ঢাকা ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ড্রোন আর ক্ষেপনাস্ত্রে অগ্রাধিকার দিয়ে ৯০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বাজেট প্রস্তাবনা ট্রাম্পের

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৫০:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • / ৪৬ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই প্রতিরক্ষা বাজেটের উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কোন দেশই এর ধারে কাছে থাকে না। প্রতিবারের ন্যায় এবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা খাতে ৮৯৩ বিলিয়ন ডলারের বরাদ্দ চেয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই বাজেটে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ড্রোন ও ক্ষেপনাস্ত্র বাড়ানোতে। তারা এবার নজর কমিয়েছেন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের দিকে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী বছরের প্রতিরক্ষা বাজেটে সেনাদের বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি আরও উচ্চ প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন চান, একইসঙ্গে নৌবাহিনীর সদস্য সংখ্যা কমাতে এবং অর্থ সাশ্রয়ের জন্য কম জাহাজ এবং যুদ্ধবিমান কিনতে চান তিনি।

পরবর্তী অর্থবছরের জন্য ৮৯২.৬ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা বাজেটের অনুরোধ চলতি বছরের তুলনায় সমান। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তহবিলটি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে চীনা আগ্রাসন রোধ করতে এবং প্রতিরক্ষা শিল্প ঘাঁটি পুনরুজ্জীবিত করতে ব্যবহার করা হবে।

এছাড়া ট্রাম্পের গোল্ডেন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঢালের জন্য বেশিরভাগ বরাদ্দ একটি পৃথক বাজেটে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। ২০২৬ সালের বাজেটে লকহিড মার্টিন দ্বারা তৈরি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কম চেয়েছেন ট্রাম্প। এর আগে গত বছর বাজেটে ৬৮টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান চেয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। ২০২৬ অর্থবছরে সেই সংখ্য কমিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন মাত্র ৪৭টি যুদ্ধবিমানের প্রয়োজনীয়তা দেখিয়েছে।

তবে, বাজেটটি ইতোমধ্যেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, কারণ হাউস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস কমিটির প্রতিরক্ষা উপকমিটি খসড়া বিলে ২০২৬ অর্থবছরের জন্য ৬৯টি এফ-৩৫ যুক্ত করার কথা বলেছিল, যা বাইডেন প্রশাসনের থেকেও বেশি।

বাজেটে সেনাদের জন্য ৩.৮ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে, তবে জাহাজ এবং বিমানসহ পুরানো অস্ত্র সরানোর মাধ্যমে খরচ কমানো হয়েছে। কারণ পুরানো সমরাস্ত্রের পরিচালনা আরও ব্যয়বহুল। পরিকল্পনার অধীনে, নৌবাহিনী তার ৭ হাজার ২৮৬টি বেসামরিক কর্মচারী পদ কমিয়ে আনবে।

রয়টার্স বলছে, পেন্টাগন যুদ্ধাস্ত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র ব্যবস্থা ক্রয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বিমান বাহিনী জয়েন্ট এয়ার টু সারফেস স্ট্যান্ডঅফ মিসাইল-এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ এবং লং রেঞ্জ অ্যান্টি-শিপ মিসাইলে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে, যার পাল্লা দীর্ঘ এবং প্রশান্ত মহাসাগরে আরও কার্যকর হতে পারে। বাজেটে ছোট ড্রোনের জন্যও ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর কারণ ইউক্রেন যুদ্ধে এসব মনুষ্যবিহীন ও কম খরচের বিমানের অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন।

“ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট”-এর অন্তর্ভুক্ত ১৫০ বিলিয়ন ডলারের বিশাল প্রতিরক্ষা প্যাকেজে প্রতিরক্ষা ব্যয়ের অগ্রাধিকার নিয়ে রিপাবলিকানরা বিতর্ক করার সময় এই বিস্তারিত অনুরোধটি এসেছে। আইনটি ইতোমধ্যেই প্রতিনিধি পরিষদে পাস হয়েছে এবং ট্রাম্পের বিতর্কিত গোল্ডেন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঢালের জন্য প্রাথমিকভাবে ২৫ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পাবে। প্রতিরক্ষা ব্যয় সাধারণত মার্কিন বিবেচনামূলক বাজেটের প্রায় অর্ধেক হয়। বাকি অর্থ যায় পরিবহন, শিক্ষা, কূটনীতি এবং অন্যান্য বিভাগে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ড্রোন আর ক্ষেপনাস্ত্রে অগ্রাধিকার দিয়ে ৯০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বাজেট প্রস্তাবনা ট্রাম্পের

আপডেট সময় : ০২:৫০:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই প্রতিরক্ষা বাজেটের উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কোন দেশই এর ধারে কাছে থাকে না। প্রতিবারের ন্যায় এবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা খাতে ৮৯৩ বিলিয়ন ডলারের বরাদ্দ চেয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই বাজেটে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ড্রোন ও ক্ষেপনাস্ত্র বাড়ানোতে। তারা এবার নজর কমিয়েছেন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের দিকে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী বছরের প্রতিরক্ষা বাজেটে সেনাদের বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি আরও উচ্চ প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন চান, একইসঙ্গে নৌবাহিনীর সদস্য সংখ্যা কমাতে এবং অর্থ সাশ্রয়ের জন্য কম জাহাজ এবং যুদ্ধবিমান কিনতে চান তিনি।

পরবর্তী অর্থবছরের জন্য ৮৯২.৬ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা বাজেটের অনুরোধ চলতি বছরের তুলনায় সমান। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তহবিলটি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে চীনা আগ্রাসন রোধ করতে এবং প্রতিরক্ষা শিল্প ঘাঁটি পুনরুজ্জীবিত করতে ব্যবহার করা হবে।

এছাড়া ট্রাম্পের গোল্ডেন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঢালের জন্য বেশিরভাগ বরাদ্দ একটি পৃথক বাজেটে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। ২০২৬ সালের বাজেটে লকহিড মার্টিন দ্বারা তৈরি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কম চেয়েছেন ট্রাম্প। এর আগে গত বছর বাজেটে ৬৮টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান চেয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। ২০২৬ অর্থবছরে সেই সংখ্য কমিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন মাত্র ৪৭টি যুদ্ধবিমানের প্রয়োজনীয়তা দেখিয়েছে।

তবে, বাজেটটি ইতোমধ্যেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, কারণ হাউস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস কমিটির প্রতিরক্ষা উপকমিটি খসড়া বিলে ২০২৬ অর্থবছরের জন্য ৬৯টি এফ-৩৫ যুক্ত করার কথা বলেছিল, যা বাইডেন প্রশাসনের থেকেও বেশি।

বাজেটে সেনাদের জন্য ৩.৮ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে, তবে জাহাজ এবং বিমানসহ পুরানো অস্ত্র সরানোর মাধ্যমে খরচ কমানো হয়েছে। কারণ পুরানো সমরাস্ত্রের পরিচালনা আরও ব্যয়বহুল। পরিকল্পনার অধীনে, নৌবাহিনী তার ৭ হাজার ২৮৬টি বেসামরিক কর্মচারী পদ কমিয়ে আনবে।

রয়টার্স বলছে, পেন্টাগন যুদ্ধাস্ত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র ব্যবস্থা ক্রয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বিমান বাহিনী জয়েন্ট এয়ার টু সারফেস স্ট্যান্ডঅফ মিসাইল-এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ এবং লং রেঞ্জ অ্যান্টি-শিপ মিসাইলে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে, যার পাল্লা দীর্ঘ এবং প্রশান্ত মহাসাগরে আরও কার্যকর হতে পারে। বাজেটে ছোট ড্রোনের জন্যও ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর কারণ ইউক্রেন যুদ্ধে এসব মনুষ্যবিহীন ও কম খরচের বিমানের অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন।

“ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট”-এর অন্তর্ভুক্ত ১৫০ বিলিয়ন ডলারের বিশাল প্রতিরক্ষা প্যাকেজে প্রতিরক্ষা ব্যয়ের অগ্রাধিকার নিয়ে রিপাবলিকানরা বিতর্ক করার সময় এই বিস্তারিত অনুরোধটি এসেছে। আইনটি ইতোমধ্যেই প্রতিনিধি পরিষদে পাস হয়েছে এবং ট্রাম্পের বিতর্কিত গোল্ডেন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঢালের জন্য প্রাথমিকভাবে ২৫ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পাবে। প্রতিরক্ষা ব্যয় সাধারণত মার্কিন বিবেচনামূলক বাজেটের প্রায় অর্ধেক হয়। বাকি অর্থ যায় পরিবহন, শিক্ষা, কূটনীতি এবং অন্যান্য বিভাগে।