ইশরাকের কঠোর হুঁশিয়ারি,ঈদের পর ফের আন্দোলন

- আপডেট সময় : ১২:৪৯:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
- / ৪৩ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে মেয়র পদে ইশরাক হোসেনকে শপদ পড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছে ঢাকা বাসী। আপাতত সেই আন্দোলন স্থগিত রাখা হয়েছে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে। তবে এরপরেই কঠোর আন্দোলনের হুঙ্কার দিয়েছেন ইশরাকে হোসেন। তিনি পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন, হয় শপদ পড়ান, তা না হয় ঢাকা বাসী নিজেরাই তাদের মেয়রকে শপদ বাক্য পাঠ করাবেন। এর ব্যতিরেকে কাউকে দিয়ে সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা করতে দেয়া হবে না বলে তিনি হুঙ্কার দিয়েছেন। তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে দাবি আদায় না হলে আবারও আন্দোলন করা হবে। এ আন্দোলন হবে আরও কঠোর।
মঙ্গলবার দুপুরের পর ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি। আন্দোলন স্থগিত করায় ঈদের আগে বুধবার (৪ জুন) নগর ভবনের তালা খুলতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
নগর ভবনে বহিরাগতদের ঠাঁই হবে না হুঁশিয়ারি দিয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, মেয়রের চেয়ারে কে বসবেন তা নির্ধারণ করবেন ঢাকা দক্ষিণের বাসিন্দারা। একই সঙ্গে ঈদকে সামনে রেখে আজ থেকে আন্দোলন স্থগিতের কথাও জানান ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, দাবি আদায় না হলে এ ছুটির পর আবারও আন্দোলন করা হবে। এ আন্দোলন হবে আরও কঠোর।
তিনি বলেন, এ নগর ভবনে কোনো বহিরাগত প্রশাসক ও কোনো উপদেষ্টা প্রবেশ করতে পারবেন না। ঈদে নগরবাসীর সেবা নিশ্চিত করা ও জনগণের ভোগান্তি বিবেচনায় নিয়ে আপাতত কর্মসূচি শিথিল করা হয়েছে। সরকার এর মধ্যে শপথগ্রহণের ব্যবস্থা করে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিলে জনগণই তাদের মেয়রকে শপথ পড়িয়ে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র পদে নির্বাচন হয় ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। সেই নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন ইশরাক হোসেন। সে বছরেরই ৩ মার্চ নির্বাচনে অনিয়মের-জালিয়াতির অভিযোগ তুলে মামলা করেন ইশরাক হোসেন। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মেয়র পদ থেকে শেখ ফজলে নূর তাপসকে অপসারণ করে সরকার।
অন্যদিকে, চলতি বছরের ২৭ মার্চ একটি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ইশরাক হোসেনকে গত সিটি নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এরপর ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে ইসি। তবে বিভিন্ন কারণ এবং আইনি জটিলতা সামনে আশায় এখনো তাকে শপথ পড়ায়নি স্থানীয় সরকার বিভাগ। এর প্রতিবাদে গত ১৪ মে থেকে নগর ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করছেন ইশরাক ও তার অনুসারীরা।
গত রোববার (১ মে) নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণার বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা হাতে পেলে সে অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আদালতের রায় বা নির্দেশনার কপি হাতে পায়নি ইসি।