টি বাসসহ বিভিন্নভাবে কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ এসেছি। সিরাজগঞ্জ থেকে আসা জামায়াতের কর্মী এরশাদ আলী বলেন, বাসে করে, ট্রেনে ৩০/৪০ হাজার নেতাকর্মী আমরা সিরাজগঞ্জ থেকে এসেছি। অনেকেই রাত থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থান করছেন।
এদিকে সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জাতীয় সমাবেশ সফল করতে দায়িত্ব পালন করছে ২০ হাজারের মত স্বেচ্ছাসেবক। ভোর থেকে সমাবেশে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিভিন্ন স্পটে স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করছে।
হাইকোর্ট এলাকা, মৎস্যভবন,শাহবাগ এলাকার বিভিন্ন স্পট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। স্বেচ্ছাসেবকরা সবাই একই ধরনের ড্রেস পড়ে বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়েছে। তারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করছেন। কোনো অঞ্চলের মানুষ কোন গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
মৎস্যভবন স্পটের স্বেচ্ছাসেবক টিমের প্রধান মাসুদুর রহমান বলেন, সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করাই আমাদের উদ্দেশ্যে। পুরো রাজধানী জুড়ে আমাদের ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছে। শুধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে ভোর থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী প্রবেশ করতে দেখা গেছে জামায়াতের নেতাকর্মীদের।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাত দফা দাবিগুলো হহচ্ছে যথাক্রমে – অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, ‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন ও এক কোটিরও বেশি প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ।
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করছে দলটি।