ঢাকা ০২:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নেতানিয়াহুর আমলে পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি বেড়েছে সবচে বেশি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:২৪:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • / ৪২ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বসতি স্থাপনের মাধ্যমে একটু একটু করে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর দখল করে নিয়েছে ইসরায়েল। তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর আমলে গত প্রায় তিন বছরে এই দখল কার্যক্রম কয়েকগুন বেড়েছে।

২০২২ সালের শেষ দিকে সরকার গঠন করেন ইসরায়েলের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল লিকুদ পার্টির শীর্ষ নেতা নেতানিয়াহু। তারপর থেকে গত প্রায় ৩ বছরে পশ্চিম তীর এলাকায় ইহুদি আবাসন বা আবাসিক ভবনের সংখ্যা ১২৮টি থেকে বেড়ে পৌঁছেছে ১৭৮টিতে। অর্থাৎ, শতকরা হিসেবে নেতানিয়াহুর আমলে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের হার বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সম্প্রচার সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২। সম্প্রতি ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটের স্পিকার আমির ওহানাসহ ১৪ জন মন্ত্রী পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলকৃত এলাকা আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কাছে চিঠি দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতেই এই সংবাদ প্রকাশ করল চ্যানেল ১২। স্পিকার আমির ওহানা এবং যে ১৪ জন মন্ত্রী চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন—সবাই লিকুদ পার্টির।

সরকারি তথ্যের বরাত দিয়ে চ্যানেল ১২-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘নতুন স্বীকৃত ৫০টি বসতির মধ্যে ১৯টি ইতমধ্যেই বিদ্যমান, সাতটি বর্তমানে চারণভূমি, ১৪টি মহল্লা এবং ১০টি এখনও কাগজে কলমে আছে।”

কয়েক ডজন নতুন বসতি স্থাপনের পাশাপাশি, পশ্চিম তীরে বিদ্যমান বসতিগুলিতে ভবন নির্মাণের হার গত আড়াই বছরে রেকর্ড ভেঙেছে বলেও জ উল্লেখ করে চ্যানেল ১২। ইসরায়েলি এই সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, গত আড়াই বছরে ৪১ হাজার ৭০৯টি নতুন অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে নেতানিহুর নেতৃত্বাধীন সরকার। নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগের ৬ বছরে পশ্চিম তীরে অ্যাপার্টমেন্ট স্থাপনের অনুমতি প্রদানের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে।

ইসরায়েলের কট্টরপন্থি নেতা মেইর দিউৎশ চ্যানেল ১২কে বলেছেন, এর আগে কোনো ইসরায়েলি সরকার পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকে এত উৎসাহিত করেনি।

“পশ্চিম তীর এলাকায় ডজন ডজন নতুন বসতি স্থাপনের ঘোষণা, অভাবনীয় গতিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, কৌশলগত সড়ক নির্মান এবং একের পর এক ফিলিস্তিনি ভবন ধ্বংস— এ সবের মূল লক্ষ্য আসলে পুরো পশ্চিম তীরে ইহুদিবাদী নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের প্রস্তাবকে কার্যকরভাবে নস্যাৎ করে দেওয়া”, বলা হয়েছে চ্যানেল ১২ এর প্রতিবেদনে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নেতানিয়াহুর আমলে পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি বেড়েছে সবচে বেশি

আপডেট সময় : ০৯:২৪:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

বসতি স্থাপনের মাধ্যমে একটু একটু করে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর দখল করে নিয়েছে ইসরায়েল। তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর আমলে গত প্রায় তিন বছরে এই দখল কার্যক্রম কয়েকগুন বেড়েছে।

২০২২ সালের শেষ দিকে সরকার গঠন করেন ইসরায়েলের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল লিকুদ পার্টির শীর্ষ নেতা নেতানিয়াহু। তারপর থেকে গত প্রায় ৩ বছরে পশ্চিম তীর এলাকায় ইহুদি আবাসন বা আবাসিক ভবনের সংখ্যা ১২৮টি থেকে বেড়ে পৌঁছেছে ১৭৮টিতে। অর্থাৎ, শতকরা হিসেবে নেতানিয়াহুর আমলে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের হার বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সম্প্রচার সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২। সম্প্রতি ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটের স্পিকার আমির ওহানাসহ ১৪ জন মন্ত্রী পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলকৃত এলাকা আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কাছে চিঠি দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতেই এই সংবাদ প্রকাশ করল চ্যানেল ১২। স্পিকার আমির ওহানা এবং যে ১৪ জন মন্ত্রী চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন—সবাই লিকুদ পার্টির।

সরকারি তথ্যের বরাত দিয়ে চ্যানেল ১২-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘নতুন স্বীকৃত ৫০টি বসতির মধ্যে ১৯টি ইতমধ্যেই বিদ্যমান, সাতটি বর্তমানে চারণভূমি, ১৪টি মহল্লা এবং ১০টি এখনও কাগজে কলমে আছে।”

কয়েক ডজন নতুন বসতি স্থাপনের পাশাপাশি, পশ্চিম তীরে বিদ্যমান বসতিগুলিতে ভবন নির্মাণের হার গত আড়াই বছরে রেকর্ড ভেঙেছে বলেও জ উল্লেখ করে চ্যানেল ১২। ইসরায়েলি এই সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, গত আড়াই বছরে ৪১ হাজার ৭০৯টি নতুন অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে নেতানিহুর নেতৃত্বাধীন সরকার। নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগের ৬ বছরে পশ্চিম তীরে অ্যাপার্টমেন্ট স্থাপনের অনুমতি প্রদানের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে।

ইসরায়েলের কট্টরপন্থি নেতা মেইর দিউৎশ চ্যানেল ১২কে বলেছেন, এর আগে কোনো ইসরায়েলি সরকার পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকে এত উৎসাহিত করেনি।

“পশ্চিম তীর এলাকায় ডজন ডজন নতুন বসতি স্থাপনের ঘোষণা, অভাবনীয় গতিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, কৌশলগত সড়ক নির্মান এবং একের পর এক ফিলিস্তিনি ভবন ধ্বংস— এ সবের মূল লক্ষ্য আসলে পুরো পশ্চিম তীরে ইহুদিবাদী নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের প্রস্তাবকে কার্যকরভাবে নস্যাৎ করে দেওয়া”, বলা হয়েছে চ্যানেল ১২ এর প্রতিবেদনে।