ঢাকা ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গোপালগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চিরুনি অভিযান,উদ্ধার হচ্ছে অস্ত্র,৪৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০১:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
  • / ৫৪ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতীয় নাগরিক পার্টির(এসিপি) গোপালগঞ্জের পদযাত্রাকে ঘিরে আওয়ামী লীগ,ছাত্র লীগ ও যুব লীগ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সেখানে গোপাল গঞ্জের এই সকল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সরকারি অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়। যা ভিডিও ফুটেজে পরিস্কার দেখা যায়।

ধারনা করা হচ্ছে ৫ আগষ্টের পর এই সকল অস্ত্র সাধারণ সন্ত্রাসীদের হাতে চলে যায়। এবার সে অস্ত্র দিয়েই দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। যা কিনা সবার নজরে পড়েছে।

এ ব্যাপারে সরকার নড়ে চড়ে বসেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল অব, মো.জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন,গোপালগঞ্জের ঘটনায় যারা অন্যায় করেছে তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে, কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার তার এমন বক্তব্যের পর আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয় গোপালগঞ্জে পুলিশের চিরুনী অভিযান।

ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ ও ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা হয়েছে।

আজ (শুক্রবার) সকালে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক আহম্মদ আলী বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তাৎক্ষণিকভাবে বাকি আসামিদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) ড. রুহুল আমিন সরকার বলেন, সকালে সদর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেছে। সেখানে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জে বুধবারের সংঘাত-সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেদিন প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করলেও তাতে কাজ না হওয়ায় বুধবার রাত আটটা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ দেয় সরকার। যা পরবর্তীতে আরও বাড়ানো হয়।

১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শুরু হওয়া ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গেল মঙ্গলবার ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে এনসিপি। তাদের এই কর্মসূচি ঘিরে ওইদিন রাত থেকেই জেলাটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরপরও বুধবার সমাবেশের আয়োজন করা হয় গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক এলাকায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। গোপালগঞ্জে যে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে সে তথ্য কি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ছিল না? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল, কিন্তু এত বড় যে হবে সে তথ্য ছিল না।

এনসিপির নেতারা অভিযোগ করেছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ হয়েছে, বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এ ব্যাপারে আপনিও তো অনেক কথা বলতে পারেন। যার যে বক্তব্য সে সেটা দেবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সেখানে কালকেও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। এখন সে জায়গার পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

অপরাধীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা অন্যায় করেছে তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে, কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সে থেকে গোপালগঞ্জে চলছে চিরুনী অভিযান। অপরাধীদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে অনেকগুলো সরকারি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গোপালগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চিরুনি অভিযান,উদ্ধার হচ্ছে অস্ত্র,৪৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় : ০১:০১:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির(এসিপি) গোপালগঞ্জের পদযাত্রাকে ঘিরে আওয়ামী লীগ,ছাত্র লীগ ও যুব লীগ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সেখানে গোপাল গঞ্জের এই সকল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সরকারি অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়। যা ভিডিও ফুটেজে পরিস্কার দেখা যায়।

ধারনা করা হচ্ছে ৫ আগষ্টের পর এই সকল অস্ত্র সাধারণ সন্ত্রাসীদের হাতে চলে যায়। এবার সে অস্ত্র দিয়েই দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। যা কিনা সবার নজরে পড়েছে।

এ ব্যাপারে সরকার নড়ে চড়ে বসেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল অব, মো.জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন,গোপালগঞ্জের ঘটনায় যারা অন্যায় করেছে তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে, কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার তার এমন বক্তব্যের পর আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয় গোপালগঞ্জে পুলিশের চিরুনী অভিযান।

ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ ও ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা হয়েছে।

আজ (শুক্রবার) সকালে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক আহম্মদ আলী বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তাৎক্ষণিকভাবে বাকি আসামিদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) ড. রুহুল আমিন সরকার বলেন, সকালে সদর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেছে। সেখানে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জে বুধবারের সংঘাত-সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেদিন প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করলেও তাতে কাজ না হওয়ায় বুধবার রাত আটটা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ দেয় সরকার। যা পরবর্তীতে আরও বাড়ানো হয়।

১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শুরু হওয়া ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গেল মঙ্গলবার ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে এনসিপি। তাদের এই কর্মসূচি ঘিরে ওইদিন রাত থেকেই জেলাটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরপরও বুধবার সমাবেশের আয়োজন করা হয় গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক এলাকায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। গোপালগঞ্জে যে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে সে তথ্য কি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ছিল না? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল, কিন্তু এত বড় যে হবে সে তথ্য ছিল না।

এনসিপির নেতারা অভিযোগ করেছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ হয়েছে, বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এ ব্যাপারে আপনিও তো অনেক কথা বলতে পারেন। যার যে বক্তব্য সে সেটা দেবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সেখানে কালকেও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। এখন সে জায়গার পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

অপরাধীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা অন্যায় করেছে তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে, কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সে থেকে গোপালগঞ্জে চলছে চিরুনী অভিযান। অপরাধীদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে অনেকগুলো সরকারি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যায়।