ঢাকা ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাড্ডায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:১৮:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / ৪৬ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানী ঢাকার বাড্ডায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দবৃত্তরা। রোববার দিবাগত রাত ১০টা ৬ মিনিটে বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকার ৪ নম্বর সড়ক এবং সাবেক কমিশনার কাইয়ুমের বাসার কাছে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম কামরুল আহসান সাধন। তিনি গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।

সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিবিদ্ধ হলে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় দলীয় নেতাকর্মী ও স্বজনরা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুল আহসান সাধনকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গুলশান ও বাড্ডা থানা পুলিশ।

এ ব্যাপারে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, নিহত কামরুল আহসান সাধন (৫২) বিএনপির গুলশান থানার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক মেহেদি হাসান জানান, বিএনপি নেতা সাধন সড়কের পাশে চেয়ারে বসে আরও দুই-তিনজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় পেছন থেকে অজ্ঞাত দুইজন হেঁটে এসে সাধনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
সাধন স্থানীয় ক্যাবল টিভি ও ইন্টারনেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। ওসি জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।

তবে কে বা কারা খুন করলেন তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি পুলিশ ও স্বজনরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে নিহতের ভাগনি জামাই ইসমাইল হোসেন জানান, দুজন শ্যুটার এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছে। বাড্ডা থানার ওসি বলেন, ‘দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি। হত্যার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’

অন্যদিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে মরদেহের সঙ্গে থাকা এক স্বজন বলেন, গুদারাঘাট ৪নং রোডের সাবেক কমিশনার কাইয়ুমের কার্যালয়ের বিপরীতে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। সেখানে বিএনপি নেতা কাইয়ুমের ভাগিনা কামরুল এবং আরও কয়েকজনসহ বসা ছিলেন সাধন। এর মাঝে হঠাৎ দুজন এসে এলোপাতাড়ি শ্যুট করে। দুজনই মাস্ক পড়া ছিলেন। গুলিতে সাধন ঘটনাস্থলেই পড়ে যান। এরপর ফাঁকা গুলি করতে করতে পালিয়ে যান সন্ত্রাসীরা।

ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাধনকে উদ্ধার করে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার বুকের ডানে-বামে, পিঠে ও ঘাড়ে গুলি লেগেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাড্ডায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা

আপডেট সময় : ০৬:১৮:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

রাজধানী ঢাকার বাড্ডায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দবৃত্তরা। রোববার দিবাগত রাত ১০টা ৬ মিনিটে বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকার ৪ নম্বর সড়ক এবং সাবেক কমিশনার কাইয়ুমের বাসার কাছে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম কামরুল আহসান সাধন। তিনি গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।

সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিবিদ্ধ হলে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় দলীয় নেতাকর্মী ও স্বজনরা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুল আহসান সাধনকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গুলশান ও বাড্ডা থানা পুলিশ।

এ ব্যাপারে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, নিহত কামরুল আহসান সাধন (৫২) বিএনপির গুলশান থানার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক মেহেদি হাসান জানান, বিএনপি নেতা সাধন সড়কের পাশে চেয়ারে বসে আরও দুই-তিনজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় পেছন থেকে অজ্ঞাত দুইজন হেঁটে এসে সাধনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
সাধন স্থানীয় ক্যাবল টিভি ও ইন্টারনেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। ওসি জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।

তবে কে বা কারা খুন করলেন তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি পুলিশ ও স্বজনরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে নিহতের ভাগনি জামাই ইসমাইল হোসেন জানান, দুজন শ্যুটার এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছে। বাড্ডা থানার ওসি বলেন, ‘দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি। হত্যার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’

অন্যদিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে মরদেহের সঙ্গে থাকা এক স্বজন বলেন, গুদারাঘাট ৪নং রোডের সাবেক কমিশনার কাইয়ুমের কার্যালয়ের বিপরীতে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। সেখানে বিএনপি নেতা কাইয়ুমের ভাগিনা কামরুল এবং আরও কয়েকজনসহ বসা ছিলেন সাধন। এর মাঝে হঠাৎ দুজন এসে এলোপাতাড়ি শ্যুট করে। দুজনই মাস্ক পড়া ছিলেন। গুলিতে সাধন ঘটনাস্থলেই পড়ে যান। এরপর ফাঁকা গুলি করতে করতে পালিয়ে যান সন্ত্রাসীরা।

ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাধনকে উদ্ধার করে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার বুকের ডানে-বামে, পিঠে ও ঘাড়ে গুলি লেগেছে।