ঢাকা ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মহাকাশ গবেষণায় বিস্ময়কর আবিষ্কার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / ৪৬ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মহাকাশে রহস্যময় সংকেত, বিজ্ঞানীরা হতবাক।  বিস্ময়কর আবিষ্কারটি হচ্ছে,যা ৪৪ মিনিট পরপর মাত্র দুই মিনিটের জন্য একসঙ্গে রেডিও তরঙ্গ ও এক্স-রে বিকিরণ (তীব্র শক্তিসংকেত)। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এমন বন্তু শনাক্ত করেছেন।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এমন এক বস্তু শনাক্ত করেছেন, যা ৪৪ মিনিট পরপর মাত্র দুই মিনিটের জন্য একসঙ্গে রেডিও তরঙ্গ ও এক্স-রে বিকিরণ (তীব্র শক্তিসংকেত) ছড়াচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমন আচরণ আগে কখনও দেখা যায়নি।

ASKAP J1832-0911 নামের এই বস্তু প্রথম শনাক্ত হয় অস্ট্রেলিয়ার স্কয়ার কিলোমিটার অ্যারে পাথফাইন্ডার (ASKAP) রেডিও টেলিস্কোপে। পরে নাসার চন্দ্রা এক্স-রে মানমন্দির (মহাকাশে এক্স-রে বিশ্লেষণের টেলিস্কোপ) এর মাধ্যমে এই আবিষ্কার নিশ্চিত করা হয়।

সম্প্রতি ‘নেচার’ সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, এই বস্তুটি খুবই অস্বাভাবিক। প্রতি ৪৪ মিনিটে মাত্র দুই মিনিট ধরে এটি শক্তি ছড়ায়, যা এখন পর্যন্ত পরিচিত কোনো মহাজাগতিক বস্তুর আচরণের সঙ্গে মেলে না।

গবেষণা দলের প্রধান ও অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অ্যান্ডি ওয়াং বলেন, এটা একেবারেই ভিন্ন ধরনের কিছু। আমাদের দেখা অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে এর মিল নেই।

ASKAP J1832-0911-কে বৈজ্ঞানিকভাবে ‘লং-পিরিয়ড ট্রানজিয়েন্ট’ (LPT) নামে অভিহিত করা হয়েছে—যার মানে হচ্ছে এমন এক বিরল মহাজাগতিক উৎস যা দীর্ঘ সময় বিরতি দিয়ে শক্তি নিঃসরণ করে।

গবেষকদের অনুমান, এটি হতে পারে ম্যাগনেটার—অর্থাৎ মৃত কোনো নক্ষত্রের চৌম্বকীয় অবশেষ। আবার কেউ কেউ বলছেন, এটি একটি ‘হোয়াইট ডোয়ার্ফ’ (নির্জীব ও ক্ষুদ্র নক্ষত্র)-এর সঙ্গে জোড়া হয়ে থাকা দুটি তারার একটি। তবে এখনো স্পষ্ট নয়, বস্তুটি আসলে কী এবং এই সংকেত কী কারণে আসছে।

গবেষক ওয়াং জানান, “আমরা কয়েকটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা পেয়েছি বটে, কিন্তু সেগুলোও পুরোপুরি মেলেনা। মনে হচ্ছে এটি হয় নতুন কোনো মহাজাগতিক প্রকৃতি, নয়তো নক্ষত্রজগতের এখনো অজানা এক ধাপ।”

গবেষক দল আশা করছে, ভবিষ্যতে রেডিও ও এক্স-রে টেলিস্কোপের যুগ্ম বিশ্লেষণের মাধ্যমে এমন আরও বস্তু খুঁজে পাওয়া যাবে, যা এই ধরনের রহস্যময় আচরণের কারণ ব্যাখ্যায় সহায়তা করবে।

এই আবিষ্কার এমন সময় এলো, যখন মহাকাশ গবেষণায় একের পর এক নতুন তথ্য উঠে আসছে। চলতি মাসের শুরুতেই এক্সোপ্ল্যানেটে (সূর্যের বাইরে অন্য নক্ষত্রের চারপাশে ঘোরে এমন গ্রহ) প্রাণের সম্ভাব্য সংকেত পাওয়া যায়, যা বিজ্ঞানীদের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মহাকাশ গবেষণায় বিস্ময়কর আবিষ্কার

আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

মহাকাশে রহস্যময় সংকেত, বিজ্ঞানীরা হতবাক।  বিস্ময়কর আবিষ্কারটি হচ্ছে,যা ৪৪ মিনিট পরপর মাত্র দুই মিনিটের জন্য একসঙ্গে রেডিও তরঙ্গ ও এক্স-রে বিকিরণ (তীব্র শক্তিসংকেত)। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এমন বন্তু শনাক্ত করেছেন।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এমন এক বস্তু শনাক্ত করেছেন, যা ৪৪ মিনিট পরপর মাত্র দুই মিনিটের জন্য একসঙ্গে রেডিও তরঙ্গ ও এক্স-রে বিকিরণ (তীব্র শক্তিসংকেত) ছড়াচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমন আচরণ আগে কখনও দেখা যায়নি।

ASKAP J1832-0911 নামের এই বস্তু প্রথম শনাক্ত হয় অস্ট্রেলিয়ার স্কয়ার কিলোমিটার অ্যারে পাথফাইন্ডার (ASKAP) রেডিও টেলিস্কোপে। পরে নাসার চন্দ্রা এক্স-রে মানমন্দির (মহাকাশে এক্স-রে বিশ্লেষণের টেলিস্কোপ) এর মাধ্যমে এই আবিষ্কার নিশ্চিত করা হয়।

সম্প্রতি ‘নেচার’ সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, এই বস্তুটি খুবই অস্বাভাবিক। প্রতি ৪৪ মিনিটে মাত্র দুই মিনিট ধরে এটি শক্তি ছড়ায়, যা এখন পর্যন্ত পরিচিত কোনো মহাজাগতিক বস্তুর আচরণের সঙ্গে মেলে না।

গবেষণা দলের প্রধান ও অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অ্যান্ডি ওয়াং বলেন, এটা একেবারেই ভিন্ন ধরনের কিছু। আমাদের দেখা অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে এর মিল নেই।

ASKAP J1832-0911-কে বৈজ্ঞানিকভাবে ‘লং-পিরিয়ড ট্রানজিয়েন্ট’ (LPT) নামে অভিহিত করা হয়েছে—যার মানে হচ্ছে এমন এক বিরল মহাজাগতিক উৎস যা দীর্ঘ সময় বিরতি দিয়ে শক্তি নিঃসরণ করে।

গবেষকদের অনুমান, এটি হতে পারে ম্যাগনেটার—অর্থাৎ মৃত কোনো নক্ষত্রের চৌম্বকীয় অবশেষ। আবার কেউ কেউ বলছেন, এটি একটি ‘হোয়াইট ডোয়ার্ফ’ (নির্জীব ও ক্ষুদ্র নক্ষত্র)-এর সঙ্গে জোড়া হয়ে থাকা দুটি তারার একটি। তবে এখনো স্পষ্ট নয়, বস্তুটি আসলে কী এবং এই সংকেত কী কারণে আসছে।

গবেষক ওয়াং জানান, “আমরা কয়েকটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা পেয়েছি বটে, কিন্তু সেগুলোও পুরোপুরি মেলেনা। মনে হচ্ছে এটি হয় নতুন কোনো মহাজাগতিক প্রকৃতি, নয়তো নক্ষত্রজগতের এখনো অজানা এক ধাপ।”

গবেষক দল আশা করছে, ভবিষ্যতে রেডিও ও এক্স-রে টেলিস্কোপের যুগ্ম বিশ্লেষণের মাধ্যমে এমন আরও বস্তু খুঁজে পাওয়া যাবে, যা এই ধরনের রহস্যময় আচরণের কারণ ব্যাখ্যায় সহায়তা করবে।

এই আবিষ্কার এমন সময় এলো, যখন মহাকাশ গবেষণায় একের পর এক নতুন তথ্য উঠে আসছে। চলতি মাসের শুরুতেই এক্সোপ্ল্যানেটে (সূর্যের বাইরে অন্য নক্ষত্রের চারপাশে ঘোরে এমন গ্রহ) প্রাণের সম্ভাব্য সংকেত পাওয়া যায়, যা বিজ্ঞানীদের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।