ঢাকা ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শাপলা নিয়ে টানাটানি, জাতীয় প্রতীক হওয়ায় নির্বাচনী তফসিলে রাখা হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৫:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • / ৪৩ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগেই জাতীয় ফুল শাপলা নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যায়। দুটি রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক ঐক্য ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)  নিজেদের দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা পাবার আশায় আবেদন করে। জাতীয় নাগরিক ঐক্য আবেদন করেছিলো গত ১৭ এপ্রিল এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি আবেদন করে ২২ জুন। তবে এ নিয়ে কোন বিব্রত হয়নি নির্বাচন কমিশন। একটি দল তার দলীয় প্রতীক হিসেবে আবেদন করতেই পারে। কিন্তু সেই প্রতীকটি যদি হয়ে যায় জাতীয় প্রতীক তখন হয়ে যায় বড় বাধা। আর জাতীয় প্রতীক বলেই দু’দলের শাপলা নিয়ে টানাট‍ানির মামলা এখানেই শেষ হয়ে যাবার কথা।

এরপরেও শাপলা নিয়ে একটি পরিস্কার রায় দিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) অষ্টম কমিশন বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্যাখ্যাও দেন।তিনি বলেন, শাপলা প্রতীক চেয়ে দুইটি দল আবেদন করেছিল। কিন্তু সব বিবেচনায় প্রতীকের তালিকায় শাপলাই রাখা হয়নি। তবে আমরা শাপলাকে বাদ দেইনি। এটি পূর্বে তফসিলে ছিলোই না।

নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে ১১৫টি প্রতীক সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এরমধ্যে ৫১টি প্রতীক ৫১টি নিবন্ধিত দলের জন্য। বাকিগুলো নতুন নিবন্ধন পেলে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য থাকবে।

এর আগে বুধাবার দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ নির্বাচন বিধিমালায় তফসিলভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, শাপলা প্রতীক বাতিল করা হয়নি। কারণ এই প্রতীক আগে ছিল না। শাপলা জাতীয় প্রতীক হওয়ায় নির্বাচনের প্রতীক হিসেবে এটি বিধিমালার তফসিলভুক্ত না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে প্রতীকটি কেউ পাওয়ার সুযোগ থাকবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শাপলা নিয়ে টানাটানি, জাতীয় প্রতীক হওয়ায় নির্বাচনী তফসিলে রাখা হয়নি

আপডেট সময় : ০৭:৪৫:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগেই জাতীয় ফুল শাপলা নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যায়। দুটি রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক ঐক্য ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)  নিজেদের দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা পাবার আশায় আবেদন করে। জাতীয় নাগরিক ঐক্য আবেদন করেছিলো গত ১৭ এপ্রিল এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি আবেদন করে ২২ জুন। তবে এ নিয়ে কোন বিব্রত হয়নি নির্বাচন কমিশন। একটি দল তার দলীয় প্রতীক হিসেবে আবেদন করতেই পারে। কিন্তু সেই প্রতীকটি যদি হয়ে যায় জাতীয় প্রতীক তখন হয়ে যায় বড় বাধা। আর জাতীয় প্রতীক বলেই দু’দলের শাপলা নিয়ে টানাট‍ানির মামলা এখানেই শেষ হয়ে যাবার কথা।

এরপরেও শাপলা নিয়ে একটি পরিস্কার রায় দিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) অষ্টম কমিশন বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্যাখ্যাও দেন।তিনি বলেন, শাপলা প্রতীক চেয়ে দুইটি দল আবেদন করেছিল। কিন্তু সব বিবেচনায় প্রতীকের তালিকায় শাপলাই রাখা হয়নি। তবে আমরা শাপলাকে বাদ দেইনি। এটি পূর্বে তফসিলে ছিলোই না।

নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে ১১৫টি প্রতীক সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এরমধ্যে ৫১টি প্রতীক ৫১টি নিবন্ধিত দলের জন্য। বাকিগুলো নতুন নিবন্ধন পেলে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য থাকবে।

এর আগে বুধাবার দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ নির্বাচন বিধিমালায় তফসিলভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, শাপলা প্রতীক বাতিল করা হয়নি। কারণ এই প্রতীক আগে ছিল না। শাপলা জাতীয় প্রতীক হওয়ায় নির্বাচনের প্রতীক হিসেবে এটি বিধিমালার তফসিলভুক্ত না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে প্রতীকটি কেউ পাওয়ার সুযোগ থাকবে না।