বুধবার ভুটানের বিপক্ষে লড়াই, দৃষ্টি সবার ফাহমিদুলে,বাফুফে অপেশাদারিত্ব, জয়ের প্রত্যাশায় জামাল

- আপডেট সময় : ১২:২১:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
- / ৪৯ বার পড়া হয়েছে
ছবিতে মনে হতে পারে পাঠশালায় বিদ্যা পাঠ নিচ্ছেন ছাত্ররা। টেবিলে বসে থাকা শিক্ষকরা ছাত্রদের বিদ্যাজ্ঞান দিচ্ছেন। অবশ্য তেমন কিছু না। এটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগের প্রেস মিটের চিত্র। যে চিত্রটিই বলে দিচ্ছে আয়োজক বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পেশাদ্বারিত্ব কতোদূর।
কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে এতো মিডিয়া কর্মী তো আগে কখনোই দেখা যায়নি প্রেসমিটে! গণমাধ্যমের কর্মীদের সিংহভাগই এখন ব্যস্ত দেশের বাজেট আলোচনা-পর্যালোচনায় রিপোর্ট সংগ্রহে ব্যস্ত। ৭ লক্ষ্য ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট বলে কথা। অথচ তারই মধ্যে ফুটবল উত্তেজনায় ভাসছেন দেশের ক্রীড়ামোদী ফুটবল সমর্থকরা। তাদের এই উম্মাদনার অন্যতম কারণ, ইংলিশ প্রিমিয়ার খেলুড়ে হামজা চৌধুরী উপস্থিতি। তার আগমনে প্রবাসী বাংলাদেশী ফুটবলারদের সংখ্যাও বাড়ছে। যুক্ত হচ্ছেন কানাডিয়ান লিগ খেলুড়ে সোমিত সোম। ইতালির চতুর্থ বিভাগের লিগ খেলুড়ে ফাহমিদুল ইতিমধ্যে দলের অনুশীলনে আছেন। হামজা সঙ্গে আজ ভুটানের বিপক্ষে প্রস্তুতি মূলক ম্যাচেও অংশ নিবেন,এমন বার্তাই উড়ছে ফুটবলের আকাশে। বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হবে এই ম্যাচ।
বাংলাদেশ দলে পাঁচ প্রবাসী ফুটবলার
একদিকে হামজাদের বরণ করা ম্যাচ অন্যদিকে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে প্রস্তুতি মূলক। দেশের হয়ে জার্সি পরা হলেও দেশের মাটিতে হামজার এটিই অভিষেক। তাই হয়ত মাঠের লড়াইয়ের আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া জয়ের প্রত্যাশা অনেকটা বলিষ্ঠ। হোম ভেন্যুর সঙ্গে হামজার উপস্থিতিতে দলের মধ্যমাঠ বেশ শক্তিশালী হচ্ছে বলেই কথা। এখন আক্রমন ভাগে ফাহমিদুল কি করতে পারেন সে দিকেই থাকছে সবার দৃষ্টি।
হামজার পরীক্ষাটা দেয়ার মতো কিছু নেই। তিনি ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে দেখিয়েছেন নিজের জাত। তার উপস্থিতিতেই বাংলাদেশের ফুটবলেও উত্তেজনা বেড়ে যায় কয়েকগুন। বেড়ে যায় মিডিয়া কভারেজ। সে সঙ্গে স্পন্সর কোম্পানীর গুলোর কাছে বেড়ে যায় বাংলাদেশ ফূটবল ফেডারেশেনের কদর। এক সময় যেখানে স্পন্সরের পিছনে ছুটতে হতো এখন স্পন্সর কোম্পানীগুলো ভীড় করছেন টিভি রাইটস কিংবা আরো কিছু স্বত্ত্ব পাবার আশায়।
তবে ফাহমিদুল যদি প্রত্যাশার ন্যায় চমক দেখাতে পারেন, তাহলে আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে সেরা একাদশেও তাকে যে দেখা যাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাই সিঙ্গাপুরের দিকে চোখ রেখেই কোচ হ্যাভিয়ার কেবরাও ভুটান ম্যাচটিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
এই ভুটানের বিপক্ষেই বাংলাদেশ তাদের মাটিতে দুই ম্যাচের একটিতে জয় ও অন্যটিতে পরাজিত হয়েছিলো। এবার নিজেদের ঘরের মাঠে জামাল ভুইয়ার জয়ের প্রত্যাশাটা অনেক বেশি। ঘরের মাঠে দল হিসেবে আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী বাংলাদেশ।
তবে এমন একটি হাইফ তোলা ম্যাচের আগে মিডিয়া কর্মীদের ভীড় ছিলো রেকর্ড পরিমান। যা দেখে জামাল ভুঁইয়া নিজেও অবাক বনে গেলেন, এতো সাংবাদিক আগে কখনো দেখিনি।’ ফ্লোরে বসে প্রায় শতাধিক মিডিয়া কর্মী প্রেস মিট কভার করেছে যা কিনা আয়োজক বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পেশাদ্বারিত্ব মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠাই স্বাভাবিক। ম্যাচের হাইফ বুজে যারা দুই মাস আগেই চড়া দামে ম্যাচের টিকিট বিক্রি করতে পারে তারা মিডিয়া কর্মীদের বসার আসনও ঠিক করতে পারেনা তা সত্যিকার অর্থে ছিলো দৃষ্টি কটু। মিডিয়া কর্মীদের এমন দৃশ্যপটে অধিনায়ক জামাল ভুইয়াকেও কষ্ট দিয়েছে। যা তিনি প্রকাশও করেছেন,বাফুফে আরও চেয়ারের ব্যবস্থা করতে পারতো। মিডিয়া ভাইদের জন্য আমার খুব কষ্ট লাগছে।’
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলেও ভুটানের বিপক্ষে লড়াইকে হালকা করে দেখছেন না জামাল ভূঁইয়া। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সেরাটা দিয়ে জয় তুলে নেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন।
ভুটান ম্যাচের পর একই ভেন্যুতে ১০ জুন এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে নামার আগে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভুটানকে মোকাবিলা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। লাল-সবুজ জার্সিধারীদের জন্য এটি নিজেদের শক্তি-দুর্বলতা পরখ করার সুবর্ণ সুযোগ।
জামাল বলেন, , ‘১০ তারিখ (জুন) আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তবে ভুটানের বিপক্ষে কালকের ম্যাচও গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই আমরা আমাদের সেরাটা দেব। তবে এখন আমাদের মূল মনোযোগ হচ্ছে কালকের ম্যাচে, জিততে হবে।’
ভুটানের বিপক্ষে বিগত দুই ম্যাচের চিত্র টানতে গিয়ে জামাল বলেন, , এখন চিত্রটা ভিন্ন, ‘সবশেষ আমরা যখন ভুটানের বিপক্ষে খেলেছি, তখনকার আর এখনকার অবস্থাটা ভিন্ন। ওই ম্যাচের আগে আমাদের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই প্রায় ৩-৪ মাস ধরে খেলার মধ্যে ছিল না। এখন প্রিমিয়ার লিগ মাত্র শেষ হয়েছে, তো সবাই খেলার মধ্যে আছে।’