ইরানে হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলছে বিক্ষোভ

- আপডেট সময় : ১২:৩৬:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
- / ৪১ বার পড়া হয়েছে
ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের সঙ্গে তেহরানের চলমান সংঘাতের মধ্যেই মার্কিন বাহিনী এই হামলা চালায়। আর এই হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
দেশটির বহু শহরে রাস্তায় নেমে এসেছেন সাধারণ মানুষ। এমনকি আমেরিকান জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো বিমান হামলার বিরুদ্ধে রোববার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এদিন লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে নিউইয়র্ক পর্যন্ত বিভিন্ন শহরে রাস্তায় নেমে আসেন মার্কিন নাগরিকরা।
বিক্ষোভকারীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এই হামলা বড় পরিসরের যুদ্ধের সূচনা করতে পারে এবং দেশের ভেতরে চলমান সংকট থেকে নজর ঘুরিয়ে দিচ্ছে।
সিএনএন বলছে, লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের কেন্দ্রস্থলে ফেডারেল বিল্ডিংয়ের সামনে জড়ো হয়ে “ইরান থেকে হাত সরাও”, “যুদ্ধ নয়, চাই চাকরি ও শিক্ষা” স্লোগানে সরব হন অনেকেই। অনেক বিক্ষোভকারীই ইরানি বংশোদ্ভূত আমেরিকান।
এক তরুণ সিএনএনকে বলেন, “আমার পরিবার ইরানে আছে। তাদের শহর বোমাবর্ষণের শিকার হচ্ছে, তাই এটা আমার জন্য ব্যক্তিগত চিন্তার বিষয়।”
নিউইয়র্ক শহরের বিভিন্ন এলাকায়ও বিক্ষোভ হয়েছে। মিডটাউনে শতাধিক মানুষ মিছিল করেন “হ্যান্ডস অব ইরান” ও “মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যুদ্ধ নয়” লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে। আয়োজক ইভেট ফেলারকা বলেন, “এভাবে চলতে থাকলে বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে, যার ফলাফল হতে পারে পারমাণবিক ধ্বংসযজ্ঞ।”
অন্যদিকে রোববার বস্টন কমন পার্কে শতাধিক মানুষ সমবেত হন, পরে শহরের ভেতর দিয়ে সিটি হল পর্যন্ত মিছিল করেন তারা। অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাধারণ মানুষ যেখানে বাসাভাড়া, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন, সেখানে রাষ্ট্র কোটি কোটি ডলার ব্যয় করছে “অপ্রয়োজনীয়, বেআইনি ও ব্যয়বহুল যুদ্ধ” পরিচালনায়।
ম্যাসাচুসেটস পিস অ্যাকশন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ব্রায়ান গারভে বলেন, “বছরের পর বছর ধরে আমরা একই ভুল করছি।”
সান ফ্রান্সিসকো শহরেও শতাধিক মানুষ মার্কেট স্ট্রিট ধরে মিছিল করেন। বিক্ষোভকারীদের অনেকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তোলেন। মূলত নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, বিদেশে সামরিক সংঘাত থেকে সরে আসবেন তিনি।
ইরানি বংশোদ্ভূত অ্যাক্টিভিস্ট আর্দাভান আমিনি বলেন, “আমার আত্মীয়রা ইরানে। নিরাপত্তাই এখন বড় চিন্তা।”