ঢাকা ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চলে গেলেন মাঠের যোদ্ধা মোস্তফা মহসিন মন্টু, শোকাহত তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:২৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
  • / ৮৩ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং গনফোরামের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ এক শোক প্রস্তাবে বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মোস্তফা মোহসীন মন্টুর মৃত্যুতে এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হলো। তিনি ছিলেন এদেশের একজন সুপরিচিত রাজনীতিবিদ। স্বাধীনতা-সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধসহ জাতির নানা ক্রান্তিকালে তার অবদান ছিল অসামান্য। তার বিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত জনস্বার্থে খুবই কার্যকর হতো।

‘৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্যও তিনি দেশবাসীর কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’ তারেক রহমান মোস্তফা মোহসীন মন্টুর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার পরিবার-পরিজন ও শুভ্যানুধ্যায়ীদের সমবেদনা জানান।

এর আগে রোববার বিকেল পাঁচটায় মোস্তফা মহসিন মন্টু রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন।  ঢাকার কেরানীগঞ্জের নেকরোজবাগ মাঠে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় দ্বিতীয় জানাজা এবং জোহরের নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

পরে দুপুরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহ রাখার কথা। এরপর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে গণফোরামে নাম লেখানো বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

সত্তরের দশক থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় এই আওয়ামী লীগ নেতা ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত এই নেতা যুবলীগের চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

পরে ১৯৯২ সালে আওয়ামী লীগ থেকে বাদ পড়েন মন্টু। এর কিছুদিন পর আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে গণফোরাম গঠন করেন প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। পরে তার নেতৃত্বাধীন গণফোরামে যোগ দেন মন্টু।

২০০৯ সালে তিনি গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি গণফোরাম সভাপতি হিসেবে সক্রিয় ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-২ ও ৩ আসন থেকে গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে উদীয়মান সূর্য প্রতীকে এবং ঢাকা-৭ আসন থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চলে গেলেন মাঠের যোদ্ধা মোস্তফা মহসিন মন্টু, শোকাহত তারেক রহমান

আপডেট সময় : ১১:২৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং গনফোরামের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ এক শোক প্রস্তাবে বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মোস্তফা মোহসীন মন্টুর মৃত্যুতে এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হলো। তিনি ছিলেন এদেশের একজন সুপরিচিত রাজনীতিবিদ। স্বাধীনতা-সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধসহ জাতির নানা ক্রান্তিকালে তার অবদান ছিল অসামান্য। তার বিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত জনস্বার্থে খুবই কার্যকর হতো।

‘৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্যও তিনি দেশবাসীর কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’ তারেক রহমান মোস্তফা মোহসীন মন্টুর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার পরিবার-পরিজন ও শুভ্যানুধ্যায়ীদের সমবেদনা জানান।

এর আগে রোববার বিকেল পাঁচটায় মোস্তফা মহসিন মন্টু রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন।  ঢাকার কেরানীগঞ্জের নেকরোজবাগ মাঠে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় দ্বিতীয় জানাজা এবং জোহরের নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

পরে দুপুরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহ রাখার কথা। এরপর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে গণফোরামে নাম লেখানো বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

সত্তরের দশক থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় এই আওয়ামী লীগ নেতা ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত এই নেতা যুবলীগের চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

পরে ১৯৯২ সালে আওয়ামী লীগ থেকে বাদ পড়েন মন্টু। এর কিছুদিন পর আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে গণফোরাম গঠন করেন প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। পরে তার নেতৃত্বাধীন গণফোরামে যোগ দেন মন্টু।

২০০৯ সালে তিনি গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি গণফোরাম সভাপতি হিসেবে সক্রিয় ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-২ ও ৩ আসন থেকে গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে উদীয়মান সূর্য প্রতীকে এবং ঢাকা-৭ আসন থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন।