ম্যাচ শেষে বাকবিতণ্ডা-ধাক্কাধাক্কি, পিএসজি কোচের ব্যাখ্যা

- আপডেট সময় : ১২:৩০:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
- / ৮১ বার পড়া হয়েছে
ম্যাচ জুড়ে মারামারি কিংবা হাতাহাতির মতো তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি। শেষের দিকেই যত গন্ডোগোল। চেলসির কোকরা চুলধারী মার্ক কুকুরেলার চুল ধরে টান মেরে মাটিতে ফেলে দেন পিএসজির জুওয়াও নেভেস। ৮৬ মিনিটের সময় ঘটে যাওয়া এই ঘটনা থার্ড আম্পায়ারের সাহায্যে দোষ নির্ণয় করা হয়। এবং পরবর্তীতে জুওয়াও নেভেসকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ ছাড়া করা হয় ম্যাচ শেষের চার মিনিট আগে। ম্যাচটিতে যদিও প্রথমার্ধেই তিন গোলে পিছিয়ে থেকে পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় চেলসির।
তখনো পর্যন্ত মাঠে কোন উত্তেজনা ছড়ায়নি। কিন্তু ম্যাচের শেষ হুইসেল দিতেই পিএসজির খেলোয়াড়দের বাক বিতন্ডা এবং ধাক্কাধাক্কি করতে দেখা যায়। হট্টোগোলের কেন্দ্রে ছিলেন পিএসজি কোচ লুইস এনরিক। তবে তিনি দাবি করেছেন, খেলোয়াড়দের ঠেকাতেই তিনি সেখানে ছিলেন, কোনো আগ্রাসনের উদ্দেশ্য ছিল না।
তবে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেই ভিডিওতে দেখা যায়, এনরিকে চেলসির ফরোয়ার্ড জোয়াও পেদ্রোকে মুখে ধাক্কা দিচ্ছেন এবং মাটিতে পড়ে যান এই ব্রাজিলিয়ান।
তবে এনরিকে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ম্যাচ শেষে প্রচণ্ড চাপ থাকে। আমি আমার আবেগ প্রকাশ করেছি, তবে কারো ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে নয়। সবাই ওই মুহূর্তে জড়িত ছিল। এটা অবশ্যই কাঙ্ক্ষিত ছিল না, তবে ম্যাচের চাপে এমন হয়ে থাকে। আমি শুধু খেলোয়াড়দের আলাদা করার চেষ্টা করছিলাম যাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ না হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চেলসি কোচ এনজো মারে্সকাকেও দেখেছি, তিনিও ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়েছেন। সবাইকে সরাতে হচ্ছিল। চাপ ঠিক কোথা থেকে এলো তা নিশ্চিত না, তবে এমন পরিস্থিতি এড়ানোই উচিত।’
তবে সেই ঘটনার কয়েক মিনিট পর এনরিকে তার এক সহকারীর সঙ্গে আলোচনা করেন। ডিএজেডএনের সম্প্রচারে ঠোঁটের ভাষা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তিনি তখন বলেন, ‘আমি বোকামি করেছি। ও এভাবে দাঁড়িয়ে ছিল, ও আমাকে ধাক্কা দেয়, আমি ওকে ছুঁতে গেলেই সে পড়ে যায়।’
চেলসির জোয়াও পেদ্রো অবশ্য এ নিয়ে বাড়তি কিছু বলতে চাননি। ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের নিয়ে কিছু বলতে চাই না। সবাই জিততে চায়—শেষে ওরা মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেনি। এটা স্বাভাবিক। এমন ঘটনা ফুটবলে ঘটে থাকে। আমরা জিতেছি, এখন সেটি উপভোগ করাই আসল কথা।’