কোরবানির গরুর হাটে চড়া দাম, বেচা কম, যাচাই করছেন ক্রেতারা

- আপডেট সময় : ০১:৩০:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
- / ৪৩ বার পড়া হয়েছে
কোরবানীর পশুরু হাঁট বসে গেছে রাজধানী ঢাকায়। চারিদিকে মাইকের আওয়াজ ভেসে আসছে হাঁট হাঁট বিরাট গরু ছাগলের হাঁট। শাহজাহানপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায় চড়া দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতেরা। ক্রেতাদের সিংহভাগ যাচাই করে চলেছেন। কেউ বলছেন গেলো বছরের চেয়ে এবার বেশি দাম হাাঁকানো হচ্ছে। দাম কমাচ্ছে না বিক্রেতেরা।
এদিন অনবরত বৃষ্টি ছিলো ঢাকায়। এই ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কোরবানির পশু নিয়ে নওগাঁ থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বছিলা হাটে এসেছেন মনতাজ উদ্দিন। শুক্রবার সকালে ২২টি গরু নিয়ে ঢাকায় আসেন তিনি। তবে, দিন পেরিয়ে গেলেও তার একটি গরুও বিক্রি হয়নি।
এই ব্যবসায়ী বলেন, ঈদের এখনো সাত দিন বাকি। হাটগুলোতে কোরবানির পশু বেচাবিক্রি এখনো ততটা জমে ওঠেনি। কিছু ক্রেতা এলেও তারা পশু কিনছেন না। শুধু দেখছেন আর দাম যাচাই-বাছাই করছেন। হাটে এখন ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর ভিড়ই বেশি।
বছিলা হাট ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিয়ে আসা গরু-ছাগল উঠেছে হাটে। এখানে সবচেয়ে বেশি উঠেছে নওগাঁ জেলার গরু। তবে দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, নাটোর জেলা থেকেও গরু এসেছে। হাটে ক্রেতাদের উপস্থিতি তেমন না থাকলেও দর্শনার্থীতে ভরা। অনেকেই ছুটির দিনে গরুর হাট দেখতে এসেছেন।
মোহাম্মদপুরের বছিলার হাউজিংয়ের বিভিন্ন ছোট ছোট প্লটের মধ্যে বাঁশ বেঁধে তৈরি করা হয়েছে এই অস্থায়ী পশুর হাট। প্রতিটি প্লটে দুই সারি করে বাঁশ দিয়ে গরুর জন্য মাচাং তৈরি করা হয়েছে। মাচাংয়ের ওপরে বিক্রেতাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি গরুর ওপরে পলিথিন দিয়ে ছাউনি দেওয়া হয়েছে।
হাট সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য পুরো হাট সিসি ক্যামেরা ও লাইট লাগানো হয়েছে। পর্যাপ্ত ভলানটিয়ার নিয়োগ করা আছে। আর প্রতি হাজারে ৫০ টাকা ইজারা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
নওগাঁ থেকে গরু নিয়ে আসা বিল্লাল হোসেন বলেন, আজ সকালে গরু নিয়ে এসেছি। হাটে উৎসুক জনতা বেশি, ক্রেতা কম। দিনতো আছে দেখা যাক কী হয়।
ঢাকায় গরু নিয়ে আসার বড় কারণই থাকে একটু ভালো দাম পাওয়া। তবে বৃষ্টির কারণে আপাতত ক্রেতা নেই। আরও দুই তিন দিন পরে গরু বেচাকেনা জমবে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।
কুষ্টিয়া থেকে আরেক খামারি খালিদ হাসান বলেন, তিনি ১০টি গরু নিয়ে ঢাকায় এসেছেন।ভালো দামে পশু বিক্রি করার আশায় এসেছেন। তবে বৃষ্টি নিয়ে কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে জানান এই ব্যবসায়ী।