দুই শতাধিক রান করা হলো না মুশফিকুর রহিমের। এলবিতে আউট হয়ে বিদায় নেন তিনি ব্যক্তিগত ১৬৩ রান সংগ্রহ করে। তার আউটের পরেই সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জেগে উঠা লিটন কুমার দাসও পারলেন না উইকেট আগলে রাখতে। যদিও তার আউট হওয়ার ধরনটি মোটেই গ্রহনযোগ্য মনে হয়নি। তিনি যেন আউট হওয়ার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। অথচ টেস্টে সেঞ্চুরির সুযোগ আসে কালেভদ্রে। লিটন নিজ হাতে ঝলাঞ্জলি দিলেন একটি বাজে রিভার্জশট খেলতে গিয়ে। একটি সতর্ক হলেই দশটি রান পূরণ হয়ে যেতো তার। পাশাপাশি ক্যারিয়ারে যুক্ত করতে পারতেন আরেকটি সেঞ্চুরী। এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত

বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ৪৭৫ রান সংগ্রহ করে। মুশফিক-লিটনের পর জাকের আলীও দ্রুত বিদায় নেন ৯ রান করে। ব্যাটিং করছে নাইমুল হাসান ৯ এবং তাজুল ইসলাম ১ রানে।

তবে ডাবল সেঞ্চুরি না হলেও এরই মধ্যেই নতুন এক রেকর্ড করে ফেলেছেন মুশফিক। তিন ফর্মেটে তিনি গিলক্রিস্টকে ছাড়িয়ে গেছেন। এই ইনিংস খেলার পথেই গিলক্রিস্টের ১৫ হাজার ৪৬১ রান ছাড়িয়ে গেছেন মুশফিক। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে মুশফিকের আন্তর্জাতিক রান এখন সাড়ে পনের হাজারের বেশি।

এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক (১২,৬৫৪ রান), এরপরই আছেন দুই ইংলিশ উইকেটকিপার ব্যাটার যথাক্রমে জস বাটলার (১১,৮৮১ রান) ও জনি বেয়ারস্টো (১১,৫৮১ রান)।

আজ বুধবার ৩ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ১৩৬ আর মুশফিকুর রহিম ১০৫ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেন।

ভক্ত-সমর্থকরা আশা করছিলেন শান্ত ২০০ রানের ইনিংস খেলতে পারবেন। মুশফিকও আশা করছিলেন সেটি। কিন্তু তাদের আশা পূরণ হয়নি।১৫০ রানের কাছাকাছি গিয়ে আউট হন শান্ত।

দ্বিতীয় দিনের সপ্তম ওভারে শ্রীলঙ্কার পেসার আসিথা ফার্নান্দোর বলে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন শান্ত। কিন্তু শর্টটি ভালো হয়নি। মিডঅফে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের হাতে ক্যাচ হয়ে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক।

২৭৯ বলে ১৪৮ রানের (১৫ চার ১ ছক্কায়) দারুণ এক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। এতে ভাঙে চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের ২৬৪ রানের অনবদ্য জুটি।
এরপর পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১১১ রানের জুটি করেন মুশফিক ও লিটন। এরপরই শুরু হয় বৃষ্টি।