ঢাকা ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কালো টাকা সাদা করা সংবিধান পরিপন্থী : টিআইবি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৫৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • / ৪৫ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রাখায় নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারের এ সিদ্ধান্তকে ‘রাষ্ট্রীয় সংস্কার, বিশেষ করে দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারের মূল উদ্দেশ্যের সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী’ বলে আখ্যা দিয়েছে টিআইবি। টিআইবির মতে, এই সিদ্ধান্ত ‘অনৈতিক, বৈষম্যমূলক ও সংবিধান পরিপন্থী’।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যেভাবেই ব্যাখ্যা করা হোক না কেন, এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, রাষ্ট্র সংস্কার—বিশেষ করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্কারের মূল উদ্দেশ্যকে রীতিমতো উপেক্ষা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একইসঙ্গে, দুর্নীতিকে উৎসাহ দিয়ে রিয়েল এস্টেট লবির ক্ষমতার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।’

সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে বলা হয়েছে রাষ্ট্র অনুপার্জিত আয় অবৈধ নিশ্চিত করবে।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালকের মতে, কালো টাকা সাদা করার এই সুযোগ আবাসন খাতে অবৈধ অর্থের মালিকদের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে এবং সৎ উপার্জনকারীদের বঞ্চিত করবে।

সরকারের এই সিদ্ধান্ত দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে বলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টিআইবি। কালো টাকা সাদা করার এই ‘দুর্নীতিবান্ধব সুযোগ’ চিরতরে বাতিল করার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কালো টাকা সাদা করা সংবিধান পরিপন্থী : টিআইবি

আপডেট সময় : ০২:৫৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রাখায় নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারের এ সিদ্ধান্তকে ‘রাষ্ট্রীয় সংস্কার, বিশেষ করে দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারের মূল উদ্দেশ্যের সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী’ বলে আখ্যা দিয়েছে টিআইবি। টিআইবির মতে, এই সিদ্ধান্ত ‘অনৈতিক, বৈষম্যমূলক ও সংবিধান পরিপন্থী’।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যেভাবেই ব্যাখ্যা করা হোক না কেন, এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, রাষ্ট্র সংস্কার—বিশেষ করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্কারের মূল উদ্দেশ্যকে রীতিমতো উপেক্ষা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একইসঙ্গে, দুর্নীতিকে উৎসাহ দিয়ে রিয়েল এস্টেট লবির ক্ষমতার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।’

সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে বলা হয়েছে রাষ্ট্র অনুপার্জিত আয় অবৈধ নিশ্চিত করবে।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালকের মতে, কালো টাকা সাদা করার এই সুযোগ আবাসন খাতে অবৈধ অর্থের মালিকদের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে এবং সৎ উপার্জনকারীদের বঞ্চিত করবে।

সরকারের এই সিদ্ধান্ত দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে বলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টিআইবি। কালো টাকা সাদা করার এই ‘দুর্নীতিবান্ধব সুযোগ’ চিরতরে বাতিল করার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।