দেশের ক্রিকেটকে স্থায়ীভাবে এগিয়ে নিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছুটছেন বুলবুল

- আপডেট সময় : ০২:৪৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
- / ৬১ বার পড়া হয়েছে
ঢাকার গেন্ডোরিয়ার ছেলে। নারায়ানগঞ্জ নদীর পাড়ে বহু ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছেন। খেলেছেন দেশের হয়ে সর্বোচ্চ লেবেলেও। অভিষেক টেস্টের প্রথম সেঞ্চুরিয়ানে খেতাবও রয়েছে তার নামের পাশে। সেই বুলবুল এখন দেশের ক্রিকেটের অভিবাবক। দেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হয়েছেন। তার আগে ছিলেন ফারুক আহমেদ। অন্তর্বর্তী কালীণ সরকারে বোর্ড সভাপতি হবার ভাগ্যটা খুলে যায়। যদিও এসেই ২৫তম টেস্ট উৎযাপনটি হয়েছে কলম্বো টেস্ট পরাজয় দিয়ে।
তবে এরে পিছনে যে তৃনমূল পর্যায়ে ক্রিকেট নেই সে শুন্যতা ছিলো লক্ষণীয়। তাই ওই জায়গা থেকে ক্রিকেটে উন্নয়ন ঘটাতে পারলে দেশের ক্রিকেট যে আর পিছনে তাকাতে হবে না সেটা একজন ক্রিকেটার হিসেবে অনুধাবন করেছেন বুলবুল। তাই বিসিবি’র প্রধান পদে বসে সারা বাংলাদেশ চুষে বেড়াচ্ছেন তিনি।
আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, দেশের ক্রিকেটকে প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে বিসিবি। যেন উপজেলা থেকে একজন ক্রিকেটার, সাধারণ মানুষ দাবি করতে পারে আই এম পার্ট অব বাংলাদেশ ক্রিকেট। আমরা সে লক্ষ্যে গোটা দেশে ছুটে বেড়াচ্ছি।
শনিবার (২৮ জুন) সকালে রংপুর ক্রিকেট গার্ডেন মাঠে ক্রিকেট কার্নিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের টেস্ট স্ট্যাটাসের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়।
আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা ঢাকা কেন্দ্রিক ক্রিকেট চাই না। আমি চাই না কেউ রংপুরের টিম, চট্টগ্রামের টিম ঢাকায় বসে করে দিক। রংপুরে একটা বিসিবি থাকবে, এখানে সিলেকশন কমিটি থাকবে তারা বিভিন্ন এজগ্রুপে সিলেকশনের কাজ করবে। রংপুরের ছেলে ও মেয়েদের একটি টিম থাকবে, যারা গোটা দেশের সঙ্গে লড়াই করে শিরোপা আনবে এবং পরবর্তীতে জাতীয় দলের জন্য কাজ করবে। আমরা ক্রিকেট ক্রেজিনেসকে ছড়িয়ে দিতে চাই। যেন রংপুরের খেলা দেখতে মানুষ রাজশাহীতে বাস ভরে চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, দেখেন আমরা পৃথিবীর সেরা ১২ দলের ভেতরে, আমরা সব সময় সাত-আট-নয়-দশের মধ্যে থাকি। কেন আমরা ১ নম্বর দল হতে পারবো না? কেন আমরা ১ নম্বর টেস্ট দল হতে পারব না। কেন আমরা ১ নম্বর টি-টোয়েন্টি দল হতে পারব না। এটা শুধু সময়ের ব্যাপার, আমাদের সবার একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এই বাচ্চারা যে এখন স্বপ্ন দেখছে এই স্বপ্নটাকে কিভাবে বাস্তবায়িত করতে পারি সেটা লক্ষ্য থাকবে। আপনাদের সহযোগিতা চাচ্ছি। আমরা এখানে কেউ স্থায়ী না, তবে দেশের ক্রিকেট যেন স্থায়ীভাবে এগিয়ে যায় সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।
ক্রিকেট গার্ডেনের আউটফিল্ড দেখে হতাশা প্রকাশ করে বোর্ড সভাপতি বলেন, ক্রিকেট মাঠের জন্য এমন আউটফিল্ড কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। এখানে আরও ভালো করার সুযোগ রয়েছে। এই মাঠে আমি নিজেই ফার্স্টক্লাস ক্রিকেট খেলেছি। আমি দুঃখিত, মাঠের বর্তমান অবস্থা দেখলাম, অনেক উন্নয়ন করার জায়গা রয়েছে। প্রতিভার কারণে এই মাঠ থেকে নাসির, শুভ, নাইম, সুমনারা উঠে এসেছে। প্রতিভা বিকশিত করার সুযোগ-সুবিধা দিলে এখান থেকে আরও বড় বড় প্রতিভাবান বের হবে। এখানে অবকাঠামো গড়তে সময় লাগবে, তবে এটি আমাদের অগ্রাধিকার থাকবে।