হামজার বার্তা, ক্যাবরেরার আক্ষেপ ও তৃপ্তি

- আপডেট সময় : ০১:৪৬:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
- / ৪৪ বার পড়া হয়েছে
নিজের জায়গায় শতভাগ খেলেছেন হামজা। কিন্তু দিনশেষে তিনি পরাজিত দলেরই সৈনিক। সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ। তবে এই পরাজয়ে হতাশ যেন না হয় দেশের ফুটবল প্রেমীরা সেই বার্তাই তিনি দিয়ে গেলেন।
হারের হতাশা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হামজা লিখেন, ‘আমরা যেমনটা চেয়েছিলাম,তা হয়নি! কিন্তু দল ও জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত হতে পারি!! আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে, কারণ এটা তো মাত্র শুরু। ইনশা আল্লাহ খুব শিগগিরই আমরা সেই জায়গায় পৌঁছাব, যেখানে পৌঁছাতে চাই! ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ। দেখা হবে অক্টোবরে।’
তিন পয়েন্টের আশায় নেমে এক পয়েন্টও জোটেনি বাংলাদেশের। তবে দুই গোল হজমের পর এক গোল শোধ করা আর শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করার মনোভাবে তৃপ্ত বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তাঁর আক্ষেপের জায়গাটা ভালো খেলেও তিন পয়েন্ট না পাওয়া।
কাবরেরা বলেন, ‘এমন ফল প্রত্যাশিত নয়। আমার মনে হয় সিঙ্গাপুরের শুরুটা ভালো ছিল। এক প্রাণশক্তিতে এবং দ্বিতীয়ত হাই প্রেসিংয়ে শুরু করে তারা। প্রথম ১৫-২০ মিনিটে আমরা কিছু ভুল করেছি। ওখানেই আমরা উদ্যম হারিয়ে ফেলেছি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে যা খেলেছি, তাতে আমাদের গর্ব করা উচিত।
দলের ফিনিশিং ভালো হলে চলে আসতে পারত দ্বিতীয় গোলও। এ কাবরেরা বলেন, ‘দ্বিতীয় অর্ধে ছেলেরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। আমি মনে করি, অন্তত একটা পয়েন্ট আমাদের প্রাপ্য ছিল। প্রতিপক্ষ তাদের সুযোগগুলো কাজে লাগিয়েছে।’
বাংলাদেশের হয়ে এটি হামজা চৌধুরীর তৃতীয় ম্যাচ। ২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে এবং ৪ জুন ঢাকায় ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে তাঁকে যতটা প্রাণবন্ত দেখা গেছে, এবার ততটা নয়।
বাংলাদেশ কোচের মতে, প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তাই এখানে বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে, ‘ভারত ওপরে খেলেছিল। তাই আমরা আক্রমণের জায়গা পেয়েছি। কিন্তু সিঙ্গাপুর আমাদের জায়গা দেয়নি। তাদের রক্ষণ জমাট ছিল।’ ভুটান ম্যাচের সঙ্গে তুলনা টেনে বাংলাদেশ কোচ বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষ ভুটানের চেয়ে শক্তিশালী। সে আগের ম্যাচে ভালো খেলেছে, আজও নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছে। কিছু ক্ষেত্রে খুব ভালো করেছে, কিছু ক্ষেত্রে হয়নি।’
বাংলাদেশ দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন রাকিব হোসেন। তার আগে মিসও করেছেন বেশ কয়েকটি। এই ফরোয়ার্ডকে স্ট্রাইকার হিসেবে না খেলিয়ে উইংয়ে খেলানো যায় কি না, এমন প্রশ্নে কাবরেরা বলেছেন, ‘সে অনেকটা রাইট উইং নিয়ে খেলেছে। আর আমার মতে সে–ই দলের সেরা স্ট্রাইকার। বক্সের মধ্যে আমাদের সেরা। কখনো কখনো সে রক্ষণে নেমে খেলেছে। অন্য কেউ স্ট্রাইকার হিসেবে খেললে কী করতে পারত, জানি না। বিশেষ করে কেউ যখন প্রতিপক্ষের বক্সে খুব একটা জায়গা না পায়।
ম্যাচের শেষ দিকে গ্যালারি থেকে দর্শক মাঠে বোতল ছুড়ে মেরেছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ দলের কোচ বলেছেন, ‘আমি ঘটনাটি দেখিনি। হ্যাঁ, তারা হতাশ হতেই পারে। তবে আমাদের পারফরম্যান্স ভিন্ন দিক দিয়েও দেখুন। আমরা একটি ভালো দলের বিপক্ষে খেলেছি। কিছু সময় আমরাই ওদের চেয়ে ভালো খেলেছি। এটা ঠিক, আমরা আরও ভালো খেলতে পারতাম।
ফাহিমকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন সিঙ্গাপুরের এক ডিফেন্ডার। বাংলাদেশ দল ফাউলের আবেদন করেছিল। কিন্তু সেটাতে ফাউল না দিয়ে রেফারি দেন কর্নারের নির্দেশ। বাংলাদেশ দল সেটাতে পেনাল্টি পেতে পারত কি না?
কাবরেরা বলেছেন, আমি দেখিনি ঠিক কী ঘটেছে। আবার ভিডিও দেখতে হবে। আমরা ওই সময় চাপ তৈরি করে খেলেছি। অলআউট আক্রমণে ছিলাম। একটা গোল করার পর দ্বিতীয় গোলটিও পেতে পারতাম। কিন্তু সেটি হয়নি।