মুশফিক-শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে স্বস্তিতে দিন পার করলো টিম বাংলাদেশ

- আপডেট সময় : ০৭:১২:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
- / ৪২ বার পড়া হয়েছে
গল টেস্টে মুশফিকুর রহিমের একটা সুখকর স্মৃতিছিলো প্রায় এক যুগ আগে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পর এসে একই মাঠে আবারও মুশফিকের ব্যাটে হাসির ঝিলিক। দলের বিপর্যয়ে হাল ধরেছেন। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে আড়াই শতাধিক রানের জুটি বেধে দলকে বড় স্কোরের পথ দেখাচ্ছেন। হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। ডাবল সেঞ্চুরিটা যেন অপেক্ষার পালা। তার আগে সেঞ্চুরির খাতায় নাম লিখিয়েছেন অধিনায়ক শান্ত। দু’জনের ব্যাটিংয়ে ভর করে বাংলাদেশ দিন শেষে ৩উইকেটে ২৯২ রানের যে স্কোরটা দাঁড় করিয়েছে, তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তির ঠেকুর তোলা যায়।
সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দু’জনের সামনেই এখন অপেক্ষা করছে ডাবল সেঞ্চুরি। তবে সে প্রাপ্তি হবে কিনা সময় বলে দিতে পারে। তার আগে বাংলাদেশের মিডল অডারে যে তারা প্রত্যাশিত রান তুলেছে, সেটাই যেন দিন শেষে অনেক বড় প্রাপ্তি। আগের দিন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত প্রত্যাশা দেখিয়েছিলেন মিডল অডারে তারা প্রত্যাশানুযায়ী খেলতে পারবেন। আজ মঙ্গলবার যেন তারই প্রতিফলন ঘটালেন। শান্ত-মুশফিক জুটিতে এসেছে ১৪৭ রান। শান্ত ১৩৬ আর মুশফিক ১০৫ রানে অপরাজিত আছেন।
তার আগে দিনের শুরুটা ছিলো হতাশার। মাত্র ৪৫ রানে দিনের প্রথম আলোতেই পড়ে যায় তিন উইকেট। টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। ধীর শুরু করেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম আর এনামুল হক বিজয়। ১০ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি বিজয়। আসিথা ফার্নান্ডোর বলে উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। সেট হয়ে আউট হন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। ৫০ বলে ১৪ রানে তার ইনিংস। উইকেট পান থারিন্ডু রত্নানায়েকে।
এরপর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলছিলেন মুমিনুল হক। কিন্তু আরও একবার ইনিংস বড় করতে না পারার হতাশায় ডুবতে হয় তাকে। ২৯ করে রত্নানায়েকের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
সেখান থেকে শান্ত আর মুশফিকের জুটি। টেস্টে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটলো নাজমুল হোসেন শান্তর। ২১ ইনিংস এবং প্রায় দেড় বছর পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সবশেষ ২০২৩ সালের নভেম্বরে সিলেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন শান্ত।
টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি শান্তর ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। এরপর সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মুশফিকও। যেটি তার ক্যারিয়ারের ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরি। প্রায় ১০ মাস পর সেঞ্চুরি পেয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।