ঢাকা ০১:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঘরের মাঠে হামজা-শমিতদের কষ্টের পরাজয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / ৫৮ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হামজা-শমিত সোমদের আগমনে ফুটবল জয়ের  স্বপ্নের ছবি এ্যঁকেছিলেন দেশের ফুটবল প্রেমীরা। ছিলো উত্তেজনা আর প্রত্যাশা চাপ। তাই তো দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছিলেন তারা রাজধানী শহরের রঙিন জাতীয় স্টেডিয়ামে। কিন্তু রাতটা রাঙানো হলো না। সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ। ঠিক দশ বছর আগেও একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে এসে সিঙ্গাপুর একই ব্যবধানের জয় নিয়ে ফিরে যায়। এবার এএফসি এশিয়া কাপের বাছাই পর্বের লড়াই ছিলো।

এতে চূড়ান্ত পর্বে ওঠার পথে কিছুটা এগিয়ে গেলো সিঙ্গাপুর। বাংলাদেশের পথটা অনেকটা পিচ্ছিল হয়ে গেলো। এই গ্রুপে সম্ভাবনার দ্বারে দাড়িয়ে হংকং ও সিঙ্গাপুর ৪ পয়েন্ট করে নিয়ে। বাংলাদেশ ও ভারত ১ পয়েন্ট করে নিয়ে তলানীতে। বাংলাদেশ এই ম্যাচটিতে ড্র করতে পারলেও উজ্জল সম্ভাবনা থাকতে পারত। কিন্তু প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তি যোগসূত্র ঘটাতে পারেনি বাংলাদেশ।

দর্শকদের বাধভাঙ্গা উচ্ছাস ছিলো সেই বেলা বারোটা থেকেই। লম্বা লাইন ধরে ফুটবল দেখতে আসা দৃশ্যটি কেবল অতীতটা মনে করিয়ে দিয়েছে। নারী-পুরুষ একই গ্যালারিতে পাশাপাশি বসে খেলা দেখলেন। সবার মুখে একটাই আওয়াজ  বাংলাদেশ।  কিন্তু তাদের সেই উত্তেজনায় পানি ঢেলে দিয়েছে সিঙ্গপুর। থমথমে উত্তেজনায় ঠাসা স্টেডিয়ামে নেমে পড়ে নিরবতা। রাতটা রঙিন হয়নি, কষ্টের হারে মাঠ ছাড়লেন হামজা-শমিতরা।

প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে প্রথম গোল এবং দ্বিতীয়ার্ধের তের মিনিটে দ্বিতীয় গোল গজম করে বাংলাদেশ। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে ৬৮ মিনিটের এক গোল পরিশোধ করে বাংলাদেশ। আর এই গোলটি করার পর বাংলাদেশের আক্রমন কয়েকগুন বেড়ে যায়। তাতে দুটি সুযোগও নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু প্রথমার্ধে সেভাবে জ্বলে ওঠতে দেখা যায়নি টিম টাইগারদের। রক্ষানাত্মক খেলতে গিয়ে যার খেসারতটা দিতে হলো গোল হজমের মধ্যদিয়ে। শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ফুটবল খেললে হয়ত পরাজয়টা দেখতে হতো না। কারণ তুলনা মূলক আক্রমনটা বেশি করেছিলেন হামজা-শমিতরাই, বিশেষ করে স্কোর লাইন ২-১ হওয়ার পর। আর শেষ ত্রিরিশ মিনিট একচ্ছত্র দাপট। কিন্তু সমতা সূচক গোলের দেখা মেলেনি। যোগ করা সময়ে একটি পেনাল্টির আবেদন জানালো রেফারির চোখ এড়িয়ে যায়। এরপর শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ক্রসবার।

সিঙ্গাপুর ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করে নবম মিনিটে। বামদিক থেকে হ্যারিস স্টুয়ার্টের লম্বা থ্রো-ইন এগিয়ে গিয়ে লুফে নিতে ব্যর্থ হন গোলরক্ষক মিতুল মারমা। বরং জর্ডান এমাভিউয়ের মাথা ছুঁয়ে বল চলে যায় দূরের পোস্টে। ফাঁকা জাল পেয়েও অরক্ষিত উই ইয়ং লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। ফলে বড় বাঁচা বেঁচে যায় বাংলাদেশ।

১৬তম মিনিটে প্রথমবারের মতো শট লক্ষ্যে রাখতে পারে স্বাগতিকরা। ডিফেন্ডার শাকিল আহাদ তপু প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জ সামলে ডানপ্রান্ত দিয়ে ক্রস করেন ডি-বক্সে। উইঙ্গার রাকিব স্লাইড করে কোনোমতে পা ছোঁয়ালেও বল অনায়াসে লুফে নেন গোলরক্ষক ইজওয়াদ মাহবুদ। পরের মিনিটে আবার ভীতি ছড়ায় সিঙ্গাপুর। ফান্ডির হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

৩১তম মিনিটে দুই প্রান্তে দুটি ভালো সুযোগ তৈরি হয়। বক্সের ভেতরে ফান্ডির কোণাকুণি শট অসাধারণ কায়দায় রুখে দেন মিতুল। এরপর দ্রুত পাল্টা আক্রমণে ওঠে বাংলাদেশ। কানাডা প্রবাসী মিডফিল্ডার শমিত সোম প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়কে দারুণভাবে এড়িয়ে দেন রক্ষণচেরা পাস। কিন্তু রাকিব নাগাল পাওয়ার আগেই পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে বল হাতে জমান মাহবুদ।

চার মিনিট পর উইঙ্গার ফাহামিদুল ইসলাম ফাউলের শিকার হলে ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড প্রবাসী মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর শট চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। কিছুক্ষণ বাদে অভিষেক শমিত আরেকটি অসাধারণ পাসে ফাহামিদুলকে খুঁজে নেন। তবে একজনকে কাটিয়ে তার নেওয়া ডান পায়ের শট হয় ব্লকড।

৪৪তম মিনিটে গোল হজম করে বসে স্বাগতিকরা। গোলরক্ষক মিতুল পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে বল ফিস্ট করলেও বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন। বরং তা ডানদিকে পেয়ে যান স্টুয়ার্ট। এরপর তিনি বামদিকে করেন ক্রস। ফাঁকায় থাকা মিডফিল্ডার উই ইয়ং কোণাকুণি শটে সিঙ্গাপুরকে এগিয়ে দেন। হামজা দূর থেকে দৌড়ে এসে গোল বাঁচানোর চেষ্টা করলেও পারেননি।

মিডফিল্ডার সৈয়দ শাহ কাজেম কিরমানির বদলে উইঙ্গার শাহরিয়ার ইমনকে নামিয়ে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে স্বাগতিকরা। কিন্তু ৫৯তম মিনিটে স্কোরলাইন ২-০ করে গোটা গ্যালারি স্তব্ধ করে দেন স্ট্রাইকার ফান্ডি। এই গোলেও দায় আছে মিতুলের। হামি শাহিনের জোরাল শট তিনি ফিস্ট করলে চলে যায় সামনে থাকা ফান্ডির পায়ে। অর্থাৎ বিপদমুক্ত করা যায়নি। ফান্ডির কোণাকুণি শট হৃদয়ের পায়ের ফাঁক দিয়ে দূরের পোস্ট হয়ে জড়ায় জালে।

আট মিনিট পর ভক্ত-সমর্থকদের মাঝে ফের প্রাণের সঞ্চার হয়। হামজা দেখান তার সামর্থ্য। তার রক্ষণচেরা পাস ধরে গড়ানো শট নেন রাকিব। সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষকের গায়ে লেগে বলের গতি কমে গেলেও শেষমেশ তা গোললাইন অতিক্রম করে। জাতীয় দলের জার্সিতে রাকিবের এটি পঞ্চম গোল।

এরপর থেকে বাংলাদেশ হয়ে ওঠে মরিয়া। প্রতিপক্ষের রক্ষণে হানা দিয়ে কর্নারের পর কর্নার আদায় করে নেয় তারা। ৮২তম মিনিটে টানা চারটি কর্নারে ভীতি তৈরি হলেও সেগুলো কাজে লাগানো যায়নি। এসবের আগে মাঠে প্রবেশ করেন তিন বদলি ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, শেখ মোরসালিন ও আল আমিন। বেরিয়ে যান ফাহামিদুল, শাকিল ও হৃদয়।

দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে আক্ষেপের পর আক্ষেপে পুড়তে হয় কাবরেরার দলকে। ডি-বক্সে উইঙ্গার ফাহিম ফাউলের শিকার হলেও পেনাল্টি দেননি রেফারি। এরপর তার জোরাল ভলি চলে যায় ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে। তারপর হামজার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। আর শেষ মুহূর্তে মিডফিল্ডার মোরসালিনের ক্রসে ডিফেন্ডার তারিক কাজীর হেড মাহবুদের গ্লাভস ছুঁয়ে ক্রসবারে লাগে। সঙ্গে সঙ্গেই বাজে নির্ধারিত সময়ের বাঁশি।

‘সি’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে হংকংয়ের মাঠে ১-০ গোলে হেরেছে ভারত। ফলে এখন ৪ পয়েন্ট করে অর্জন হংকং ও সিঙ্গাপুরের। বাংলাদেশ ও ভারতের নামের পাশে ১ পয়েন্ট করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঘরের মাঠে হামজা-শমিতদের কষ্টের পরাজয়

আপডেট সময় : ০১:০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

হামজা-শমিত সোমদের আগমনে ফুটবল জয়ের  স্বপ্নের ছবি এ্যঁকেছিলেন দেশের ফুটবল প্রেমীরা। ছিলো উত্তেজনা আর প্রত্যাশা চাপ। তাই তো দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছিলেন তারা রাজধানী শহরের রঙিন জাতীয় স্টেডিয়ামে। কিন্তু রাতটা রাঙানো হলো না। সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ। ঠিক দশ বছর আগেও একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে এসে সিঙ্গাপুর একই ব্যবধানের জয় নিয়ে ফিরে যায়। এবার এএফসি এশিয়া কাপের বাছাই পর্বের লড়াই ছিলো।

এতে চূড়ান্ত পর্বে ওঠার পথে কিছুটা এগিয়ে গেলো সিঙ্গাপুর। বাংলাদেশের পথটা অনেকটা পিচ্ছিল হয়ে গেলো। এই গ্রুপে সম্ভাবনার দ্বারে দাড়িয়ে হংকং ও সিঙ্গাপুর ৪ পয়েন্ট করে নিয়ে। বাংলাদেশ ও ভারত ১ পয়েন্ট করে নিয়ে তলানীতে। বাংলাদেশ এই ম্যাচটিতে ড্র করতে পারলেও উজ্জল সম্ভাবনা থাকতে পারত। কিন্তু প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তি যোগসূত্র ঘটাতে পারেনি বাংলাদেশ।

দর্শকদের বাধভাঙ্গা উচ্ছাস ছিলো সেই বেলা বারোটা থেকেই। লম্বা লাইন ধরে ফুটবল দেখতে আসা দৃশ্যটি কেবল অতীতটা মনে করিয়ে দিয়েছে। নারী-পুরুষ একই গ্যালারিতে পাশাপাশি বসে খেলা দেখলেন। সবার মুখে একটাই আওয়াজ  বাংলাদেশ।  কিন্তু তাদের সেই উত্তেজনায় পানি ঢেলে দিয়েছে সিঙ্গপুর। থমথমে উত্তেজনায় ঠাসা স্টেডিয়ামে নেমে পড়ে নিরবতা। রাতটা রঙিন হয়নি, কষ্টের হারে মাঠ ছাড়লেন হামজা-শমিতরা।

প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে প্রথম গোল এবং দ্বিতীয়ার্ধের তের মিনিটে দ্বিতীয় গোল গজম করে বাংলাদেশ। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে ৬৮ মিনিটের এক গোল পরিশোধ করে বাংলাদেশ। আর এই গোলটি করার পর বাংলাদেশের আক্রমন কয়েকগুন বেড়ে যায়। তাতে দুটি সুযোগও নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু প্রথমার্ধে সেভাবে জ্বলে ওঠতে দেখা যায়নি টিম টাইগারদের। রক্ষানাত্মক খেলতে গিয়ে যার খেসারতটা দিতে হলো গোল হজমের মধ্যদিয়ে। শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ফুটবল খেললে হয়ত পরাজয়টা দেখতে হতো না। কারণ তুলনা মূলক আক্রমনটা বেশি করেছিলেন হামজা-শমিতরাই, বিশেষ করে স্কোর লাইন ২-১ হওয়ার পর। আর শেষ ত্রিরিশ মিনিট একচ্ছত্র দাপট। কিন্তু সমতা সূচক গোলের দেখা মেলেনি। যোগ করা সময়ে একটি পেনাল্টির আবেদন জানালো রেফারির চোখ এড়িয়ে যায়। এরপর শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ক্রসবার।

সিঙ্গাপুর ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করে নবম মিনিটে। বামদিক থেকে হ্যারিস স্টুয়ার্টের লম্বা থ্রো-ইন এগিয়ে গিয়ে লুফে নিতে ব্যর্থ হন গোলরক্ষক মিতুল মারমা। বরং জর্ডান এমাভিউয়ের মাথা ছুঁয়ে বল চলে যায় দূরের পোস্টে। ফাঁকা জাল পেয়েও অরক্ষিত উই ইয়ং লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। ফলে বড় বাঁচা বেঁচে যায় বাংলাদেশ।

১৬তম মিনিটে প্রথমবারের মতো শট লক্ষ্যে রাখতে পারে স্বাগতিকরা। ডিফেন্ডার শাকিল আহাদ তপু প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জ সামলে ডানপ্রান্ত দিয়ে ক্রস করেন ডি-বক্সে। উইঙ্গার রাকিব স্লাইড করে কোনোমতে পা ছোঁয়ালেও বল অনায়াসে লুফে নেন গোলরক্ষক ইজওয়াদ মাহবুদ। পরের মিনিটে আবার ভীতি ছড়ায় সিঙ্গাপুর। ফান্ডির হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

৩১তম মিনিটে দুই প্রান্তে দুটি ভালো সুযোগ তৈরি হয়। বক্সের ভেতরে ফান্ডির কোণাকুণি শট অসাধারণ কায়দায় রুখে দেন মিতুল। এরপর দ্রুত পাল্টা আক্রমণে ওঠে বাংলাদেশ। কানাডা প্রবাসী মিডফিল্ডার শমিত সোম প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়কে দারুণভাবে এড়িয়ে দেন রক্ষণচেরা পাস। কিন্তু রাকিব নাগাল পাওয়ার আগেই পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে বল হাতে জমান মাহবুদ।

চার মিনিট পর উইঙ্গার ফাহামিদুল ইসলাম ফাউলের শিকার হলে ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড প্রবাসী মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর শট চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। কিছুক্ষণ বাদে অভিষেক শমিত আরেকটি অসাধারণ পাসে ফাহামিদুলকে খুঁজে নেন। তবে একজনকে কাটিয়ে তার নেওয়া ডান পায়ের শট হয় ব্লকড।

৪৪তম মিনিটে গোল হজম করে বসে স্বাগতিকরা। গোলরক্ষক মিতুল পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে বল ফিস্ট করলেও বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন। বরং তা ডানদিকে পেয়ে যান স্টুয়ার্ট। এরপর তিনি বামদিকে করেন ক্রস। ফাঁকায় থাকা মিডফিল্ডার উই ইয়ং কোণাকুণি শটে সিঙ্গাপুরকে এগিয়ে দেন। হামজা দূর থেকে দৌড়ে এসে গোল বাঁচানোর চেষ্টা করলেও পারেননি।

মিডফিল্ডার সৈয়দ শাহ কাজেম কিরমানির বদলে উইঙ্গার শাহরিয়ার ইমনকে নামিয়ে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে স্বাগতিকরা। কিন্তু ৫৯তম মিনিটে স্কোরলাইন ২-০ করে গোটা গ্যালারি স্তব্ধ করে দেন স্ট্রাইকার ফান্ডি। এই গোলেও দায় আছে মিতুলের। হামি শাহিনের জোরাল শট তিনি ফিস্ট করলে চলে যায় সামনে থাকা ফান্ডির পায়ে। অর্থাৎ বিপদমুক্ত করা যায়নি। ফান্ডির কোণাকুণি শট হৃদয়ের পায়ের ফাঁক দিয়ে দূরের পোস্ট হয়ে জড়ায় জালে।

আট মিনিট পর ভক্ত-সমর্থকদের মাঝে ফের প্রাণের সঞ্চার হয়। হামজা দেখান তার সামর্থ্য। তার রক্ষণচেরা পাস ধরে গড়ানো শট নেন রাকিব। সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষকের গায়ে লেগে বলের গতি কমে গেলেও শেষমেশ তা গোললাইন অতিক্রম করে। জাতীয় দলের জার্সিতে রাকিবের এটি পঞ্চম গোল।

এরপর থেকে বাংলাদেশ হয়ে ওঠে মরিয়া। প্রতিপক্ষের রক্ষণে হানা দিয়ে কর্নারের পর কর্নার আদায় করে নেয় তারা। ৮২তম মিনিটে টানা চারটি কর্নারে ভীতি তৈরি হলেও সেগুলো কাজে লাগানো যায়নি। এসবের আগে মাঠে প্রবেশ করেন তিন বদলি ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, শেখ মোরসালিন ও আল আমিন। বেরিয়ে যান ফাহামিদুল, শাকিল ও হৃদয়।

দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে আক্ষেপের পর আক্ষেপে পুড়তে হয় কাবরেরার দলকে। ডি-বক্সে উইঙ্গার ফাহিম ফাউলের শিকার হলেও পেনাল্টি দেননি রেফারি। এরপর তার জোরাল ভলি চলে যায় ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে। তারপর হামজার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। আর শেষ মুহূর্তে মিডফিল্ডার মোরসালিনের ক্রসে ডিফেন্ডার তারিক কাজীর হেড মাহবুদের গ্লাভস ছুঁয়ে ক্রসবারে লাগে। সঙ্গে সঙ্গেই বাজে নির্ধারিত সময়ের বাঁশি।

‘সি’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে হংকংয়ের মাঠে ১-০ গোলে হেরেছে ভারত। ফলে এখন ৪ পয়েন্ট করে অর্জন হংকং ও সিঙ্গাপুরের। বাংলাদেশ ও ভারতের নামের পাশে ১ পয়েন্ট করে।