পরাজয়ে পোস্টমটেম : কোচকে দায়ী করলেন সাবেকরা, ভিতর-বাহিরে চরম অব্যবস্থাপনা

- আপডেট সময় : ১২:১৪:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
- / ৪৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ ফুটবলের ভরা মৌসুমের কথা বলতে গেলে এখনো সেই আশির দশকেরে কথা চলে আসে। শুধু জাতীয় দলের খেলাতেই নয়, লীগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে গ্যালারি ভর্তি দর্শক ছিলো। আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ শুরুর তিনদিন আগে থেকেই চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অফিস আদালত সর্বত্রে ফুটবল নিয়ে জমজমাট আলোচনা ছিলো। আলোচিত ফুটবলারদের মধ্যে ছিলেন আশরাফ উদ্দিন চুন্নু, গাফ্ফার, প্রয়াত বাদল রায়, সালাম মোর্শেদী, বড় কামাল,ছোট কামাল, রুমি, সাব্বির, জনি, কায়ছার হামিদ, মোনেম মুন্না, এমেলি, আলফাজ, মতিউর মুন্না প্রমুখ। যদিও ফুটবল ফেডারেশনের ব্যর্থতায় গত দুই তিন দশকে কালের গর্বে হারিয়ে যায় ফুটবল এবং সে সব অতীত।
২০২৫ সালে এসে এক হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমদের উপস্থিতিতে নতুন করে ফুটবলে জোয়ার ওঠার পথ তৈরি হয়। হামজা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল লিস্টার সিটি এবং শমিত সোম খেলেন কানাডিয়ান লিগে। বড় মাপের ক্লাব থেকে এই দুই ফুটবলার দেশের হয়ে খেলতে আসায় ফুটবল অনুরাগীদের মধ্যে নতুন করে স্বপ্ন তৈরি হয়েছে। তাদের প্রত্যাশা প্রবাসী ফুটবলারদের আগমনে দেশের ফুটবলের রংবদলাবে। এমন বিশ্বাস শুধু সাধারণ অনুরাগীদের মধ্যেই বিরাজ করেনি, সাবেক ফুটবলারদের মধ্যেও বিশ্বাস তৈরি হয়েছে।
কিন্তু সাবেক ওই ফুটবলারদের একটু সম্মানও দেয়া হয়নি। তাদেরকে সাধারণ গ্যালারিতে বসানো হয়েছে। যে সব গ্যালারিতে বসে এক সময় চুন্নু আর সাব্বিরদের নাম ধরে দর্শকরা চিৎকার করেছিলেন দর্শকরা। ফুটবল ফেডারেশনের অব্যবস্থাপনায় তাদের ঠাই হলো সেই সাধারণ গ্যালারিতে। বিষয়টি ছিলো অত্যন্ত দৃষ্টিকটু এবং অবহেলিত ও অপমান জনক। তেমন অভিযোগ সাব্বিরদের কাছ থেকেও উঠে এসেছে। সাবেক জাতীয় ফুটবলার রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির বলেন, ‘গতকাল নান্নু ভাইয়ের (ব্রাদার্সের সাবেক ফুটবলার) সঙ্গে বাজে আচরণ করা হয়েছিল। আমি এর প্রতিবাদ করায় আমার সঙ্গেও কথা কাটাকাটি হয়েছে। ফুটবল ম্যাচ দেখতে আমরা সাবেকরা এ রকম পরিস্থিতি প্রত্যাশা করি না মোটেও।’
আরেকটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশেই গুরুত্বপূর্ণ খেলায় সাবেক তারকাদের খেলার ফাঁকে ফাঁকে দেখানো হয়। এতে খেলার সৌন্দর্য্য আরো বাড়ে। গতকাল ফেডারেশন আমাদের যেখানে বসিয়েছে সেটার চেয়ে আরো সম্মান আমরা প্রাপ্য। গতকাল টিভিতে ফেডারেশনের দুই-একজনকেই কয়েকবার দেখা গেছে। যারা ফুটবলের সঙ্গে সেভাবে অতীতে কখনো সম্পৃক্ত ছিলেন না।’
দেশের অন্যতম প্রবীণ ফুটবলার শেখ আশরাফ আলী। তিনি আফসোস করে বলেন, ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের কয়েকজন ফুটবলার জীবিত রয়েছে। তাদের এই ম্যাচে দাওয়াত দিতে পারত এমনকি যারা সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলেছিল তাদেরও। পূর্ববর্তী প্রজন্মকে সম্মান প্রদর্শন করা উচিত।’
অথচ সাবেক ক্রিকেটারদের ভিআইসি গ্যালারিতে দেখা গেছে। তাদের যদি বসাতে পারে তাহলে সাবেক ফুটবলাররা নয় কেন। বাফুফে সভাপতি তাবিদ আওয়াল নিজেও ছিলেন একজন ফুটবলার। যদিও কখনোই সাব্বিরদের কাতারের ফুটবলার ছিলেন না। অথচ তিনি ফুটবলের প্রধান আসনে বসে সাবেক ফুটবলারদেরকেই বঞ্চিত করলেন।
বুধবার দিনভর এই আলোচনার পাশাপাশি সিংগাপুরের কাছে বাংলাদেশের ২-১ গোলে হেরে যাওয়ারও পোস্টমোটেম করা হয়। উচু মানের দুইজন তারকা ফুটবলারের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের এমন পরাজয়ে সকল দায় কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার উপর দিয়েছেন সাবেক ফুটবলাররা।
বাংলাদেশের অন্যতম কিংবদন্তী ফুটবলার সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির স্টেডিয়ামে বসে দেখেছেন। সাবেক এই তারকা ফুটবলারের পর্যবেক্ষণ, ‘সিঙ্গাপুর কোনো আহামরি দল ছিল না। আমাদের দলের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও পরিকল্পনা পরিষ্কার ছিল না। এই দু’টি বিষয় অবশ্যই কোচের ওপরই বর্তায়।’
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলি সরাসরি বললেন, ‘আমাদের দলের সামর্থ্য ছিল সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয়ের। উল্টো আমরা হেরেছি। এই দায় সম্পূর্ণরূপে কোচের। কারণ তার কৌশল-পরিকল্পনা যেমন ভুল তেমনি তার খেলোয়াড় নির্বাচন ও পরিচালনা পদ্ধতিও সঠিক ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোচের শুরু থেকে তিন পয়েন্টের অ্যাপ্রোচ দেখা যায়নি। যখন এক গোল বাংলাদেশ দিল এরপর তিনি জয়ের চেষ্টা করেছেন। অথচ যিনি গোল করলেন সেই ফরোয়ার্ড রাকিবকে তিনি রাইটব্যাক পজিশনে খেলালেন। যার যখন আরও বক্সে ভীতি ছড়ানোর কথা তখন তিনি রাইট ব্যাকে যা রীতিমতো অবিশ্বাস্য।’
সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও দেশের অন্যতম শীর্ষ কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টুও হতবাক কোচের এমন কাণ্ডে, ‘একজন খেলোয়াড় গোল করলেন সেই খেলোয়াড়কে কোন যুক্তিতে, কোন ট্যাকটিক্সে রাইট ব্যাক এটা আমার মোটেও বোধগম্য নয়। শুরু থেকেই খেলায় কোনো পরিকল্পনার ছাপ ছিল না।’
কানাডা জাতীয় ফুটবল দলে খেলা ফুটবলার শমিত সোমের গতকাল বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছে। সামিত গতকাল দুই অর্ধেই বেশ কয়েকটি ভালো বল সরবারহ করেছিলেন বক্সে। প্রকৃত স্ট্রাইকার না থাকায় শমিতের এত সুন্দর পাস থেকেও গোল আসেনি। এতেও কোচকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন এমিলি, ‘সুমন রেজা, আল আমিনের মতো জেনুইন স্ট্রাইকার রয়েছে। শমিত বক্সে খুব ভালো ডেলিভারি দিতে পারেন। এটা জেনেও কেন আমরা শুরু থেকে আল আমিন কিংবা সুমনকে ব্যবহার করিনি। বাংলাদেশ ৬৬ মিনিটে গোল করার দশ মিনিট পরে আল আমিনকে নামিয়েছেন কোচ। তখন আবার রাকিব রাইটব্যাকে। সব কিছুই এলেমেলো।’ এমিলির সঙ্গে অনেকটা একমত পোষণ করে মিন্টু বলেন, ‘শমিত কার্যকরি খেলোয়াড়। তাকে প্রয়োজনীয় বল সরবরাহ করতে হবে। শমিত পর্যন্ত বল পৌঁছানো নিয়েও কোনো পরিকল্পনা ছিল না।’
দাবার মতো বাংলাদেশের ফুটবলেও এখন নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন প্রথা চালু হয়েছে। মাঠের বাইরে সকল কিছুর জন্য অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। অথচ তাকে কোচ মাঠেই নামাননি। কালকের ম্যাচে জামালের প্রয়োজনীয়তা ছিল এমিলির দৃষ্টিতে, ‘কাল আমরা দ্বিতীয়ার্ধে ১০টি কর্নার পেয়েছি। জামাল কর্নার ও ফ্রি কিকে সবচেয়ে ভালো। যখন কোচ দেখলেন অনেক স্পট কিক হচ্ছে তখনও তিনি জামালকে নামাননি।’
জাতীয় দলের আরেক সাবেক তারকা ফুটবলার ও বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডানের কোচ আলফাজ আহমেদ ভুটানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের যৌক্তিকতা ও বাস্তবতা খুঁজে পাচ্ছেন না। তার মতে, ‘তাজউদ্দিন ঐ ম্যাচে অত্যন্ত ভালো খেলেছিলেন। অথচ তাকে এই ম্যাচে ব্যবহারই করলেন না। জামাল সেদিন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এই ম্যাচে তাকে অন্তত কিছু সময় খেলানোর প্রয়োজন ছিল।’ অগ্রজ আলফাজের সঙ্গে এমিলি এক সুরেই বললেন, ‘দলে প্রতিষ্ঠিত রাইটব্যাক তাজউদ্দিন রয়েছেন। কোচ সেখানে সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার শাকিল তপুকে শিফট রাইট ব্যাক খেলিয়েছেন। কাজেম মূলত মিডফিল্ডার তাকে আবার করেছেন রাইট উইং। ফলে কাজেমের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত পারফরম্যান্স আসেনি।’
গোলের খেলা ফুটবল। বাংলাদেশ দু’টি গোল হজম করেছে। এই দুই গোল হজমের পেছনে গোলরক্ষকের পাশাপাশি রক্ষণকেও দায় করছেন এমিলি, ‘দু’টি গোলেই মিতুল ঠিক মতো গ্রিপ করতে পারেননি। মিতুল মিস করার পরও কিন্তু দু’টি গোলের ক্ষেত্রে কিছু সময় পাওয়া গিয়েছিল। প্রথম গোলের ক্ষেত্রে দুই-তিন জনের কাছে বল ঘুরেছে। দ্বিতীয় গোলের সময় সিঙ্গাপুরের ফরোয়ার্ড বেশ কয়েক সেকেন্ড সময় পেয়েছেন। দুই ক্ষেত্রেই আমাদের ডিফেন্ডাররা প্রয়োজনীয় সময় পেলেও ঠিক মতো কাভার করতে পারেননি।’
আগামী ম্যাচগুলোর জন্য এটি বাংলাদেশের জন্য একটি শিক্ষণীয়। কারণ, এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের দুই ম্যাচের ফলাফল বাফুফেকে আরো পরিকল্পনা ও সংগঠিত হওয়ারই নির্দেশ দেয়। হামজা-শমিতরা বাংলাদেশের ফুটবলকে টেনে তুলবেন। সেই টেনে তুলতে হলে হামজাদের সতীর্থদের সামর্থ্যরেও উন্নতি ঘটাতে হবে। বাফুফেকে ঘরোয়া ফুটবলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি, তৃণমূল ফুটবল জোরদার করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন ও দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য অর্জনে এর কোনো বিকল্প নেই।
মাঠের বাহিরে চরম অবব্যস্থাপনা
মাঠের ভিতরের অব্যবস্থাপনার ন্যায় মাঠের বাহিরে ছিলো চরম অবব্যস্থাপনা। যা দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার জন্য শিক্ষণীয়। ফুটবলের প্রাণ হচ্ছে দর্শক। সেই দর্শকরা ফুটবলমুখো হয়েছেন। যা বাফুফের জন্য অত্যন্ত সুখকর দিক। দর্শকদের ফুটবলের সঙ্গে রাখার দায়িত্বটি এখন বাফুফের।
কিন্তু মঙ্গলবারের অভিজ্ঞতা অবশ্য সাধারণ দর্শকদের জন্য মোটেও সুখকর ছিল না। সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হয়ে খেলা রাত নয়টা পর্যন্ত চলেছে। অথচ বাফুফের নির্দেশনায় দর্শকরা দুপুর দু’টার পর থেকে গ্যালারিতে প্রবেশ করেছেন। তীব্র গরমে গ্যালারিতে দর্শকরা পানির তৃষ্ণায় পড়েছিলেন। সেখানে পানির সংকট ছিল চরম। অনেক দর্শকের অভিযোগ গরমের মধ্যে পানির বোতলও তারা গ্যালারিতে প্রবেশের সময় অনুমতি পায়নি।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে প্রথম হোম ম্যাচ। সেই হোম ম্যাচের আগে বাফুফে গতকাল কনসার্ট আয়োজন করেছিল কিছুক্ষণের জন্য। ঘরোয়া ফুটবলে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে এমন গান-বাজনার ঘটনা আগে কখনো হয়নি।
বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচকে কেন্দ্র করে বাফুফের ২-১ জন কর্মকর্তা অনেক হাইপ উঠিয়েছিলেন। তাদের ব্রেণচাইল্ডেই কনসার্ট। ফুটবলসংশ্লিষ্ট অনেকের মতে, ফুটবল ম্যাচের আগে এ রকম কনসার্ট একেবারে নিষ্প্রয়োজন।
দর্শকরা মাঠে আসলে পৃষ্ঠপোষক আকর্ষণ করবে। সেই দর্শকদের অনেকেই কাল ‘জিম্মি’ ছিলেন। তীব্র গরমে একে ছিল পানির সংকট আবার অতি তীব্র মূল্যের অভিযোগও করেছেন অনেকে। গ্যালারিতে পানির মূল নির্ধারণই বাফুফের করা উচিত ছিল। দর্শকদের ফুটবল ভালোবাসা, আবেগকে পুজি করে ব্যবসায়ের এমন উপলক্ষ্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলছে আলোচনার ঝড়।
বসুন্ধরা কিংস জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের ম্যাচ আয়োজন করেছিল বছর চারেক আগে। সেই ম্যাচে তারা দর্শকদের জন্য স্বল্প দামে পানি ও চিপসের ব্যবস্থা করেছিল। দর্শকরা বিমুখ হলে তখন পৃষ্ঠপোষকরা উল্টো পথে হাটার শঙ্কা বহুগুণে।
বাফুফে নিয়মিত স্টাফরাই বিগত সময়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করতেন। বড় খেলা/টুর্নামেন্ট হলে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তা ও কিছু ভলান্টিয়ার নিয়োগ করতেন সাময়িক।
বাফুফে এবার বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের জন্য বিভিন্ন সার্কুলার দিয়েছিল। এই ম্যাচ আয়োজনে একটি ইভেন্ট ম্যানেজম্যান্ট, নিরাপত্তা ও ক্লিনিং ম্যানেজম্যান্টের টেন্ডার আহ্বান করেছিল। স্ব স্ব বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়েছে বাফুফে। পেশাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার পরও কেন গ্যালারির পরিবেশ নোংরা, সামগ্রিক অব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত।
বাফুফে নির্বাহী কমিটির একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে বলেছেন, ‘এই ম্যাচের আগে দেখেছি অনেক টেন্ডার আহ্বান। যারা বিভিন্ন বিষয়ে কাজ পেয়েছে। তাদের কর্মকান্ড দৃশ্যমান সেভাবে হয়নি। অনেক ক্ষেত্রেই ভোগান্তি ও অব্যবস্থাপনা ছিল। নির্বাহী সভায় আমরা বিষয়গুলো জোরালোভাবে উপস্থাপন করব।’
টিকিট নিয়ে তেলসমতি
এবারই প্রথম বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন অন লাইনে টিকিট ছেড়েছে। কিন্তু টিকিট বিক্রিতে আধুনিকতা আনতে গিয়ে কালোবাজারির আরও বড় সুযোগ করে দিয়েছে। এক টিকিট দশবার বিক্রি করলেও দেখার কিছুই ছিলো না। অনলাইনের টিকিট সাধারনত মেশিনে সত্যতা যাচাই করা হয়। কিন্তু এখানে সেই ব্যবস্থাপনা ছিলো না বলে এক টিকিটে একাধিক লোক প্রবেশ করেছে। এছাড়া টিকিট নিয়ে ছিলো প্রচন্ড হাহাকার। স্টাইক হোল্ডার ক্লাব এবং খেলোয়াড়ারাই ঠিকমতো টিকিট পাননি। এমন অব্যবস্থাপনা আগে কখনোই দেখা যায়নি।