প্রথম দিনের ট্রায়ালে মন ভরেনি কোচেচ প্যানেলের, বাছাই চলবে আরও দুদিন

- আপডেট সময় : ০২:০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
- / ৬৫ বার পড়া হয়েছে
প্রবাসী ফুটবলাদের নিয়ে প্রথম দিনের ট্রায়ালে মন ভরেনি ফুটবল কোচেচ প্যানেলের। সকাল-বিকাল দুই সেশনে ১৪ দেশের ৪৯ ফুটবলার নিয়ে চলে দুই সেশনের ট্রায়াল। বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে নিজের পকেটের পয়সায় এসেছেন বাংলাদেশে। যাদের বেশিরভাগই হামজা দেওয়ান চৌধুরী যে দেশে লিগ খেলেন সেই ইংল্যান্ডের। এক সাথে এতোগুলো প্রবাসী ফুটবলারের সমাবেশ বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে এবারই প্রথম। তিনদিন ট্রায়ালে এদের যাচাই বাছাই করা হবে।
এ সকল ফুটবলারদের পরখ করার তালিকায় ছিলেন বাফুফের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর সাইফুল বারী টিটু। জাতীয় দলের প্রধান কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা, ছা্ঈদ হাসান কানন,মিন্টু,রা। দিনশেষে কেমন দেখলেন অতি আগ্রহী এ সকল ফুটবলারদের? এ নিয়ে সোজা সাফটা উত্তর নেই কারো মুখে। তবে কেউ কেউ মনে করছেন সংখ্যার তুলনায় কোয়ালিটি খেলোয়াড়ের সংখ্যা কম।
হামজা,শমিত সোমরা যেভাবে একটি লেভেলে খেলেছেন,এদের কেউ নেই সেই তালিকায়। স্যোসাল মিডিয়ায় যেভাবে হাকডাক দেয়া হয়েছিলো,তাতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ এখান থেকেই বিশ্বকাপের সেরা একাদশ পেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কথায় আছে যত গর্জে তত বর্ষে না। ফূটবলারদের আগ্রহের সাথে পারফরম্যান্সের ততোটা মিল লক্ষণীয় হয়নি সাধারণ ফুটবল অনুরাগীদের চোখেও।
তবে শনিবার দিনভর ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে আগন্তকদের ভীড় ছিলো। সবাই এ সকল প্রবাসী ফুটবলারদের দেখতে স্টেডিয়ামে প্রধান ফটকের সামনে ভীড় জমায়। যদিও স্বাভাবিক পারফরম্যান্সের জন্য ক্লোসডোর ট্রায়াল করা হয়েছিলো। চার সেশন ট্রায়ালের পর সবাইকে ভাগ করে ম্যাচ খেলাবে বাফুফে। চূড়ান্ত বাছাই হবে ম্যাচ দেখেই।
এই ট্রায়াল থেকে বাফুফে কাউকে পাবে কি পাবে না সেটা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যাবে না। বাফুফের টেকনিক্যাল বিভাগ সবার ডাটা নিয়ে রাখবে, কোচিং প্যানেলের মন্তব্য নিয়ে রাখবে। তারপর প্রয়োজন হলে ডাকবে- আপাতত এই কৌশলেই হাঁটছে বাফুফে।
এখনি খেলোয়াড় নিয়ে মন্তব্য না করলেও কোচেচ প্যানেলের সবার কাছে পরিস্কার ভিন্ন পরিবেশে খেলতে আসা খেলোয়াড়দের মধ্যে জড়তা কাটেনি। একাধিক কোচ মনে করছেন এর মধ্যে কিছু প্রতিভাবান ফুটবলার রয়েছে। তবে সংখ্যার তুলনায় চোখে পড়ার মতো খুব কম ফুটবলারই খুঁজে পেয়েছেন বাফুফের কোচিং প্যানেলের সদস্যরা।
কোচিং প্যানেলের সদস্য ছাইদ হাছান কানন বলেছেন, ‘প্রথম দিন তো, তাই এখন বোঝা যায়নি। তাছাড়া গরম ছিল। ক্লান্তি ছিল। ওদের ফুটবল সেন্স ভালো। তবে ফিটনেসে একটু ঘাটতি ছিল বলে আমার মনে হয়েছে। ফিজিক্যাল কন্ডিশন আমার কাছে তেমন ভালো মনে হয়নি অনেকের। আমার মনে হয়, কিছু সময় লাগবে।’