ঢাকা ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ, সবার উপরে রাজশাহী,তলানীতে বরিশাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • / ৪৩ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে এ ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ।গত ১০ এপ্রিল শুরু হওয়া এই পরীক্ষায় মোট ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। পাশ করেছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী।

গতবছরের পরীক্ষায় জিপিয়ে-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ শিক্ষার্থী। সে তুলনায় চলতি বছর ৪৩ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ কম পেয়েছে।

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবার পাসের হারে সবার ওপরে রয়েছে রাজশাহী বোর্ড। এ বোর্ডে পাস করেছেন ৭৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। এরপরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যশোর বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

এছাড়া ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৬৭ দশমিক ৫১, কুমিল্লায় ৬৩ দশমিক ৬০, চট্টগ্রাম ৭২ দশমিক ০৭, সিলেটে ৬৮ দশমিক ৫৭, দিনাজপুরে ৬৭ দশমিক ০৩, ময়মনসিংহে ৫৮ দশমিক ২২ ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে ৬৮ দশমিক ০৯ শতাংশ। পাসের হারে সবার নিচে অবস্থান করছে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। এ বছর বরিশাল বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সারা দেশে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯৮৪টি। দেশের মোট ১৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করেনি।
এর আগে ২০২৪ সালে শতভাগ পাস করেছিল ২ হাজার ৯৬৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সে হিসাবে শতভাগ পাশ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৯৮৪টি। একইভাবে ২০২৪ সালে একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১টি। যা এবার ৮৩টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৪টিতে।

ফলাফল প্রকাশের পরেই ভালো ফলাফল করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। মিষ্টি বিতরেণে ধুম পড়ে যায়। অন্য দিকে গনিতে খারাপ করায় অনেক শিক্ষার্থী প্রত্যাশিত ফলাফল করতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়েছেন। ফেল করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সিংহভাগই গনিতে ফেল করেছেন বলে জানা যায়।

  •  প্রকৃত মেধারাই পাশ করেছেন বললেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি

এর আগে বোর্ড চেয়ারম্যান,শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পরীক্ষার ফলাফল উপস্থাপন করা হতো। ফুলিয়ে পাপিয়ে শিক্ষার হার বাড়িয়ে প্রশংসা নেয়া হতো। এবার তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। দেখা যায়নি কোন শিক্ষা উপদেষ্টা কিংবা সরকার প্রধানকে। স্রেফ শিক্ষাবোর্ড কতৃক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

ফলাফল ঘোষনার পর চলতি বছরের পাশের হার নিয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির জানালেন, পরীক্ষায় কাউকে গ্রেস মার্কস বা বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, যে ফলাফল আমরা প্রকাশ করলাম, এটি প্রকৃত ফল। এবার কোনো ধরনের বাড়তি নম্বর বা গ্রেস মার্কস কাউকে দেওয়া হয়নি। মেধার প্রকৃত মূল্যায়নের শতভাগ প্রচেষ্টা করা হয়েছে। পরীক্ষকদেরও সেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ফলে এটিই প্রকৃত ও সত্য ফলাফল। এ নিয়ে সন্দেহ-সংশয় ও ক্ষোভের সুযোগ নেই।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা বোর্ডের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ফলাফল তুলে ধরে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক এহসানুল কবির বলেন, বিগত সময়ে কী হয়েছে, কীভাবে ফল তৈরি করা হয়েছে; তা আমরা বলবো না। এখন যে ফল আমরা দিয়েছি সেটিই প্রকৃত। উত্তরপত্র যথাযথভাবে মূল্যায়নের পর যা এসেছে, সেটি উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে আমাদের কোনো হাত নেই।

তিনি বলেন, এবার আমাদের ওপর মহল থেকে কোনো ধরনের চাপ ছিল না। আমাদের বলা হয়েছে যে রেজাল্ট হবে, সেটিই দিতে হবে। আমরাও পরীক্ষকদের এ অনুরোধ জানিয়েছি। তাদের যথার্থভাবে খাতা মূল্যায়ন করার জন্য বলা হয়েছে।

বিশেষ কোনো নির্দেশনা ছিল না জানিয়ে খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, শিক্ষার্থীরা খাতায় যা লিখেছে, সে অনুসারে নম্বর পেয়েছে। শিক্ষার্থীদের খাতার প্রাপ্ত নম্বরই যথাযথভাবে আমরা কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রকাশ করেছি। কোনো নির্দিষ্ট নম্বর পাওয়ার পর বিশেষ নম্বর দিয়ে ভালো গ্রেড করে দেওয়া হয়নি। ফলাফল তৈরিতে কোনো উদারনীতিও অবলম্বন করা হয়নি।

বরিশাল বোর্ডে পাসের হার কমার বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, বরিশাল অঞ্চলে খাল-বিলসহ প্রান্তিক এলাকা বেশি। তাই ওসব অঞ্চলের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা একটু কঠিন হয়। এছাড়া আমরা ঢাকা মহানগরের বাইরে যত উপজেলা পর্যায়ে যাবো, তত পাসের হার কমতে থাকে। কারণ ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা ফলাফল ভালো করার চেষ্টা করে সব সময়। তাই শহরের তুলনায় গ্রামের দিকের ফলাফলে একটু তারতম্য ঘটে।

যেভাবে দেখা যাবে এসএসসি পরীক্ষার ফল
এসএমএস
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের লিখতে হবে—এসএসসি, তারপর স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর, স্পেস দিয়ে রোল নম্বর, স্পেস দিয়ে বছর। এরপর ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
যেমন: ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রোল নম্বর ১২৩৪৫৬ হলে লিখতে হবে—SSC Dha 12345 2025—তারপর ১৬২২২ নম্বরে এসএমএম পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফলাফল পাওয়া যাবে।

অনলাইন
শিক্ষার্থীরা অনলাইনে www.educationboardresults.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফলাফল দেখতে পারবেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ইআইআইএন নম্বর ব্যবহার করে সম্পূর্ণ রেজাল্টশিট ডাউনলোড করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানের সম্পূর্ণ রেজাল্টশিট ডাউনলোড করতে www.dhakaeducationboard.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ, সবার উপরে রাজশাহী,তলানীতে বরিশাল

আপডেট সময় : ০৬:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে এ ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ।গত ১০ এপ্রিল শুরু হওয়া এই পরীক্ষায় মোট ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। পাশ করেছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী।

গতবছরের পরীক্ষায় জিপিয়ে-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ শিক্ষার্থী। সে তুলনায় চলতি বছর ৪৩ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ কম পেয়েছে।

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবার পাসের হারে সবার ওপরে রয়েছে রাজশাহী বোর্ড। এ বোর্ডে পাস করেছেন ৭৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। এরপরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যশোর বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

এছাড়া ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৬৭ দশমিক ৫১, কুমিল্লায় ৬৩ দশমিক ৬০, চট্টগ্রাম ৭২ দশমিক ০৭, সিলেটে ৬৮ দশমিক ৫৭, দিনাজপুরে ৬৭ দশমিক ০৩, ময়মনসিংহে ৫৮ দশমিক ২২ ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে ৬৮ দশমিক ০৯ শতাংশ। পাসের হারে সবার নিচে অবস্থান করছে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। এ বছর বরিশাল বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সারা দেশে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯৮৪টি। দেশের মোট ১৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করেনি।
এর আগে ২০২৪ সালে শতভাগ পাস করেছিল ২ হাজার ৯৬৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সে হিসাবে শতভাগ পাশ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৯৮৪টি। একইভাবে ২০২৪ সালে একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১টি। যা এবার ৮৩টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৪টিতে।

ফলাফল প্রকাশের পরেই ভালো ফলাফল করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। মিষ্টি বিতরেণে ধুম পড়ে যায়। অন্য দিকে গনিতে খারাপ করায় অনেক শিক্ষার্থী প্রত্যাশিত ফলাফল করতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়েছেন। ফেল করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সিংহভাগই গনিতে ফেল করেছেন বলে জানা যায়।

  •  প্রকৃত মেধারাই পাশ করেছেন বললেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি

এর আগে বোর্ড চেয়ারম্যান,শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পরীক্ষার ফলাফল উপস্থাপন করা হতো। ফুলিয়ে পাপিয়ে শিক্ষার হার বাড়িয়ে প্রশংসা নেয়া হতো। এবার তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। দেখা যায়নি কোন শিক্ষা উপদেষ্টা কিংবা সরকার প্রধানকে। স্রেফ শিক্ষাবোর্ড কতৃক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

ফলাফল ঘোষনার পর চলতি বছরের পাশের হার নিয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির জানালেন, পরীক্ষায় কাউকে গ্রেস মার্কস বা বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, যে ফলাফল আমরা প্রকাশ করলাম, এটি প্রকৃত ফল। এবার কোনো ধরনের বাড়তি নম্বর বা গ্রেস মার্কস কাউকে দেওয়া হয়নি। মেধার প্রকৃত মূল্যায়নের শতভাগ প্রচেষ্টা করা হয়েছে। পরীক্ষকদেরও সেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ফলে এটিই প্রকৃত ও সত্য ফলাফল। এ নিয়ে সন্দেহ-সংশয় ও ক্ষোভের সুযোগ নেই।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা বোর্ডের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ফলাফল তুলে ধরে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক এহসানুল কবির বলেন, বিগত সময়ে কী হয়েছে, কীভাবে ফল তৈরি করা হয়েছে; তা আমরা বলবো না। এখন যে ফল আমরা দিয়েছি সেটিই প্রকৃত। উত্তরপত্র যথাযথভাবে মূল্যায়নের পর যা এসেছে, সেটি উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে আমাদের কোনো হাত নেই।

তিনি বলেন, এবার আমাদের ওপর মহল থেকে কোনো ধরনের চাপ ছিল না। আমাদের বলা হয়েছে যে রেজাল্ট হবে, সেটিই দিতে হবে। আমরাও পরীক্ষকদের এ অনুরোধ জানিয়েছি। তাদের যথার্থভাবে খাতা মূল্যায়ন করার জন্য বলা হয়েছে।

বিশেষ কোনো নির্দেশনা ছিল না জানিয়ে খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, শিক্ষার্থীরা খাতায় যা লিখেছে, সে অনুসারে নম্বর পেয়েছে। শিক্ষার্থীদের খাতার প্রাপ্ত নম্বরই যথাযথভাবে আমরা কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রকাশ করেছি। কোনো নির্দিষ্ট নম্বর পাওয়ার পর বিশেষ নম্বর দিয়ে ভালো গ্রেড করে দেওয়া হয়নি। ফলাফল তৈরিতে কোনো উদারনীতিও অবলম্বন করা হয়নি।

বরিশাল বোর্ডে পাসের হার কমার বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, বরিশাল অঞ্চলে খাল-বিলসহ প্রান্তিক এলাকা বেশি। তাই ওসব অঞ্চলের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা একটু কঠিন হয়। এছাড়া আমরা ঢাকা মহানগরের বাইরে যত উপজেলা পর্যায়ে যাবো, তত পাসের হার কমতে থাকে। কারণ ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা ফলাফল ভালো করার চেষ্টা করে সব সময়। তাই শহরের তুলনায় গ্রামের দিকের ফলাফলে একটু তারতম্য ঘটে।

যেভাবে দেখা যাবে এসএসসি পরীক্ষার ফল
এসএমএস
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের লিখতে হবে—এসএসসি, তারপর স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর, স্পেস দিয়ে রোল নম্বর, স্পেস দিয়ে বছর। এরপর ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
যেমন: ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রোল নম্বর ১২৩৪৫৬ হলে লিখতে হবে—SSC Dha 12345 2025—তারপর ১৬২২২ নম্বরে এসএমএম পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফলাফল পাওয়া যাবে।

অনলাইন
শিক্ষার্থীরা অনলাইনে www.educationboardresults.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফলাফল দেখতে পারবেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ইআইআইএন নম্বর ব্যবহার করে সম্পূর্ণ রেজাল্টশিট ডাউনলোড করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানের সম্পূর্ণ রেজাল্টশিট ডাউনলোড করতে www.dhakaeducationboard.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।