বিসিবি প্রেসিডেন্ট পরিবর্তনে ওঠছে নানা গুঞ্জন

- আপডেট সময় : ১১:১৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
- / ৪০ বার পড়া হয়েছে
বিসিবিতে হঠাৎ নাটকীয়তা, সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ফারুককে! দেশের ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জন বিসিবি’তে নতুন সভাপতি আসছে। কে হচ্ছে নতুন এই সভাপতি! তবে ক্রিকেটের আকাশে একজন ব্যক্তির নামই জোরালোভাবে ভাসছে। আর তিনি হচ্ছেন বাংলাদেশের টেস্ট অভিষেকের সেঞ্চুরিয়ান ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তিনি বর্তমানে মোটা অংকে আসিসিতে বেতন ভুক্ত কর্মকর্তা।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে হঠাৎ করে কেনই বা নতুন সভাপতির দরকার হলো। ক্রিকেট পাড়ায় এ নিয়ে রাজ্যের আলোচনা সমালোচনা চলছে। নেটিজেনদের মতে, পাপনের অনুপস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার পছন্দ করেই সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমদকে এই পদে বসিয়েছে। তাহলে কি এমন হলো আগামী তিনমাসের জন্য একজন নতুন বিসিবি প্রধান পদে বসাতে হবে!
কেউ কেউ বলছেন, ফারুক তো ভালই চালাচ্ছেন। বিপিএলে রেকর্ড আয় করেছেন। দিনরাত পরিশ্রম করে বিসিবিতে আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করছে। এতো কিছুর পরেও ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বিসিবি’র অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন করেছেন। পুরানো ব্যাংকে থেকে টাকা উত্তোলন করে অন্য কয়েকটি ব্যাংকে রেখেছেন। এ ব্যাপারে ফারুকের যুক্তি, বিনসিবিকে বেশি মুনাফা এনে দিতেই তিনি অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন করেছেন। কিন্তু তার এই ব্যাখাতেও তুষ্ট হতে পারেন নি ক্রীড়াঙ্গনের বর্তমান অভিবাবক তরুণ উপদেষ্ট আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
তাই নতুন বিসিবি প্রধান খোঁজে তিনি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে এই পড়ে বসার আহবান করেছেন বলে ক্রীড়াঙ্গনে জোর গুঞ্জন। ক্রীড়া উপদেষ্টা ফারুক এবং বুলবুলের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন বলে জানা যায়। এই বৈঠকে তিনি ফারুককে পদত্যাগ করতে বলেছেন এবং বুলবুলকে এই দ্বায়িত্ব নিতে আহবান করেছেন। কিন্তু ফারুক পদ ছাড়তে রাজি নন বলে নানা উদাহরণ টেনেছেন। তুলে ধরেছেন তাকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় এখানেেআনা হয়েছে।েএও শোনা যায় যদি পদত্যাগ করাতে বাধ্যই হন,তাহলে সেটা যেন হয় অক্টোবর পর্যন্ত সময় সীমা থাকে।
অন্য দিকে জানা যায় আমিনুল ইসলাম মাত্র তিন মাসের জন্য দ্বায়িত্ব নিতে রাজি নন। আর যদি নিতেই হয় তাহলে বিশাল অংকের টাকা তাকে বেতন ধরতে হবে। বিসিবি’র কাছে মাসিক পারিশ্রমিক ১২ লাখ টাকা দাবি করেছেন বলে গুঞ্জন ওঠেছে।
কিন্তু ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে দুই ব্যক্তির আলোচনায় কোন সমাধান আসেনি। জানা যায় ফারুক দাবি জানিয়ে বলেছেন, ‘আমাকে যদি সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে যারা স্বৈচারারের দোসর নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডেও ছিলেন, তারা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। তাদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না কেন? তাহলে সব দোষ আমার একারই? সে বিষয়ে সরকারের চিন্তা ভাবনা কী?’
জানা গেছে, ফারুক ও বুলবুলের সাথে ক্রীড়া উপদেষ্টার বৈঠক সেখানেই মুলতবি হয়ে যায়। তারপরও পরবর্তীতে যদি ফারুককে সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়, তাহলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন বা করবেন। অন্যথায় ফারুক নিজেও পদ ধরে রাখতে অনড়।