অপহৃত খাদ্য কর্মকর্তাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার

- আপডেট সময় : ০১:১২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
- / ৪৯ বার পড়া হয়েছে
খুলনায় অপহৃত হন খাদ্য কর্মকর্তা। ঠিক তার পাঁচ ঘন্টা পর অপহৃত খাদ্য কর্মকর্তাকে হাত পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে তেরখাদা উপজেলার আজগড়া বিআরবি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার হাত, পা ও চোখ বাঁধা ছিল। পরে তাকে খুলনা সদর থানায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুশান্তকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম নিশ্চিত করেন এ তথ্য। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একাধিক ইউনিট অভিযান শুরু করে। বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে অপহরণকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তেরখাদা উপজেলার আজগড়া গ্রামের বিআরবি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে হাত-পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় সুশান্তকে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে টাকা দাবি করেছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে বিকাশের মাধ্যমে কিছু টাকা পাঠানো হয়। ওই বিকাশ এজেন্টসহ আরও একজনকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে। বাকি চারজনকে ধরার প্রক্রিয়া চলছে। আশা করি খুব দ্রুত তাদের আটক করা সম্ভব হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, ‘খুলনা সদর থানার পুলিশ তেরখাদা থানার সহায়তায় সুশান্তকে উদ্ধার করে। তবে এখনো সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না, ঠিক কী কারণে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল।’
এর আগে, রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর ৪ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে সুশান্তকে অপহরণ করে একদল ব্যক্তি। সুশান্ত কুমার মজুমদার খুলনার ৪ নম্বর ঘাটে খাদ্য বিভাগের ইনচার্জ পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
পরিবারের দাবি, তারা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে সুশান্তকে হাতকড়া পরিয়ে ট্রলারে তুলে নিয়ে যায়। অপহরণের কিছুক্ষণ পর তার মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর সুশান্তের স্ত্রী মাধবী রানী মজুমদার রাতে খুলনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
মাধবী রানী মজুমদার অভিযোগে বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে রেজা ও বাবু মণ্ডল নামের দুই ব্যক্তি আরও তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে আমার স্বামীর হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তাকে মারতে মারতে একটি ট্রলারে তুলে নিয়ে যায়। তারা নিজেদের পুলিশের সদস্য পরিচয় দেয়। ঘটনার পর থেকে আমার স্বামীর মোবাইল নম্বর বন্ধ।’