আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ,চারিদিকে ছাত্র-জনতার আনন্দ মিছিল

- আপডেট সময় : ০১:১৫:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
- / ৪২ বার পড়া হয়েছে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।আ জ শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এ তথ্য জানিয়েছেন।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে প্রকাশ করা হবে।
এছাড়া, সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে, জানান তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ঘোষনার সংবাদ পেতেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ছাত্র-জনতা আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়েছে। গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও শাহবাগ,বাংলামোটরে ছাত্র-জনতা আনন্দ মিছিল করেছে। স্লোগান স্লোগানে মুখরিত করে রেখেছে পুরো এলাকা।
শনিবার (১০ মে) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়ার পরে বিজয় উল্লাসে ফেটে পাড়েন ছাত্র-জনতা।
এ সময় তারা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে শাহবাগ মোড়ে দফায় দফায় মিছিল নিয়ে আসেন। এরপর শাহবাগ মোড়ে সমাবেশ স্থলে যোগ দেন তারা। ছাত্র-জনতারা বলেন, তাদের পূর্ব ঘোষণা সব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না।
শুক্রবার বিকাল থেকে ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ ৩টি দাবি নিয়ে শাহবাগ মোড় ব্লক বিক্ষোভ করতে থাকে। তাদের দাবির মধ্যে ছিল আওয়ামীলীগকে দল হিসেবে স্থায়ী নিষিদ্ধ করা, জুলাই বিপ্লবের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দান এবং জুলাই গণহত্যা, শাপলা গণহত্যাসহ লীগের সব অপকর্মের বিচার।