ঢাকা ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বাৎসরিক আয় ১০ হাজার কোটি টাকা! ব্যাংকে জমা ৩০ হাজার কোটি, বিসিবি’র আয়!

ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
  • / ৭৫ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বাৎসরিক আয় প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা। তাদের আয়ের সবচে বড় উৎস হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল)।
২০২৩-২৪ অর্থ বছরেও বিসিসিআইয়ের আয়ের অর্ধেকের বেশি এসেছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট থেকে।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোর্ডের আয়ের ৫৯.১০ শতাংশই এসেছে আইপিএল থেকে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বিসিসিআইয়ের আয় হয়েছে ৯৭৪২ কোটি রুপি। তার মধ্যে আইপিএল থেকে আয় ৫৭৬১ কোটি।

আইপিএল ছাড়াও ডব্লিউপিএল (নারী আইপিএল), আন্তর্জাতিক ম্যাচের সম্প্রচার স্বত্ব এবং বিভিন্ন স্পনসরের থেকে বিসিসিআই আয় করে। ভারতের ম্যাচগুলো থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বিসিসিআইয়ের আয় ৩৬১ কোটি রুপি। আইসিসির কাছ থেকে এই অর্থবর্ষে ভারতীয় বোর্ড পেয়েছে ১০৪২ কোটি রুপি। যা বোর্ডের মোট আয়ের ১০.৭০ শতাংশ।

বিসিসিআইয়ের স্থায়ী আমানতের পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার কোটি রুপি। তার সুদ বাবদ বছরে প্রায় এক হাজার কোটি রুপি আয় হয় তাদের।

আইপিএল থেকে বিসিসিআইয়ের আয় প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। এই প্রতিযোগিতার ওপর ক্রিকেট অর্থনীতির নির্ভরশীলতা বাড়ছে। ফলে ভারতীয় বোর্ডের উপর অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা বাড়ছে আইসিসিরও।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যখন প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা আয় করছে তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আয় নিয়ে কৌতুহল তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক।

জানা যায়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাজেট অনুমোদন হয়েছে। এ সময়ে বিসিবির সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছিল ৪৪৬ কোটি টাকা, সম্ভাব্য ব্যয় ৪০৭ কোটি টাকা। আয় খুব একটা না বাড়লেও বোর্ডের ব্যয় বেড়েছে বলেই উদ্ধৃত অর্থ খুব একটা বেশি থাকছে না।

যদিও চলতি অর্থ বছরের আয় সংক্রান্ত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিপিএল থেকে তেমন একটা আয়ের উৎস তৈরি করতে পারেনি। বিসিবি তে বড় ধরণের আর্থিক অনিয়ম হয় সেটা গত বিপিএলের আয় থেকেই পরিস্কার হয়ে যায়।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সর্বশেষ আসরের পর তৎকালীন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, এই মৌসুমে বিপিএলের টিকিট বিক্রি থেকে এসেছে মোট সোয়া ১৩ কোটি টাকা। তার ভাষ্য অনুযায়ী, আগের ১০ আসর মিলিয়ে নাকি মাত্র ১৫ কোটি টাকার টিকি বিক্রি হয়েছিল। জনপ্রিয়তা, খেলার মান, আয়- কোনোদিক দিয়েই আইপিএলের সঙ্গে বিপিএলের তুলনা করা যায় না। তবে এটা বোঝা যায় যে, কতটা পিছিয়ে আছে বিপিএল।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সম্প্রচার সংস্থা ডিজনি ও ভায়াকমের কাছে ৬২০ কোটি ডলারে আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করেছে বিসিসিআই। রেডিফিউশনের কর্ণধার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সন্দ্বীপ গোয়াল বলেছেন, ‘বিসিসিআইয়ের এই রাজস্ব শুধু টেকসই নয়; বরং পৃষ্ঠপোষক, সম্প্রচার স্বত্ব ও ম্যাচ থেকে আয়ের সম্প্রসারণের কারণে তা প্রতিবছর ১০–১২ শতাংশ করে বৃদ্ধি পাবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বাৎসরিক আয় ১০ হাজার কোটি টাকা! ব্যাংকে জমা ৩০ হাজার কোটি, বিসিবি’র আয়!

আপডেট সময় : ১২:০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বাৎসরিক আয় প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা। তাদের আয়ের সবচে বড় উৎস হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল)।
২০২৩-২৪ অর্থ বছরেও বিসিসিআইয়ের আয়ের অর্ধেকের বেশি এসেছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট থেকে।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোর্ডের আয়ের ৫৯.১০ শতাংশই এসেছে আইপিএল থেকে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বিসিসিআইয়ের আয় হয়েছে ৯৭৪২ কোটি রুপি। তার মধ্যে আইপিএল থেকে আয় ৫৭৬১ কোটি।

আইপিএল ছাড়াও ডব্লিউপিএল (নারী আইপিএল), আন্তর্জাতিক ম্যাচের সম্প্রচার স্বত্ব এবং বিভিন্ন স্পনসরের থেকে বিসিসিআই আয় করে। ভারতের ম্যাচগুলো থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বিসিসিআইয়ের আয় ৩৬১ কোটি রুপি। আইসিসির কাছ থেকে এই অর্থবর্ষে ভারতীয় বোর্ড পেয়েছে ১০৪২ কোটি রুপি। যা বোর্ডের মোট আয়ের ১০.৭০ শতাংশ।

বিসিসিআইয়ের স্থায়ী আমানতের পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার কোটি রুপি। তার সুদ বাবদ বছরে প্রায় এক হাজার কোটি রুপি আয় হয় তাদের।

আইপিএল থেকে বিসিসিআইয়ের আয় প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। এই প্রতিযোগিতার ওপর ক্রিকেট অর্থনীতির নির্ভরশীলতা বাড়ছে। ফলে ভারতীয় বোর্ডের উপর অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা বাড়ছে আইসিসিরও।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যখন প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা আয় করছে তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আয় নিয়ে কৌতুহল তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক।

জানা যায়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাজেট অনুমোদন হয়েছে। এ সময়ে বিসিবির সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছিল ৪৪৬ কোটি টাকা, সম্ভাব্য ব্যয় ৪০৭ কোটি টাকা। আয় খুব একটা না বাড়লেও বোর্ডের ব্যয় বেড়েছে বলেই উদ্ধৃত অর্থ খুব একটা বেশি থাকছে না।

যদিও চলতি অর্থ বছরের আয় সংক্রান্ত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিপিএল থেকে তেমন একটা আয়ের উৎস তৈরি করতে পারেনি। বিসিবি তে বড় ধরণের আর্থিক অনিয়ম হয় সেটা গত বিপিএলের আয় থেকেই পরিস্কার হয়ে যায়।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সর্বশেষ আসরের পর তৎকালীন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, এই মৌসুমে বিপিএলের টিকিট বিক্রি থেকে এসেছে মোট সোয়া ১৩ কোটি টাকা। তার ভাষ্য অনুযায়ী, আগের ১০ আসর মিলিয়ে নাকি মাত্র ১৫ কোটি টাকার টিকি বিক্রি হয়েছিল। জনপ্রিয়তা, খেলার মান, আয়- কোনোদিক দিয়েই আইপিএলের সঙ্গে বিপিএলের তুলনা করা যায় না। তবে এটা বোঝা যায় যে, কতটা পিছিয়ে আছে বিপিএল।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সম্প্রচার সংস্থা ডিজনি ও ভায়াকমের কাছে ৬২০ কোটি ডলারে আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করেছে বিসিসিআই। রেডিফিউশনের কর্ণধার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সন্দ্বীপ গোয়াল বলেছেন, ‘বিসিসিআইয়ের এই রাজস্ব শুধু টেকসই নয়; বরং পৃষ্ঠপোষক, সম্প্রচার স্বত্ব ও ম্যাচ থেকে আয়ের সম্প্রসারণের কারণে তা প্রতিবছর ১০–১২ শতাংশ করে বৃদ্ধি পাবে।’