
- আপডেট সময় : ০৮:৫০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
- / ৪৫ বার পড়া হয়েছে
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের চড়াই উতরাই অনেক আগেই হয়ে গেছে। বাকি ম্যাচগুলো অনেকটা প্রস্তুতি ম্যাচে রুপ নিয়েছে। তাই হার-জিতে কিছু আসে যায় না আর্জেন্টিনার। কিন্তু দলটি যখন আর্জেন্টিনা তখন অন্য রকম একটা হাইপ থাকাই স্বাভাবিক নয় কি? সে কোন ম্যাচই হোক না কেন পরাজয় মেনে নেয়াটা কষ্টের। আজ তেমনিভাবে এক বিপদে প্রায় পড়েই গিয়েছিলো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলটি। কোপা আমেরিকার ফাইনাল জিতেছিল যে কলম্বিয়ার বিপক্ষে তাদের কাছেই ঘরের মাঠে জয় পাওয়া হয়নি আলবিসেলেস্তেদের।
এস্তাদিও মনুমেন্তালে বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোরের ম্যাচে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে আর্জেন্টিনা। দশজনের দল নিয়ে আর্জেন্টিনার এমন ড্র-কে মান বাঁচানোই বলতে হয়। ম্যাচের ২৪ মিনিটে লুইস দিয়াজের একক নৈপুণ্যের গোলে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। সেখান থেকে ম্যাচে ফিরতে সময় লেগেছে ৮০ মিনিট পর্যন্ত।
থিয়াগো আলমাদা ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া মাটি কামড়ানো এক শটে আর্জেন্টিনার মান রক্ষার গোল এনে দেন। এর আগেই অবশ্য আর্জেন্টিনা ব্যাকফুটে চলে যায় এনজো ফার্নান্দেজের লালকার্ডের কারণে। ৭০ মিনিটে করা ফাউলের কারণে সরাসরি লাল কার্ড দেখতে হয়েছিল তাকে।
কলম্বিয়ার বিপক্ষে এদিন অবশ্য আর্জেন্টিনার শুরুটাই ছিল নড়বড়ে। প্রথম ১৮ মিনিটে বল দখল আর্জেন্টিনার ছিল ৭৩ শতাংশের কাছাকাছি, তবে গোলে শট নেয়ার ক্ষেত্রে কলম্বিয়াই ছিল এগিয়ে। প্রথম গোলটাও পেয়েছিল তারাই। বামপ্রান্তে লুইস দিয়াজ বল পেয়ে একা ড্রিবল করে যান ডিবক্সের কাছাকাছি যেখানে মোট ৪ জনের জটলার মাঝে গোল করেন লিভারপুলে খেলা এই তারকা। দুর্দান্ত সেই গোলটা নিশ্চিতভাবেই অনেকদিন মনে রাখবেন কলম্বিয়ার সমর্থকরা।
ম্যাচের ৩০ মিনিটে অবশ্য আর্জেন্টিনা প্রায় সমতা ফিরিয়েই ফেলেছিল। কিন্তু বল জালে জড়ানোর পর রেফারি জানালেন অফসাইড সংকেত। বিরতির আগে আরও একাধিকবার চেষ্টা করেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু কলম্বিয়ার রক্ষণ তাদের হতাশ করেছে বারবার।
বিরতির পর ম্যাচে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে ভাল সুযোগ আসে ৬৩ মিনিটে। কিন্তু ভাল সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করেন এনজো ফার্নান্দেজ। তবে ৭০ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে বিপাকে পড়ে যায় আলবিসেলেস্তেরা। কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার কাস্তানোর মাথায় বুট দিয়ে আঘাত করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন চেলসি মিডফিল্ডার।
৭৭ মিনিটে লিওনেল মেসিকে তুলে নেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। এর মিনিট চারেকের মাথায় আর্জেন্টিনা পেয়ে যায় আরাধ্য গোলটা। বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে ড্র এনে দেন থিয়াগো আলমাদা। শেষ পর্যন্ত সেই গোলেই নির্ধারণ হয় ফল। ১-১ গোলে ড্রতেই সন্তুষ্ট হয়ে ফিরতে হয় দুই দলকে।