সরকারি ছুটি শুরু হতেই কোরবানির হাঁট জমজমাট,বেড়েছে দামও

- আপডেট সময় : ১২:৩৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
- / ৪৪ বার পড়া হয়েছে
গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি ছিলো। বৃষ্টি ভেজা দিনে কোরবানীর হাটে ক্রেতাদের ততোটা ভীড় হতে দেখা যায়নি। আজ বুধবার সরকারি ছুটি হতেই বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েগেছে কয়েকগুন। জমে উঠেছে কোরবানির পশুরু হাঁটগুলো। আর সে সুযোগে বিক্রেতারাও দাম হাঁকাচ্ছেন আকাশ ছোয়া। সত্তর কেজি ওজেনের একটি গরুর মূল্য হাঁকানো হয়েছে এক লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা। অন্যদিকে পনের থেকে আঠার কেজি ওজনের একটি ছাগলের মূল্য হাঁকানো হচ্ছে পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা। আগের দু-তিনদিনের তুলনায় প্রায় দেড়গুন বেশি দাম হাঁকানো হচ্ছে।
বুধবার বিকেলে সরেজমিনে যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, দনিয়া ও রায়েরবাগের হাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা উপস্থিতি বেশ ভালো। যারা কোরবানির পশু কিনতে হাটে আসছেন তাদের অনেকে পছন্দের পশু কিনে ফিরছেন। রাত থেকে বেচাকেনা আরও জমে উঠবে বলে আশা করছেন হাট সংশ্লিষ্টরা।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও কোরবানির পশুর হাটে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আগামী দুদিন হাটে ক্রেতা আরও বাড়তে পারে। এদিন, বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতার পাশাপাশি উৎসুক মানুষেরা অনেকেই হাটে ভিড় করছেন। তারা হাট ঘুরে বিভিন্ন গরু দেখছেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের দরদাম শুনছেন। অতিরিক্ত দর্শনার্থীর কারণে কোথাও কোথাও কিছুটা গাদাগাদিও তৈরি হচ্ছে।
রাজধানীর হাটগুলোতে গত শনিবার দুপুরের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কোরবানির পশু আসতে শুরু করে। সোমবার পর্যন্ত গত তিনদিন বেচাকেনা তেমন ছিল না। সে তুলনায় আজ গরু-ছাগল বেশ বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাট সংশ্লিষ্টরা। ক্রেতাদের কারও কারও সঙ্গে কথা হলে তারাও এবার দরদাম নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।
দনিয়া ও যাত্রাবাড়ী হাটের নির্ধারিত স্থান রাস্তার দুই পাশ ও আশপাশের বাজার ছাড়িয়ে ত্রিপলের ছাউনি ও প্যান্ডেল টানিয়ে গরু-ছাগল রাখা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু নিয়ে আসা পাইকার, ব্যবসায়ী ও খামারিরা নিজেদের গরু এসব ছাউনির নিচে বেঁধে রেখেছেন। হাটে প্রবেশের মূল গেটে দেখা গেছে ক্রেতা সমাগম। কেউ পছন্দের গরু কিনে বাড়ি ফিরছেন, কেউ পশু কিনতে হাটে ঢুকছেন।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের পাশাপাশি উৎসুক জনতার ভিড়ও একেবারে কম নেই। হাট কমিটির পক্ষ থেকে বারবার সতর্কতা জারি করার পরও হাটে আসা দর্শকদের সরিয়ে নেওয়া যাচ্ছে না।
হাটগুলোতে ছোট ও মাঝারি আকারের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে ৪৫-৫০ হাজার থেকে শুরু করে দেড়-দুই-আড়াই লাখ টাকা দামের গরুও বিক্রি হচ্ছে। তবে যেসব গরুর দাম লাখ টাকার আশপাশে সেগুলোর চাহিদা বেশি দেখা গেছে।
রাজধানীর কদমতলীর মেরাজনগরের বাসিন্দা ইদ্রিস আলী। ঈদে কোরবানির জন্য দনিয়া পশুর হাট থেকে মাঝারি আকারের একটি গরু কেনেন তিনি। হাসিল আদায় কেন্দ্রের সামনে কথা হলে এই ক্রেতা বলেন, ‘বিক্রেতা ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দাম চেয়েছিলেন। গরুটি পছন্দ হওয়ায় ১ লাখ ২৫
হাজার টাকা দাম শুরু করি। পরে আরও বাড়িয়ে ১ লাখ ৪১ হাজার টাকায় বনিবনা হয়।
বাজার ঘুরে পাইকার ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শনিবার থেকে হাটে গরু-ছাগল আসা শুরু হলেও মঙ্গলবার টুকটাক বেচাকেনা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে বুধবার বেচাকেনা বেড়েছে। তবে বেচাকেনার পরিমাণ তুলনামূলক কম। পাইকাররা আশা করছেন, বৃহস্পতি ও শুক্রবার পশু বিক্রি বাড়বে।