ফেনীতে আবারও বন্যা, নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে বাঁধ, লোকালয়ে ঢুকছে পানি

- আপডেট সময় : ০৯:৪০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
- / ৪৪ বার পড়া হয়েছে
ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দশটি স্থান ভেঙ্গে আবারও বণ্যায় প্লাবিত ফেনী জেলা। এতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ পড়েছে ভোগান্তিতে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেল থেকে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম ধনীকুন্ডা, নোয়াপুর, শালধর এলাকায় তিনটি, ফুলগাজী উপজেলার দেড়পাড়ায় দুইটি, নাপিত কোনায় একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া সিলোনিয়া নদীর মির্জানগর ইউনিয়নের পশ্চিম গদানগর, জঙ্গলঘোনা, উত্তর মনিপুর দাসপাড়া ও মেলাঘর কবরস্থানের পাশে চারটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে অন্তত ১৫ গ্রামের হাজারো মানুষ।
ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, জেলায় টানা দুদিন ধরে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। যা বিগত কয়েক বছরে সর্বোচ্চ। আগামী ২-৩ দিন জেলাজুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফেনী পৌর প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন বলেন, অতিবৃষ্টি ও অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে পানি নেমে যাবে। এরই মধ্যে পৌরসভার ৭টি টিম কাজ শুরু করেছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত পাঁচটি স্থানে ভাঙনের তথ্য পেয়েছি। আরও খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানব। মাঠপর্যায়ে আমাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে টানা বর্ষণে ফেনী শহরের ডাক্তারপাড়া, শহীদ শহিদুল্লা কায়সার সড়ক, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস, শাহীন একাডেমি এলাকা, পাঠানবাড়ি, নাজির রোড, মিজান রোড, একাডেমি, সদর হাসপাতাল মোড় ও পেট্রোবাংলাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার নিচু সড়কগুলো। দোকানপাটে পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মালপত্র। তবে বিকেল থেকে এ পানি ধীরগতিতে নামতে শুরু করেছে।
এছাড়াও কমিল্লার বিভিন্ন স্থানে বণ্যার পানি প্রবেশ করেছে। ঢাকা-চৌদ্দগ্রামের রাস্তার উপর দিয়ে ভারতের পানি প্রবাহিত হচ্ছে।